ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

১৩০ ফুট সেতুর জন্য ঘুরতে হয় তিন কিলোমিটার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী: মাত্র ১৩০ ফুট সেতুর অভাবে তিন গ্রামের মানুষকে ঘুরতে হয় তিন কিলোমিটার সড়ক। যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে চিত্রা নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটা বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত, সুবোদপুর, বোয়ালমারীর প্রায় তিন হাজার মানুষকে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের ইউনুচ আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী। নদীর ওপারেই দোস্ত গ্রামের মানুষজনের জমি-জমাসহ আরও দুইটি গ্রাম। এই তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য চিত্রা নদীতে কোনো স্থায়ী ব্রিজ না থাকায় গ্রামবাসী নিজেদের অর্থ দিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াতসহ কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করে। বর্তমানে বাঁশের সাঁকো ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তিন গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দোস্ত গ্রামের সমাজসেবক হাবিবুর রহমান কাজল বলেন, চিত্রা নদীতে একটি সেতুর অভাবে তিন গ্রামের মানুষকে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো। যার ফলে গ্রামবাসী প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। যা প্রতিবছরই মেরামত করতে হয়। গ্রামের কৃষকদের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ আছে চিত্রা নদীর ওপারে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের তৈরি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে মাথায় করে আনতে হয়। এতে করে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তা ছাড়া মাথায় করে ভারি বোঝা আনতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের।

গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনে সরেজমিনে দোস্ত গ্রামে এসে চিত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদের ব্রিজ করার একতিয়ার রয়েছে ৫০ ফুটের। এখানে ১৩০ ফুট লম্বা ব্রিজ লাগবে।

এলাকাবাসী অবিলম্বে চিত্রা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

১৩০ ফুট সেতুর জন্য ঘুরতে হয় তিন কিলোমিটার

আপলোড টাইম : ০৭:৩৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী: মাত্র ১৩০ ফুট সেতুর অভাবে তিন গ্রামের মানুষকে ঘুরতে হয় তিন কিলোমিটার সড়ক। যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে চিত্রা নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটা বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত, সুবোদপুর, বোয়ালমারীর প্রায় তিন হাজার মানুষকে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের ইউনুচ আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী। নদীর ওপারেই দোস্ত গ্রামের মানুষজনের জমি-জমাসহ আরও দুইটি গ্রাম। এই তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য চিত্রা নদীতে কোনো স্থায়ী ব্রিজ না থাকায় গ্রামবাসী নিজেদের অর্থ দিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াতসহ কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করে। বর্তমানে বাঁশের সাঁকো ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তিন গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দোস্ত গ্রামের সমাজসেবক হাবিবুর রহমান কাজল বলেন, চিত্রা নদীতে একটি সেতুর অভাবে তিন গ্রামের মানুষকে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো। যার ফলে গ্রামবাসী প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। যা প্রতিবছরই মেরামত করতে হয়। গ্রামের কৃষকদের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ আছে চিত্রা নদীর ওপারে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের তৈরি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে মাথায় করে আনতে হয়। এতে করে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তা ছাড়া মাথায় করে ভারি বোঝা আনতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের।

গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনে সরেজমিনে দোস্ত গ্রামে এসে চিত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদের ব্রিজ করার একতিয়ার রয়েছে ৫০ ফুটের। এখানে ১৩০ ফুট লম্বা ব্রিজ লাগবে।

এলাকাবাসী অবিলম্বে চিত্রা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।