ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আমাদের প্রার্থী মনজুকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ১৭ই অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজুর মোটরসাইকেল প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ নিয়ে যারা ভাবেন তারা বলেন, নির্বাচন আসলে শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সকলে এক হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তেই আমরা সবাই এক হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করি। আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে আামাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সংশয় থাকলেও তা দূর হয়ে যায়। আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, শেখ হাসিনার প্রার্থী আমাদের সকলের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান মনজুকে। আমরা আশাবাদী, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা ভোটার আছেন, তাদের অনেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেই। অনেকেই বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি। হয়ত অনেককে সময় মতো জানানো সম্ভব হয়নি। যারা খবর পেলে হয়ত আসতো, যারা আসতে পারেননি আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা তাদেরকে বলবেন, আমরা সবাই মিলে এই নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী মনজু ভাইকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করা দরকার। আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থাকতে পারে, প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসায় রুপান্তর করে আত্মঘাতীর সংঘাতে যেন আমরা লিপ্ত না হয়। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। মাহফুজুর রহমান মনজু দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কয়েকমাস আগে উনি সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মাহফুজুর রহমান মনজুকে প্রধানমন্ত্রী এই জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বও দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সবথেকে বেশি শক্তিশালী। এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু এই নির্বাচনে যদি আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি, শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ের ধারা অব্যহত থাকবে। আর যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হই, তাহলে আমাদের বিজয়ের আশা ক্ষীণ হবে। সেজন্য সকল নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে ছেলুন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা মাহফুজুর রহমান মনজুকে জয়যুক্ত করব।

সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন অতিথিবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সকলেই এক বাক্যে বলেছেন এই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পাশে থেকে তাকে যাতে নির্বাচনে জয়যুক্ত করা যায়, সেই ব্যবস্থা করব। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা এসেছেন, এই অনুষ্ঠানগুলো আরও একটু আগে করা হলে দল উপকৃত হতো, প্রার্থী উপকৃত হতো। এক জেলার হওয়া পাশের জেলায় লাগে। খুলনা বিভাগের সব জেলায় অনুষ্ঠানগুলো করা হলে সব জেলাতেই কর্মীরা আরও বেশি সক্রিয় হতো।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে যখন নির্বাচন হয়েছে, তখন অনেককেই আমরা মাঠে পাইনি। যারা দলের দুঃখের সময় মাঠে থাকে তারাই দলের অরিজিনাল কর্মী। সেসময় মাঠ, ঘাট, সকলস্থানে আমি দলের জন্য কাজ করেছি। আমার শক্তি ছিল বলেই সেই শক্তিকে দলের শক্তিতে রুপান্তর করেছি। যারা সুখে ও দুখে আওয়ামী লীগের পাশে ছিল, পাশে থাকে তারায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনারা এসেছেন, আপনাদের সম্মান রক্ষার্থে আপনারা যাদের ডাকতে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেছি সকলকে ডাকার। আপনারা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছেন, সেই উদ্দেশ্যে সফল হোক।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মূসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু ও চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।

এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিকসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌর মেয়রবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আগামী ১২ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আগামী ২৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়াও হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আমাদের প্রার্থী মনজুকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ১৭ই অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজুর মোটরসাইকেল প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ নিয়ে যারা ভাবেন তারা বলেন, নির্বাচন আসলে শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সকলে এক হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তেই আমরা সবাই এক হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করি। আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে আামাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সংশয় থাকলেও তা দূর হয়ে যায়। আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, শেখ হাসিনার প্রার্থী আমাদের সকলের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান মনজুকে। আমরা আশাবাদী, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা ভোটার আছেন, তাদের অনেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেই। অনেকেই বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি। হয়ত অনেককে সময় মতো জানানো সম্ভব হয়নি। যারা খবর পেলে হয়ত আসতো, যারা আসতে পারেননি আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা তাদেরকে বলবেন, আমরা সবাই মিলে এই নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী মনজু ভাইকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করা দরকার। আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থাকতে পারে, প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসায় রুপান্তর করে আত্মঘাতীর সংঘাতে যেন আমরা লিপ্ত না হয়। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। মাহফুজুর রহমান মনজু দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কয়েকমাস আগে উনি সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মাহফুজুর রহমান মনজুকে প্রধানমন্ত্রী এই জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বও দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সবথেকে বেশি শক্তিশালী। এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু এই নির্বাচনে যদি আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি, শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ের ধারা অব্যহত থাকবে। আর যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হই, তাহলে আমাদের বিজয়ের আশা ক্ষীণ হবে। সেজন্য সকল নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে ছেলুন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা মাহফুজুর রহমান মনজুকে জয়যুক্ত করব।

সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন অতিথিবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সকলেই এক বাক্যে বলেছেন এই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পাশে থেকে তাকে যাতে নির্বাচনে জয়যুক্ত করা যায়, সেই ব্যবস্থা করব। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা এসেছেন, এই অনুষ্ঠানগুলো আরও একটু আগে করা হলে দল উপকৃত হতো, প্রার্থী উপকৃত হতো। এক জেলার হওয়া পাশের জেলায় লাগে। খুলনা বিভাগের সব জেলায় অনুষ্ঠানগুলো করা হলে সব জেলাতেই কর্মীরা আরও বেশি সক্রিয় হতো।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে যখন নির্বাচন হয়েছে, তখন অনেককেই আমরা মাঠে পাইনি। যারা দলের দুঃখের সময় মাঠে থাকে তারাই দলের অরিজিনাল কর্মী। সেসময় মাঠ, ঘাট, সকলস্থানে আমি দলের জন্য কাজ করেছি। আমার শক্তি ছিল বলেই সেই শক্তিকে দলের শক্তিতে রুপান্তর করেছি। যারা সুখে ও দুখে আওয়ামী লীগের পাশে ছিল, পাশে থাকে তারায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনারা এসেছেন, আপনাদের সম্মান রক্ষার্থে আপনারা যাদের ডাকতে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেছি সকলকে ডাকার। আপনারা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছেন, সেই উদ্দেশ্যে সফল হোক।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মূসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু ও চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।

এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিকসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌর মেয়রবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আগামী ১২ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আগামী ২৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়াও হয়েছে।