ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় খাস জমি উদ্ধারের নামে মালিকানা জমি থেকে বাড়িঘর উচ্ছেদের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় খাস জমি উদ্ধারের নামে মালিকানা জমির বাড়িঘর উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মণ্টু মিয়া সাংবাদিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলছেন, কোর্টের আদেশ না মেনে উপজেলা প্রশাসন খাস জমি দখলের নামে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, ‘যথাযথ আইনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদের বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। সময় অনুযায়ী আদালতে জবাব পাঠানো হবে।’

লিখিত অভিযোগে মণ্টু মিয়া বলেন, ‘আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের লালব্রিজ সংলগ্নে বধ্যভূমি নিকটস্থ পার্ক ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এ জন্য সরকারি খাস জমি সংগ্রহ করছে উপজেলা প্রশাসন। বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্নে ১৯৬২ সালের এসএ রেকর্ড অনুযায়ী ১২৯৫ খতিয়ানে মোট জমির পরিমাণ ২ একর ৫৬ শতক। এ জমির মালিক মৃত আবুল হোসেন গং। আরএস ২৯১ খতিয়ানভুক্ত ১৯৩৩ দাগের ৩৬ শতক জমি খাস খতিয়ানের মাধ্যমে রেকর্ডভুক্ত হয়। তবে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৯২২ নম্বর দাগে তাদের ৩৬ শতক জমি ভুলক্রমে রেকর্ড হয়ে যায়। এই জমি নিয়ে ২০২১ সালে আলমডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এরপরও গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ আমার নামে সরকারি জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। ৯ ফেব্রুয়ারি আমি বাদী হয়ে দাবিকৃত জমি সঠিক পরিমাপের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর নোটিশ পাঠাই। নোটিশের জবাব না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।’

মণ্টু মিয়া বলেন, ‘পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে আমার বসতবাড়িতে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে আমার ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় খাস জমি উদ্ধারের নামে মালিকানা জমি থেকে বাড়িঘর উচ্ছেদের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় খাস জমি উদ্ধারের নামে মালিকানা জমির বাড়িঘর উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মণ্টু মিয়া সাংবাদিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলছেন, কোর্টের আদেশ না মেনে উপজেলা প্রশাসন খাস জমি দখলের নামে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, ‘যথাযথ আইনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদের বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। সময় অনুযায়ী আদালতে জবাব পাঠানো হবে।’

লিখিত অভিযোগে মণ্টু মিয়া বলেন, ‘আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের লালব্রিজ সংলগ্নে বধ্যভূমি নিকটস্থ পার্ক ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এ জন্য সরকারি খাস জমি সংগ্রহ করছে উপজেলা প্রশাসন। বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্নে ১৯৬২ সালের এসএ রেকর্ড অনুযায়ী ১২৯৫ খতিয়ানে মোট জমির পরিমাণ ২ একর ৫৬ শতক। এ জমির মালিক মৃত আবুল হোসেন গং। আরএস ২৯১ খতিয়ানভুক্ত ১৯৩৩ দাগের ৩৬ শতক জমি খাস খতিয়ানের মাধ্যমে রেকর্ডভুক্ত হয়। তবে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৯২২ নম্বর দাগে তাদের ৩৬ শতক জমি ভুলক্রমে রেকর্ড হয়ে যায়। এই জমি নিয়ে ২০২১ সালে আলমডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এরপরও গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ আমার নামে সরকারি জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। ৯ ফেব্রুয়ারি আমি বাদী হয়ে দাবিকৃত জমি সঠিক পরিমাপের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর নোটিশ পাঠাই। নোটিশের জবাব না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।’

মণ্টু মিয়া বলেন, ‘পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে আমার বসতবাড়িতে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে আমার ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করছি।’