ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মীসভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

বিএনপি রাত বাহিনী পুষত, আ.লীগ তাদের পুলিশে দিয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাংবাড়িয়া স্কুল প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৫ বছরে দেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, তা আর কেউ করেনি। আমাদের সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয় না। গুলি খেয়ে মরতে হয় না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলি টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, ইলেকট্রিসিটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।

এক সময় অন্ধকারে বাস করতে হতো। তখন হারিকেন, বাতি জ্বালিয়ে বাস করার সময় আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টি এসে বলতো ছাগল জবাই কর। রাতে ভাত রান্না করতে হতো। সেখান থেকে তো আপনারা বেঁচেছেন। এগুলো মাথায় রাখতে হবে। আমি একটা কথা পরিষ্কার বলি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় আমাদের চাক্ষুষ দেখা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির লোকজন বিএনপি নেতাদের বাড়িতে শুয়ে থাকতো। আবার যদি বিএনপি কোনো দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবারও রাত বাহিনীর কত বিশ্বাসের আবির্ভাব হবে। আবার মানুষকে চরম বিপদগ্রস্ত হতে হবে। সুতরাং এগুলো মাথায় রাখতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই অঞ্চলের সন্ত্রাস দমন করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে মানুষ আজ শান্তিতে ঘরে ঘুমাতে পারে। আপনাদের বলি, স্থানীয় বিষয়ে নেতা-কর্মীরা সজাগ থাকবেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই জনসভায় যেসব কর্মী ভাইয়েরা উপস্থিত হয়েছেন, আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝান। কেন নৌকায় ভোট দিবে না? দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত কিন্তু ভুল বোঝাবে। এক সময় ভুল বোঝাতো নৌকায় ভোট দিলে দেশ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে। বর্ডারে সৈন্য বসে রয়েছে, মসজিদে আজান হবে না, কপালে সিদুঁর দিতে হবে। আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মসজিদে আজান হচ্ছে না? বিএনপি-জামায়াত মুসলমান বলে দাবি করো, কয়টা মসজিদ করেছো? আর আমাদের সরকার ৫০০ ওপর মডেল মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছে। সুতরাং বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যায় মানুষ আর তাদের ভোট দিবে না।’

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি মোজাহেদুর রহমান লোটাস, মারফত আলী, মিনারুল ইসলাম, আবু সাইদ লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোসদেল রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু।

আওয়ামী লীগ নেতা মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একরামুল হক বুড়ো, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নান্নু বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসনাত সোহাগ, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম, ৮ নম্বর সভাপতি বিল্লাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মীসভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

বিএনপি রাত বাহিনী পুষত, আ.লীগ তাদের পুলিশে দিয়েছে

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

আলমডাঙ্গা অফিস:

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাংবাড়িয়া স্কুল প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৫ বছরে দেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, তা আর কেউ করেনি। আমাদের সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয় না। গুলি খেয়ে মরতে হয় না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলি টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, ইলেকট্রিসিটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।

এক সময় অন্ধকারে বাস করতে হতো। তখন হারিকেন, বাতি জ্বালিয়ে বাস করার সময় আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টি এসে বলতো ছাগল জবাই কর। রাতে ভাত রান্না করতে হতো। সেখান থেকে তো আপনারা বেঁচেছেন। এগুলো মাথায় রাখতে হবে। আমি একটা কথা পরিষ্কার বলি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় আমাদের চাক্ষুষ দেখা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির লোকজন বিএনপি নেতাদের বাড়িতে শুয়ে থাকতো। আবার যদি বিএনপি কোনো দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবারও রাত বাহিনীর কত বিশ্বাসের আবির্ভাব হবে। আবার মানুষকে চরম বিপদগ্রস্ত হতে হবে। সুতরাং এগুলো মাথায় রাখতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই অঞ্চলের সন্ত্রাস দমন করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে মানুষ আজ শান্তিতে ঘরে ঘুমাতে পারে। আপনাদের বলি, স্থানীয় বিষয়ে নেতা-কর্মীরা সজাগ থাকবেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই জনসভায় যেসব কর্মী ভাইয়েরা উপস্থিত হয়েছেন, আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝান। কেন নৌকায় ভোট দিবে না? দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত কিন্তু ভুল বোঝাবে। এক সময় ভুল বোঝাতো নৌকায় ভোট দিলে দেশ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে। বর্ডারে সৈন্য বসে রয়েছে, মসজিদে আজান হবে না, কপালে সিদুঁর দিতে হবে। আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মসজিদে আজান হচ্ছে না? বিএনপি-জামায়াত মুসলমান বলে দাবি করো, কয়টা মসজিদ করেছো? আর আমাদের সরকার ৫০০ ওপর মডেল মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছে। সুতরাং বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যায় মানুষ আর তাদের ভোট দিবে না।’

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি মোজাহেদুর রহমান লোটাস, মারফত আলী, মিনারুল ইসলাম, আবু সাইদ লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোসদেল রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু।

আওয়ামী লীগ নেতা মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একরামুল হক বুড়ো, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নান্নু বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসনাত সোহাগ, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম, ৮ নম্বর সভাপতি বিল্লাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।