ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে জাদুঘর নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ কাজের জায়গা পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বধ্যভূমির জাদুঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হন তিনি।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বধ্যভূমি পাকসেনাদের নির্যাতনের স্বাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্থানী বাহিনী লাল ব্রীজের পাশে ক্যাম্প করে ট্রেন থেকে লোক নামিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করে এখানে পুতে রাখতো। আমরা যখন বধ্যভূমি নির্মাণ করি, তখন এখানে অসংখ্যা মাথার খুলি, হাত-পায়ের হাড়, মেয়েদের মাথার চুল, চুড়ি-শাড়ী পাওয়া গেছে। নতুন প্রজন্মকে পাকিস্থানী বাহিনীর অত্যাচার সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই প্রয়াস। এখানে একটি পার্ক নির্মাণ করেছি। যাতে করে মায়েরা তাদের সন্তানদের এখানে বেড়াতে নিয়ে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদেরকে আপনারা সম্মান জানাবেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, এনডিসি হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদসহ প্রতিনিধি দল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ওল্টু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান, মিজানুর রহমান, কাজল রেখা, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান টুটুল, মেম্বার আয়নাল হক, আব্দুল মালেক প্রমুখ।

এসময় বধ্যভূমির পাশে সম্ভাব্য জাদুঘরের স্থান নির্ধারণসহ প্রতিনিধি দল বধ্যভূমি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাঁচকাটা জমির উপর ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি নির্মিত হবে। যা অচিরেই উদ্বোধন করা হবে। পরে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক ছেলুন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দর সাথে মতো বিনিময় করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে জাদুঘর নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আপলোড টাইম : ০৫:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ কাজের জায়গা পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বধ্যভূমির জাদুঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হন তিনি।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বধ্যভূমি পাকসেনাদের নির্যাতনের স্বাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্থানী বাহিনী লাল ব্রীজের পাশে ক্যাম্প করে ট্রেন থেকে লোক নামিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করে এখানে পুতে রাখতো। আমরা যখন বধ্যভূমি নির্মাণ করি, তখন এখানে অসংখ্যা মাথার খুলি, হাত-পায়ের হাড়, মেয়েদের মাথার চুল, চুড়ি-শাড়ী পাওয়া গেছে। নতুন প্রজন্মকে পাকিস্থানী বাহিনীর অত্যাচার সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই প্রয়াস। এখানে একটি পার্ক নির্মাণ করেছি। যাতে করে মায়েরা তাদের সন্তানদের এখানে বেড়াতে নিয়ে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদেরকে আপনারা সম্মান জানাবেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, এনডিসি হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদসহ প্রতিনিধি দল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ওল্টু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান, মিজানুর রহমান, কাজল রেখা, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান টুটুল, মেম্বার আয়নাল হক, আব্দুল মালেক প্রমুখ।

এসময় বধ্যভূমির পাশে সম্ভাব্য জাদুঘরের স্থান নির্ধারণসহ প্রতিনিধি দল বধ্যভূমি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাঁচকাটা জমির উপর ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি নির্মিত হবে। যা অচিরেই উদ্বোধন করা হবে। পরে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক ছেলুন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দর সাথে মতো বিনিময় করেন।