ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউপির সাবেক দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ডাউকিতে দুই সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে ক্যানসার ও কিডনি রোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৫০ হাজার টাকার ওপর চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরিব রোগীদের শনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জনবল, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনেরা। এই কর্মসূচির আওতায় আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত হাসিনা খাতুন, একই গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী আজিরন নেছা ও মধু বিশ্বাসের নামে ৫০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ হয়। গত বুধবার চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তর এই তিনজনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়। এরপর থেকেই ডাউকি ইউনিয়ের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার খেদ আলী ও সাবেক মহিলা মেম্বর রাশিদা খাতুন চেকপ্রাপ্ত ওই তিন দরিদ্রের বাড়িতে হাজির হন। তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরে নাম দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছিল দাবি করে প্রত্যেকের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে দাবি করতে থাকেন। তাঁরা চেকও নিজেদের হাতে নিতে চেষ্টা করেন। চেকের টাকা আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অফিসে না দিলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা যাবে না বলেও বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মতিয়ার রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম চাঁদা দাবির পুরো দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকলে চাঁদা দাবিকারী খেদ আলী মেম্বার ও রাশিদা খাতুন দ্রুত সটকে পড়েন।

এ ব্যাপারে খেদ আলী মেম্বারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা চেয়েছি তো কি হয়েছে, সাংবাদিকরা যা খুশি লিখুক।’ আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হুসাইন বলেন, ‘দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত দরিদ্রদের জন্য এটা বিশেষ সহায়তা। এই চেক হস্তান্তরযোগ্য নয়। সহায়তাপ্রাপ্তরা ব্যাংকে ১০ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ওই টাকা তুলতে পারবেন। তিনি জানান, কেউ যদি চেকপ্রাপ্তদের কাছে চাঁদা দাবি করে আমরা অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউপির সাবেক দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার ডাউকিতে দুই সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে ক্যানসার ও কিডনি রোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৫০ হাজার টাকার ওপর চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরিব রোগীদের শনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জনবল, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনেরা। এই কর্মসূচির আওতায় আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত হাসিনা খাতুন, একই গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী আজিরন নেছা ও মধু বিশ্বাসের নামে ৫০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ হয়। গত বুধবার চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তর এই তিনজনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়। এরপর থেকেই ডাউকি ইউনিয়ের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার খেদ আলী ও সাবেক মহিলা মেম্বর রাশিদা খাতুন চেকপ্রাপ্ত ওই তিন দরিদ্রের বাড়িতে হাজির হন। তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরে নাম দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছিল দাবি করে প্রত্যেকের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে দাবি করতে থাকেন। তাঁরা চেকও নিজেদের হাতে নিতে চেষ্টা করেন। চেকের টাকা আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অফিসে না দিলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা যাবে না বলেও বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মতিয়ার রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম চাঁদা দাবির পুরো দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকলে চাঁদা দাবিকারী খেদ আলী মেম্বার ও রাশিদা খাতুন দ্রুত সটকে পড়েন।

এ ব্যাপারে খেদ আলী মেম্বারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা চেয়েছি তো কি হয়েছে, সাংবাদিকরা যা খুশি লিখুক।’ আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হুসাইন বলেন, ‘দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত দরিদ্রদের জন্য এটা বিশেষ সহায়তা। এই চেক হস্তান্তরযোগ্য নয়। সহায়তাপ্রাপ্তরা ব্যাংকে ১০ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ওই টাকা তুলতে পারবেন। তিনি জানান, কেউ যদি চেকপ্রাপ্তদের কাছে চাঁদা দাবি করে আমরা অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’