ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ

কমছে জমির উর্বরতা, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে রঞ্জু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কৃষককে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার নামে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নগদ টাকা পেতে অনেক কৃষক স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও লাটাহাম্বা গাড়িগুলো সদ্য নির্মিত গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দ্রুতগতিতে যাতায়াত করায় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারী ইউনিয়নে তিনটি ইটভাটা রয়েছে। মৌসুমে তিনটি ইটভাটায় কয়েক লাখ ঘন মিটার মাটির প্রয়োজন হয়। এসব মাটির চাহিদা পূরণে দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু পরিত্যক্ত পুকুর ও সালিন জমিতে খনন করে মাটি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ইটভাটায় বিক্রি করেন। বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন জরিমানা করলেও পুনরায় তিনি মাটি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন আগে রঞ্জু উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের হাজী মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে আকুব্বার বিশ্বাসের ধান চাষের জমিতে পুকুর খননের নামের মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করেছে। এছাড়া গাড়িতে মাটি পরিবহনের করায় রাস্তায় ধুলা-কাঁদা মাটিতে সড়কে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আশেপাশের বাড়িতে ধুলা-বালির কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়িতে থাকা ছোট শিশুরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, মাটির বিষয়ে উপজেলা বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ

কমছে জমির উর্বরতা, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক

আপলোড টাইম : ১২:১৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে রঞ্জু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কৃষককে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার নামে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নগদ টাকা পেতে অনেক কৃষক স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও লাটাহাম্বা গাড়িগুলো সদ্য নির্মিত গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দ্রুতগতিতে যাতায়াত করায় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারী ইউনিয়নে তিনটি ইটভাটা রয়েছে। মৌসুমে তিনটি ইটভাটায় কয়েক লাখ ঘন মিটার মাটির প্রয়োজন হয়। এসব মাটির চাহিদা পূরণে দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু পরিত্যক্ত পুকুর ও সালিন জমিতে খনন করে মাটি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ইটভাটায় বিক্রি করেন। বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন জরিমানা করলেও পুনরায় তিনি মাটি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন আগে রঞ্জু উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের হাজী মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে আকুব্বার বিশ্বাসের ধান চাষের জমিতে পুকুর খননের নামের মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করেছে। এছাড়া গাড়িতে মাটি পরিবহনের করায় রাস্তায় ধুলা-কাঁদা মাটিতে সড়কে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আশেপাশের বাড়িতে ধুলা-বালির কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়িতে থাকা ছোট শিশুরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, মাটির বিষয়ে উপজেলা বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেন।