ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব

ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে একদল স্থানীয় মানুষ। শুধু দিনের বেলায় নয় সারা রাত ধরে একনাগাড়ে চলছে অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির মহোৎসব। ভেকু দিয়ে কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। এমনকি পুকুর খননের নামে কৃষি জমির মাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটাতে।

এদিকে, একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেয়ায় জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা,আবার অন্যদিকে কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমাণ। দেশ হারাচ্ছে সোনালী শস্য উৎপাদনের ভূমি। বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নের জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকার কৃষি খাতেকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌছানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার ও কীটনাশক বিতরণ করছে। ঠিক তখনই ভূমিদস্যুরা মেতে উঠেছে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির কাজে। জমি মালিক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছে মাটি ব্যবসায়ীদের। গত রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরোজমিনে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় দেখা গেছে, আবাদি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে পুকুর তৈরি ও জমির মাটি টাকার বিনিময়ে ভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির দৃশ্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩ দিন যাবত দিন ও রাতের আধারে চলছে ভেকু দিয়ে মাটিকাটা ও বিক্রি করার কাজ।

জমির মালিক বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কূশায় মণ্ডলের ছেলে গোলাম কিবরিয়া অর্থের বিনিময়ে দিন ও রাতের আধারে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন ইটভাটায়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলে।

এ বিষয়ে জমির মালিক গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বলে,আবাদি জমিতে পুকুর খনন ও পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রি করার সরকারি কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সরকারি কোনো অনুমোদন নেই, আমার নিজের জমির মাটি আমি কাটছি ও মাটি আমার নিজের প্রয়োজন না থাকায় আমি মাটি বিক্রি করছি এখানে অনুমতি নেওয়ার কি আছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাদয় অবগত করেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন,আমি প্রথমে আমাদের ঘোলদাড়ি ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অনুমতি বিহিন কৃষি জমির মাটি কাটতে নিষেধ করি।পরবর্তীতে তারা নিষেধ অমান্য করে পূনরায় মাটি কাটা শুরু করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পূনরায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশনটি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিলেন ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশের একটি চৌকস টিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব

আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে একদল স্থানীয় মানুষ। শুধু দিনের বেলায় নয় সারা রাত ধরে একনাগাড়ে চলছে অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির মহোৎসব। ভেকু দিয়ে কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। এমনকি পুকুর খননের নামে কৃষি জমির মাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটাতে।

এদিকে, একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেয়ায় জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা,আবার অন্যদিকে কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমাণ। দেশ হারাচ্ছে সোনালী শস্য উৎপাদনের ভূমি। বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নের জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকার কৃষি খাতেকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌছানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার ও কীটনাশক বিতরণ করছে। ঠিক তখনই ভূমিদস্যুরা মেতে উঠেছে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির কাজে। জমি মালিক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছে মাটি ব্যবসায়ীদের। গত রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরোজমিনে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় দেখা গেছে, আবাদি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে পুকুর তৈরি ও জমির মাটি টাকার বিনিময়ে ভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির দৃশ্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩ দিন যাবত দিন ও রাতের আধারে চলছে ভেকু দিয়ে মাটিকাটা ও বিক্রি করার কাজ।

জমির মালিক বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কূশায় মণ্ডলের ছেলে গোলাম কিবরিয়া অর্থের বিনিময়ে দিন ও রাতের আধারে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন ইটভাটায়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলে।

এ বিষয়ে জমির মালিক গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বলে,আবাদি জমিতে পুকুর খনন ও পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রি করার সরকারি কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সরকারি কোনো অনুমোদন নেই, আমার নিজের জমির মাটি আমি কাটছি ও মাটি আমার নিজের প্রয়োজন না থাকায় আমি মাটি বিক্রি করছি এখানে অনুমতি নেওয়ার কি আছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাদয় অবগত করেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন,আমি প্রথমে আমাদের ঘোলদাড়ি ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অনুমতি বিহিন কৃষি জমির মাটি কাটতে নিষেধ করি।পরবর্তীতে তারা নিষেধ অমান্য করে পূনরায় মাটি কাটা শুরু করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পূনরায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশনটি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিলেন ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশের একটি চৌকস টিম।