ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আন্দুলবাড়িয়ায় মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার!

প্রতিবেদক, আন্দুলবাড়িয়া:
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় ভৈরব নদ খননকালে মানুষের ৫টি মাথা, পা, মেরুদন্ডের হাড়, মাটির প্রদীপ, ছোট কলস, ভাঁড়, কলকি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া কাজি মসজিদ ও আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নবনির্মিত ৫তলা বিল্ডিংয়ের পিছন থেকে ভৈরব নদ খননকারী দল প্রায় ৬ ফুট গভীর থেকে এসব উদ্ধার করে। খবর পেয়ে উদ্ধারকৃত মাথার খুলি, হাড় ও মাটির তৈজসপত্র দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করে উৎসুক জনতা।

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে পুরুষের মাথা ২টি, ১টি মহিলার ও ২টি শিশুর মাথার খুলি রয়েছে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের ২৪টি ছোটবড় হাড়, মেরুদন্ডের কয়েকটি অংশ, মাটির তৈরী ৫টি ছোট কলস, ১টি ভাঁড়, ১টি প্রদীপ, ২টি কলকি রয়েছে। উদ্ধারকৃত পুরুষের মাথার খুলিতে গুলির চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে শত্রু পক্ষ এদের হত্যা করে পাঁচজনকে নদীতে পুঁতে রেখেছিল। উৎসুক জনতা জানান, মাটির তৈরী ঘট, কলল্কে, প্রদীপ ও ভাঁড়গুলো হিন্দু সনাতন ধর্মাম্বলী সম্প্রদায় পূঁজা অর্চনা শেষে নদীতে ফেলে দিয়েছে। আন্দুলবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থার প্রচার সম্পাদক শেখ রাশেদুজ্জামান রাশেদ এসব উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন।

আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার বলেন, ‘নদী খনন এলাকায় যেখান থেকে মানুষের খুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কখনো শ্মশান ছিল না। এসব খুলি ও হাড়গুলো দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শত্রু পক্ষের হাতে একই পরিবারের ৫ জন সদস্য নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হতে পারে বলে ধারণা করছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আন্দুলবাড়িয়ায় মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার!

আপলোড টাইম : ০১:৫৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় ভৈরব নদ খননকালে মানুষের ৫টি মাথা, পা, মেরুদন্ডের হাড়, মাটির প্রদীপ, ছোট কলস, ভাঁড়, কলকি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া কাজি মসজিদ ও আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নবনির্মিত ৫তলা বিল্ডিংয়ের পিছন থেকে ভৈরব নদ খননকারী দল প্রায় ৬ ফুট গভীর থেকে এসব উদ্ধার করে। খবর পেয়ে উদ্ধারকৃত মাথার খুলি, হাড় ও মাটির তৈজসপত্র দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করে উৎসুক জনতা।

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে পুরুষের মাথা ২টি, ১টি মহিলার ও ২টি শিশুর মাথার খুলি রয়েছে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের ২৪টি ছোটবড় হাড়, মেরুদন্ডের কয়েকটি অংশ, মাটির তৈরী ৫টি ছোট কলস, ১টি ভাঁড়, ১টি প্রদীপ, ২টি কলকি রয়েছে। উদ্ধারকৃত পুরুষের মাথার খুলিতে গুলির চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে শত্রু পক্ষ এদের হত্যা করে পাঁচজনকে নদীতে পুঁতে রেখেছিল। উৎসুক জনতা জানান, মাটির তৈরী ঘট, কলল্কে, প্রদীপ ও ভাঁড়গুলো হিন্দু সনাতন ধর্মাম্বলী সম্প্রদায় পূঁজা অর্চনা শেষে নদীতে ফেলে দিয়েছে। আন্দুলবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থার প্রচার সম্পাদক শেখ রাশেদুজ্জামান রাশেদ এসব উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন।

আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার বলেন, ‘নদী খনন এলাকায় যেখান থেকে মানুষের খুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কখনো শ্মশান ছিল না। এসব খুলি ও হাড়গুলো দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শত্রু পক্ষের হাতে একই পরিবারের ৫ জন সদস্য নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হতে পারে বলে ধারণা করছি।’