অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা মর্যাদা) সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করা হচ্ছে। বাকি তিনজন হলেন- অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। আজ শুক্রবার নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠান হবে। নতুন চারজন যুক্ত হলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে ২১ জন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন পুলে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তাদের পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। কয়জন উপদেষ্টা হবেন, সেটা তারা জানে না। উল্লেখ্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে সবসময় অতিরিক্ত গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। তাই গাড়ির সংখ্যা দিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন ১৭ জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন শপথ নেন। পরে দুই দফায় বাকি তিনজনকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ৯ আগস্ট ১৩ উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়। শপথ নেয়ার পর বাকি তিন উপদেষ্টাও দপ্তর পান। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতে এখন আছে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তাতেই ধারণা করা যাচ্ছিল, উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়তে পারে।
এখন পর্যন্ত বণ্টন হওয়া দপ্তরের তালিকায় দেখা গেছে- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অধ্যাপক ড. আফিস নজরুল, শিল্প মন্ত্রণালয়ে আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে এ এফ হাসান আরিফ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মো. তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শারমিন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এম. সাখাওয়াত হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নুরজাহান বেগম, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সুপ্রদীপ চাকমা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ফারুক ই আজম, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দায়িত্ব পান।