ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার বেলগাছিতে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন জখম

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের সকলেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তা নিয়ে এ হামলার সূত্রপাত ঘটে। পরে ঘটনাটি নির্বাচন কেন্দ্রীক হামলা করা হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অনেকে মন্তব্য করেছেন। তবে এ মন্তব্যের সাথে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছেন।

ঘটনাস্থলে ঘুরে জানা যায়, বেলগাছি গ্রামের বোমা কালামের বাড়ির সামনে তাঁর ব্যক্তিগত অফিস আছে। গত বুধবার সন্ধ্যার পর তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের কয়েকজন সমর্থকদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় অফিসের পাশের বাড়ির আব্দুল মান্নানের সাথে কালামের মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নানের ছেলেদের সাথে কালামের বাগবিতণ্ডা হয়। সে সময় আব্দুল মান্নানের ছেলে জাফরের নেতৃত্বে এক দল যুবক লাঠি দিয়ে হামলা করে কালামসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবকের ওপর। এসময় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বোমা কালাম ওরফে কালাম, কালামের ভাই সেণ্টু, বকুলের ছেলে প্লাবন, রবিউলের ছেলে আশরাফুল ও সাইফুল্লাহ। তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে কালামের মা, কাশেম, কালামের মেয়ে পূর্ণিমাও আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কেউ কেউ বাড়িতে ফিরলেও কালাম, কালামের মাসহ ৩ জন এখনও হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আশরাফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ হামলার ঘটনাকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম মণ্টুর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে বলে চঞ্চল দাবি করছে। আব্দুল মান্নানের ছেলে জাফর ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নেতৃত্ব দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, এমন দাবি কালাম পক্ষের।

অন্যদিকে, জাফরের স্ত্রী মধুবালা জানান, কালাম পক্ষের দাবি অসত্য। তিনি দাবি করেন, সরকারি জমি দখল করে বোমা কালাম নিজে পাকা অফিস নির্মাণ করেছেন। সেই অফিসে যাওয়ার পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন খাস জমিতে। জাফরের পরিবারের লোকজনকে সেই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কালাম ঘটনার সন্ধ্যায় আব্দুল মান্নানকে প্রথমে রাস্তা দিয়ে যেতে বাধা দেন। এই নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সে সময় মধুবালাও আহত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মণ্টু জানান, এ মারামারির ঘটনা মোটেও নির্বাচন কেন্দ্রিক না। এটা মাদক ব্যবসায়ী কালামের সাথে তাদের প্রতিবেশীদের বিরোধ। এ ঘটনাকে নির্বাচন কেন্দ্রিক দাবি করার কোনো সুযোগ নেই।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চল জানান, ‘এটা পরিকল্পিতভাবে মণ্টুর সমর্থকরা আমার কর্মীদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়েছে। বোমা কালাম খারাপ ব্যক্তি। কিন্তু তাকে খারাপ তৈরি করেছে লালন করেছে এতদিন মণ্টু। এখন তার নির্বাচনে কাজ করছে না বলে ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার বেলগাছিতে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন জখম

আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের সকলেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তা নিয়ে এ হামলার সূত্রপাত ঘটে। পরে ঘটনাটি নির্বাচন কেন্দ্রীক হামলা করা হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অনেকে মন্তব্য করেছেন। তবে এ মন্তব্যের সাথে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছেন।

ঘটনাস্থলে ঘুরে জানা যায়, বেলগাছি গ্রামের বোমা কালামের বাড়ির সামনে তাঁর ব্যক্তিগত অফিস আছে। গত বুধবার সন্ধ্যার পর তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের কয়েকজন সমর্থকদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় অফিসের পাশের বাড়ির আব্দুল মান্নানের সাথে কালামের মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নানের ছেলেদের সাথে কালামের বাগবিতণ্ডা হয়। সে সময় আব্দুল মান্নানের ছেলে জাফরের নেতৃত্বে এক দল যুবক লাঠি দিয়ে হামলা করে কালামসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবকের ওপর। এসময় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বোমা কালাম ওরফে কালাম, কালামের ভাই সেণ্টু, বকুলের ছেলে প্লাবন, রবিউলের ছেলে আশরাফুল ও সাইফুল্লাহ। তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে কালামের মা, কাশেম, কালামের মেয়ে পূর্ণিমাও আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কেউ কেউ বাড়িতে ফিরলেও কালাম, কালামের মাসহ ৩ জন এখনও হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আশরাফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ হামলার ঘটনাকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম মণ্টুর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে বলে চঞ্চল দাবি করছে। আব্দুল মান্নানের ছেলে জাফর ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নেতৃত্ব দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, এমন দাবি কালাম পক্ষের।

অন্যদিকে, জাফরের স্ত্রী মধুবালা জানান, কালাম পক্ষের দাবি অসত্য। তিনি দাবি করেন, সরকারি জমি দখল করে বোমা কালাম নিজে পাকা অফিস নির্মাণ করেছেন। সেই অফিসে যাওয়ার পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন খাস জমিতে। জাফরের পরিবারের লোকজনকে সেই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কালাম ঘটনার সন্ধ্যায় আব্দুল মান্নানকে প্রথমে রাস্তা দিয়ে যেতে বাধা দেন। এই নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সে সময় মধুবালাও আহত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মণ্টু জানান, এ মারামারির ঘটনা মোটেও নির্বাচন কেন্দ্রিক না। এটা মাদক ব্যবসায়ী কালামের সাথে তাদের প্রতিবেশীদের বিরোধ। এ ঘটনাকে নির্বাচন কেন্দ্রিক দাবি করার কোনো সুযোগ নেই।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চল জানান, ‘এটা পরিকল্পিতভাবে মণ্টুর সমর্থকরা আমার কর্মীদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়েছে। বোমা কালাম খারাপ ব্যক্তি। কিন্তু তাকে খারাপ তৈরি করেছে লালন করেছে এতদিন মণ্টু। এখন তার নির্বাচনে কাজ করছে না বলে ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।