ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় ছাগলে পাতা খাওয়ায় মারামারি, আহত ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গায় ছাগলের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারিতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতেরা হলেন- জান্নাত (১৯), আবু তালেব আলী (৪৫) ও রাশেদা (৪০)। তারা একই পরিবারের সদস্য। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার বেলা তিনটার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জান্নাত একই এলাকার আবু তালেব আলীর ছেলে এবং রাশেদা আবু তালেবের স্ত্রী এবং আবু তালেব মৃত আফসার মন্ডলের ছেলে।

আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবু তালেবের পরিবারের ছাগল প্রতিবেশী খলিলের ছাগলের জন্য বেঁধে রাখা পাতা খেয়ে ফেলে। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া লাগে তাদের। এর একপর্যায়ে আবু তালেব, আবু তালেবের ছেলে জান্নাত ও স্ত্রী রাশেদাকে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্শেদ আলম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু তালেব ও জান্নাতকে সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে এবং রাশেদা মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।

আহত রাশেদা বলেন, ‘খলিলের স্ত্রী তাদের ছাগলের জন্য পাতা বেধে রেখেছিল। আমাদের ছাগল যেয়ে তা খেয়েছে। এটা নিয়ে তারা ঝগড়া গালিগালাজ শুরু করে। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা সপরিবারে আমাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে। হাসুয়া দিয়ে খলিল আমার মাথায় আঘাত করে।’

আহত জান্নাত বলেন, ‘আমি আর আমার বাবা মাঠে কৃষিকাজ করছিলাম। বাসায় যেয়ে দেখি ঝগড়া হচ্ছে। এর একপর্যায়ে আমার মা রাশেদা খাতুনকে মারার জন্য খলিল সপরিবারে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা ঠেকাতে গেলে আমাদেরও মেরে আহত করে।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় ছাগলে পাতা খাওয়ায় মারামারি, আহত ৩

আপলোড টাইম : ০৮:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গায় ছাগলের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারিতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতেরা হলেন- জান্নাত (১৯), আবু তালেব আলী (৪৫) ও রাশেদা (৪০)। তারা একই পরিবারের সদস্য। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার বেলা তিনটার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জান্নাত একই এলাকার আবু তালেব আলীর ছেলে এবং রাশেদা আবু তালেবের স্ত্রী এবং আবু তালেব মৃত আফসার মন্ডলের ছেলে।

আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবু তালেবের পরিবারের ছাগল প্রতিবেশী খলিলের ছাগলের জন্য বেঁধে রাখা পাতা খেয়ে ফেলে। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া লাগে তাদের। এর একপর্যায়ে আবু তালেব, আবু তালেবের ছেলে জান্নাত ও স্ত্রী রাশেদাকে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্শেদ আলম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু তালেব ও জান্নাতকে সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে এবং রাশেদা মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।

আহত রাশেদা বলেন, ‘খলিলের স্ত্রী তাদের ছাগলের জন্য পাতা বেধে রেখেছিল। আমাদের ছাগল যেয়ে তা খেয়েছে। এটা নিয়ে তারা ঝগড়া গালিগালাজ শুরু করে। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা সপরিবারে আমাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে। হাসুয়া দিয়ে খলিল আমার মাথায় আঘাত করে।’

আহত জান্নাত বলেন, ‘আমি আর আমার বাবা মাঠে কৃষিকাজ করছিলাম। বাসায় যেয়ে দেখি ঝগড়া হচ্ছে। এর একপর্যায়ে আমার মা রাশেদা খাতুনকে মারার জন্য খলিল সপরিবারে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা ঠেকাতে গেলে আমাদেরও মেরে আহত করে।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।