ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে তিন বছরেও কাজ মেলেনি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরে আদম ব্যাপারী ইউনুচের খপ্পরে পড়ে প্রায় তিন বছর সৌদি আরবে প্রবেশ করেও কোনো কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দর্শনা মোবারকপাড়ার চঞ্চল। কোনো কূলকিনারা না পেয়ে এ ঘটনায় চঞ্চলের মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে, মামলা করায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের ওপর প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন আদম ব্যপারী ইউনুচ আলী। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছে চঞ্চলের পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা মোবারকপাড়ার মৃত নূর আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের সাথে বছর পাঁচেক আগে পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর গ্রামের মৃত হযরতের ছেলে দুবাই প্রবাসী ইউনুচ আলীর। পরিচয় হওয়ার পর থেকে আদম ব্যাপারী ইউনুচ বিভিন্ন সময় চঞ্চলকে ৫০ হাজার টাকা বেতনে সৌদিতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ধার-দেনা করে চঞ্চল সৌদিতে যাওয়ার জন্য ইউনুচের কথা মতো তার স্ত্রীর কাছে ২০১৯ সালে ২০ জুলাই মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়। পরে আদম ব্যাপারী ইউনুচ তিন মাসের ভিসা দিয়ে ২০২০ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চঞ্চলকে সৌদিতে নিয়ে যায়। ইউনুচ তিন মাসের মধ্যে কোনো কাজ না দেয়ায় চঞ্চলের ভিসা বাতিল হয়ে যায়। পরে চঞ্চলের পরিবারের লোকজন ইউনুচের সাথে বহুবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। সেই থেকে প্রবাসী চঞ্চল সৌদিতে অবৈধভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সম্প্রতি আদম ব্যাপারী ইউনুচ ছুটিতে বাড়ি আসলে গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে বৈঠক বসেন। বৈঠকে আদম ব্যাপারী ইউনুচ ১০ দিনের মধ্যে সৌদি প্রবাসী চঞ্চলের বৈধ কাগজপত্র এবং কাজের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান। অন্যথায় চঞ্চলকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবেন বলে ৩ শ টাকার স্ট্যাম্প করে দেন। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রবাসী চঞ্চলের জন্য কোনো কিছুই করেননি ইউনুচ। অবশেষে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে প্রবাসী চঞ্চলের মা গত ৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা আদালতে আদম ব্যাপারী ইউনুচের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করায় চঞ্চলের পরিবারে লোকজনের ওপর প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন আদম ব্যাপারী ইউনুচ। এতে চরম নিরাপ্তাহীনতাই ভুগছে চঞ্চলের পরিবার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে তিন বছরেও কাজ মেলেনি

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরে আদম ব্যাপারী ইউনুচের খপ্পরে পড়ে প্রায় তিন বছর সৌদি আরবে প্রবেশ করেও কোনো কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দর্শনা মোবারকপাড়ার চঞ্চল। কোনো কূলকিনারা না পেয়ে এ ঘটনায় চঞ্চলের মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে, মামলা করায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের ওপর প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন আদম ব্যপারী ইউনুচ আলী। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছে চঞ্চলের পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা মোবারকপাড়ার মৃত নূর আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের সাথে বছর পাঁচেক আগে পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর গ্রামের মৃত হযরতের ছেলে দুবাই প্রবাসী ইউনুচ আলীর। পরিচয় হওয়ার পর থেকে আদম ব্যাপারী ইউনুচ বিভিন্ন সময় চঞ্চলকে ৫০ হাজার টাকা বেতনে সৌদিতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ধার-দেনা করে চঞ্চল সৌদিতে যাওয়ার জন্য ইউনুচের কথা মতো তার স্ত্রীর কাছে ২০১৯ সালে ২০ জুলাই মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়। পরে আদম ব্যাপারী ইউনুচ তিন মাসের ভিসা দিয়ে ২০২০ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চঞ্চলকে সৌদিতে নিয়ে যায়। ইউনুচ তিন মাসের মধ্যে কোনো কাজ না দেয়ায় চঞ্চলের ভিসা বাতিল হয়ে যায়। পরে চঞ্চলের পরিবারের লোকজন ইউনুচের সাথে বহুবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। সেই থেকে প্রবাসী চঞ্চল সৌদিতে অবৈধভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সম্প্রতি আদম ব্যাপারী ইউনুচ ছুটিতে বাড়ি আসলে গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে বৈঠক বসেন। বৈঠকে আদম ব্যাপারী ইউনুচ ১০ দিনের মধ্যে সৌদি প্রবাসী চঞ্চলের বৈধ কাগজপত্র এবং কাজের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান। অন্যথায় চঞ্চলকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবেন বলে ৩ শ টাকার স্ট্যাম্প করে দেন। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রবাসী চঞ্চলের জন্য কোনো কিছুই করেননি ইউনুচ। অবশেষে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে প্রবাসী চঞ্চলের মা গত ৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা আদালতে আদম ব্যাপারী ইউনুচের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করায় চঞ্চলের পরিবারে লোকজনের ওপর প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন আদম ব্যাপারী ইউনুচ। এতে চরম নিরাপ্তাহীনতাই ভুগছে চঞ্চলের পরিবার।