ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ টাকাসহ সবর্স্ব লুট

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৬:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে


আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে তাণ্ডব চালিয়েছে ডাকাত দল। ঢাকা থেকে আসা যাত্রী, হাসপাতালে নেওয়া রোগীর স্বজন ও জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হওয়া পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নিয়েছে ডাকাতরা। গত দুই মাস ধরে পুলিশের অভাবনীয় নীরবতায় নির্বিঘ্নে ডাকাতরা ওই তাণ্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীরা জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ডাকাত দল দীর্ঘসময় ধরে আটকপাট এলাকায় অবস্থান করে। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। ওই রাতে যারায় ওই সড়ক ধরে যাওয়া-আসা করেছে, তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।
রাতে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। উপায়ন্তর না পেয়ে বেদনাকাতর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন। তারা আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ডাকাত দলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গায় নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলেন।

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কসাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্ছিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতদের তাণ্ডব থামে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে যেহেতু শুনছি সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং সড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ টাকাসহ সবর্স্ব লুট

আপলোড টাইম : ০৬:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪


আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে তাণ্ডব চালিয়েছে ডাকাত দল। ঢাকা থেকে আসা যাত্রী, হাসপাতালে নেওয়া রোগীর স্বজন ও জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হওয়া পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নিয়েছে ডাকাতরা। গত দুই মাস ধরে পুলিশের অভাবনীয় নীরবতায় নির্বিঘ্নে ডাকাতরা ওই তাণ্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীরা জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ডাকাত দল দীর্ঘসময় ধরে আটকপাট এলাকায় অবস্থান করে। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। ওই রাতে যারায় ওই সড়ক ধরে যাওয়া-আসা করেছে, তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।
রাতে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। উপায়ন্তর না পেয়ে বেদনাকাতর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন। তারা আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ডাকাত দলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গায় নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলেন।

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কসাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্ছিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতদের তাণ্ডব থামে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে যেহেতু শুনছি সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং সড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে।