ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার ডাউকিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জনসভায় কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ সমগ্র বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া আজ দৃশ্যমান। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পুরো বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ার পথযাত্রায় আসুন আমরা সবাই মিলে একে-অপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাকেও সুন্দরভাবে গড়ি। আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাসহ পুরো জেলাবাসীর সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক। তাই আমি সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, ব্যক্তি আক্রোশ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে আসুন এক হই।’ গতকাল স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাউকি ইউনিয়নের কৃতী সন্তান নাজমুল হোসেনের সার্বিক পরিচালনায় ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রফিউদ্দীন মুনশীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাউকির প্রাইমারি স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এই জনসভায় এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)-এর সাধারণ সম্পাদক, কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনোদিনই শ্রীলঙ্কা হবে না। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের সংগঠনকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও সর্বদা আমার চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাসহ এ জেলার মানুষের পাশে থাকি। আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তারাদেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি, উপবৃত্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করে থাকি। কারণ আমার চাওয়া আমার জেলা এগিয়ে যাক। আমি আজও কোনো কাজে অসফল হইনি। যে কাজ আমি পারি না, সে কাজের দায়িত্ব আমি নিইনা। যেটা পারি, সেটা মন দিয়ে ও প্রচুর পরিশ্রম করে সফল করি। যার কারণে সৃষ্টিকর্তা আমাকে আজ এই অবস্থানে এনেছেন। আর আপনারা অর্থাৎ চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসী যদি আমাকে কোনো দায়িত্ব দেন, আমি সেই দায়িত্ব অবশ্যই কাঁধে নেবো এবং আপনাদের ভাগ্যবদল করে দেব।’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে পদ্মা সেতুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, জনসভা শেষ হলে অত্র গ্রামের সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে সাথে নিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানে আড্ডায় মেতে উঠেন। এসময় বাবু দিলীপ কুমার সবার সাথে প্রাণখোলা আড্ডা দেন এবং কুশল বিনিময় করেন। চায়ের দোকানের আড্ডার সময় গ্রামের বয়স্ক নারী-পুরুষ বাবু দিলীপ কুমারের মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করতেও দেখা যায়।

 

 

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার ডাউকিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জনসভায় কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

আপলোড টাইম : ০২:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ সমগ্র বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া আজ দৃশ্যমান। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পুরো বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ার পথযাত্রায় আসুন আমরা সবাই মিলে একে-অপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাকেও সুন্দরভাবে গড়ি। আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাসহ পুরো জেলাবাসীর সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক। তাই আমি সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, ব্যক্তি আক্রোশ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে আসুন এক হই।’ গতকাল স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাউকি ইউনিয়নের কৃতী সন্তান নাজমুল হোসেনের সার্বিক পরিচালনায় ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রফিউদ্দীন মুনশীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাউকির প্রাইমারি স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এই জনসভায় এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)-এর সাধারণ সম্পাদক, কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনোদিনই শ্রীলঙ্কা হবে না। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের সংগঠনকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও সর্বদা আমার চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাসহ এ জেলার মানুষের পাশে থাকি। আমার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তারাদেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি, উপবৃত্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করে থাকি। কারণ আমার চাওয়া আমার জেলা এগিয়ে যাক। আমি আজও কোনো কাজে অসফল হইনি। যে কাজ আমি পারি না, সে কাজের দায়িত্ব আমি নিইনা। যেটা পারি, সেটা মন দিয়ে ও প্রচুর পরিশ্রম করে সফল করি। যার কারণে সৃষ্টিকর্তা আমাকে আজ এই অবস্থানে এনেছেন। আর আপনারা অর্থাৎ চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসী যদি আমাকে কোনো দায়িত্ব দেন, আমি সেই দায়িত্ব অবশ্যই কাঁধে নেবো এবং আপনাদের ভাগ্যবদল করে দেব।’

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে পদ্মা সেতুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, জনসভা শেষ হলে অত্র গ্রামের সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে সাথে নিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানে আড্ডায় মেতে উঠেন। এসময় বাবু দিলীপ কুমার সবার সাথে প্রাণখোলা আড্ডা দেন এবং কুশল বিনিময় করেন। চায়ের দোকানের আড্ডার সময় গ্রামের বয়স্ক নারী-পুরুষ বাবু দিলীপ কুমারের মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করতেও দেখা যায়।