ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ

আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছেন ঠিকাদার। উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজে অনিয়ম দেখে স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৭ ফিট প্রস্থের ওই সড়কের কোথাও বালি থাকলেও ইটের খোয়া নেই। দু-এক জায়গায় সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ট্রাক্টরে করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করতেও দেখা যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া ডালিম শাহ মাজার থেকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। এদিকে প্রায় ১০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের পাইকপাড়া অংশে অনিয়ম ও কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এই রাস্তাটি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন কাঁদাঁ-মাটির রাস্তায় চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হত। তবে রাস্তাটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তড়িঘড়ি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলজিইডির আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঠিকাদার সড়কটির কাজ করছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী তুলে ভালো মানের ইট ব্যবহার করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কাজটি অনেক আগের প্রকল্পের। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল, এখন দাম বেড়েছে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা এখন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভালো করে কাজ করব। এছাড়া অভিযোগের ইটগুলো অপসারণ করা হবে এবং ভালো মানের ইট দেওয়ার চেষ্টা করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ

আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছেন ঠিকাদার। উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজে অনিয়ম দেখে স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৭ ফিট প্রস্থের ওই সড়কের কোথাও বালি থাকলেও ইটের খোয়া নেই। দু-এক জায়গায় সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ট্রাক্টরে করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করতেও দেখা যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া ডালিম শাহ মাজার থেকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। এদিকে প্রায় ১০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের পাইকপাড়া অংশে অনিয়ম ও কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এই রাস্তাটি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন কাঁদাঁ-মাটির রাস্তায় চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হত। তবে রাস্তাটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তড়িঘড়ি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলজিইডির আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঠিকাদার সড়কটির কাজ করছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী তুলে ভালো মানের ইট ব্যবহার করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কাজটি অনেক আগের প্রকল্পের। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল, এখন দাম বেড়েছে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা এখন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভালো করে কাজ করব। এছাড়া অভিযোগের ইটগুলো অপসারণ করা হবে এবং ভালো মানের ইট দেওয়ার চেষ্টা করব।’