ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গা থেকে দিন-দুপুরে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার কুষ্টিয়ায় উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে চুরি হওয়া ৭ ভরি সোনার গহনা কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে কুটিয়ার এক জুয়েলারি দোকান থেকে অর্ধেক ও চোরের বাড়ি থেকে বাকি গহনাগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় আন্তঃজেলা চোরচক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম, তাঁর মেয়ে পলি খাতুন ও জুয়েলারি ব্যবসায়ী সোহাগ।

জানা যায়, গত রোববার দুপুরে আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ঘরের বাইরের টিউবওয়েলে কাপড়-চোপড় পরিস্কার করছিলেন। এসময় কুষ্টিয়ার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম কৌশলে ঘরে ঢুকে ড্রয়ারের তালা খুলে স্বর্ণের ছোট বাক্স নিয়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় ছানোয়ারের স্ত্রীর নজরে পড়ে। এখানে কী করছেন জানতে চাইলে চোর জাহানারা পানি খাওয়ার জন্য এসেছে বলে জানায়। ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী পানি আনতে গেলে জাহানারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়ার একটি বাড়িতে জাহানারা চুরির দায়ে আটক হলে সে সময়ে ছবি তুলে রাখা হয়। সেই ছবি দেখালে জাহানারাকে চিনতে পারে ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি জানান, এই মহিলায় পানি খেতে চেয়েছিল। পরে গত রোববার রাতেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকায় জাহানারার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের অর্ধেক তার বাড়িতে পাওয়া যায়। আর বাকি অর্ধেক চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সের লকারে পাওয়া যায়। স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে নেমে পুলিশ জানতে পারে ষাটোর্ধ্ব জাহানারা বেগম ও তাঁর মেয়ে পলি খাতুন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সে মাপজোক করে দিয়ে আসে। জুয়েলার্সের মালিক সোহাগ সেই স্বর্র্ণালঙ্কার বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন জাহানারা ও তার মেয়ে, আর বিক্রি করেন সোহাগ। পুলিশ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন এবং সোহাগকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি বিজন কুমার কর্মকার জানান, স্বর্ণালঙ্কার সঠিকভাবে ক্রয় করতে হলে দোকানের রশিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে। তবে চুরি সিন্ডিকেটের সাথে সম্পৃক্ততা রেখে ব্যবসা পুরোপুরি বেআইনি। তিনি আরও জানান, জুয়েলারির মালিক সোহাগের স্বর্ণালঙ্কার চুরির সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবসায়ী সমিতি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গা থেকে দিন-দুপুরে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার কুষ্টিয়ায় উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে চুরি হওয়া ৭ ভরি সোনার গহনা কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে কুটিয়ার এক জুয়েলারি দোকান থেকে অর্ধেক ও চোরের বাড়ি থেকে বাকি গহনাগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় আন্তঃজেলা চোরচক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম, তাঁর মেয়ে পলি খাতুন ও জুয়েলারি ব্যবসায়ী সোহাগ।

জানা যায়, গত রোববার দুপুরে আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ঘরের বাইরের টিউবওয়েলে কাপড়-চোপড় পরিস্কার করছিলেন। এসময় কুষ্টিয়ার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম কৌশলে ঘরে ঢুকে ড্রয়ারের তালা খুলে স্বর্ণের ছোট বাক্স নিয়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় ছানোয়ারের স্ত্রীর নজরে পড়ে। এখানে কী করছেন জানতে চাইলে চোর জাহানারা পানি খাওয়ার জন্য এসেছে বলে জানায়। ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী পানি আনতে গেলে জাহানারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়ার একটি বাড়িতে জাহানারা চুরির দায়ে আটক হলে সে সময়ে ছবি তুলে রাখা হয়। সেই ছবি দেখালে জাহানারাকে চিনতে পারে ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি জানান, এই মহিলায় পানি খেতে চেয়েছিল। পরে গত রোববার রাতেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকায় জাহানারার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের অর্ধেক তার বাড়িতে পাওয়া যায়। আর বাকি অর্ধেক চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সের লকারে পাওয়া যায়। স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে নেমে পুলিশ জানতে পারে ষাটোর্ধ্ব জাহানারা বেগম ও তাঁর মেয়ে পলি খাতুন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সে মাপজোক করে দিয়ে আসে। জুয়েলার্সের মালিক সোহাগ সেই স্বর্র্ণালঙ্কার বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন জাহানারা ও তার মেয়ে, আর বিক্রি করেন সোহাগ। পুলিশ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন এবং সোহাগকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি বিজন কুমার কর্মকার জানান, স্বর্ণালঙ্কার সঠিকভাবে ক্রয় করতে হলে দোকানের রশিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে। তবে চুরি সিন্ডিকেটের সাথে সম্পৃক্ততা রেখে ব্যবসা পুরোপুরি বেআইনি। তিনি আরও জানান, জুয়েলারির মালিক সোহাগের স্বর্ণালঙ্কার চুরির সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবসায়ী সমিতি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে।