ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

হাসাদাহে সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হাসাদাহ:
জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় হাসাদাহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর উপজেলা কর্ন্দপপুর গ্রামের মিজানুর রহমান এবং আমার চাচা মৃত আ. খালেকের ছেলে বাবু একই পাড়াতে বসবাস করে। সেই সূত্রে মিজানুর রহমান আমার চাচাতো ভাই বাবুর বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। সে সময় বাবুর বসবাসের অসুবিধার কারণে মিজানুরকে তার বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে নিষেধ করাই মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসি খাতুন কু-পরামর্শ করে আমার ভাই বাবুর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যেটি তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল হয়। সে সময় তার দাবিতে রাজি না হওয়ায় পুনরায় ফেরদৌসি খাতুন তার স্বামী মিজানুর রহমান, ভাবি নুরজাহান বেগম এবং একই মহল্লাই বসবাসকৃত মিজানুরের বেয়াই লুৎফর রহমানকে সাক্ষী করে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা রুজু করে। মহামান্য আদালত সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সেটিকে জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বরাবর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর সেটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, বাদী ফেরদৌসি খাতুনের আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে সঠিক নয়, এই মর্মে মহামান্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর গ্রাম্য সালিশের জন্য হাসাদাহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সোহেল রানা শ্যামল তাদের উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার কথা বললে বাদী ফেরদৌসি বিবাদী বাবুর নিকট নগদ তিন লাখ টাকা ও এ রাস্তা বাবদ তিন কাঠা জমির দাবি করেন।

ফেরদৌসি খাতুনে প্রস্তাবে বিবাদী পক্ষ রাজি না হওয়ায় ফেরদৌসি খাতুন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর না রাজি পিটশন দাখিল করে চিফ জুডিশিয়াল বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন চান। সে সময় বাদী প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন সাক্ষী নুরজাহানকে সাক্ষী দেওয়ার কথা বললে নুরজাহান ফেরদৌসির কথায় রাজি না হলে ফেরদৌসি খাতুন প্রতারণা করে নুরজাহানের পরিবর্তে জীবননগন বিজিবি ক্যাম্পের নিকট বসবাসরত আনারুলের স্ত্রী ছামিনা খাতুনকে নুরজাহান সাজিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী দেন। যার সাক্ষীতে বিজ্ঞ আদালত আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সে সময় বাবু নিজে স্বেচ্ছাই আদালতের ওপর সম্মান দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে বন্দি আছেন। তারপরও প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন থেমে নেই। পুনরায় আমাদের নামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এই মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসাদাহ ইউপি সদস্য সোহেল রানা শ্যামল, বাবুর চাচাতো ভাই সাইফুল, স্ত্রী আরিফা, কন্যা নাছরিন আক্তার, ভাইয়ের স্ত্রী সাবরিনা খাতুন, আপন ভাই রবিউল ইসলাম ও অমেদুল ইসলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হাসাদাহে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১২:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

প্রতিবেদক, হাসাদাহ:
জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় হাসাদাহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর উপজেলা কর্ন্দপপুর গ্রামের মিজানুর রহমান এবং আমার চাচা মৃত আ. খালেকের ছেলে বাবু একই পাড়াতে বসবাস করে। সেই সূত্রে মিজানুর রহমান আমার চাচাতো ভাই বাবুর বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। সে সময় বাবুর বসবাসের অসুবিধার কারণে মিজানুরকে তার বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে নিষেধ করাই মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসি খাতুন কু-পরামর্শ করে আমার ভাই বাবুর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যেটি তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল হয়। সে সময় তার দাবিতে রাজি না হওয়ায় পুনরায় ফেরদৌসি খাতুন তার স্বামী মিজানুর রহমান, ভাবি নুরজাহান বেগম এবং একই মহল্লাই বসবাসকৃত মিজানুরের বেয়াই লুৎফর রহমানকে সাক্ষী করে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা রুজু করে। মহামান্য আদালত সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সেটিকে জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বরাবর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর সেটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, বাদী ফেরদৌসি খাতুনের আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে সঠিক নয়, এই মর্মে মহামান্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর গ্রাম্য সালিশের জন্য হাসাদাহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সোহেল রানা শ্যামল তাদের উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার কথা বললে বাদী ফেরদৌসি বিবাদী বাবুর নিকট নগদ তিন লাখ টাকা ও এ রাস্তা বাবদ তিন কাঠা জমির দাবি করেন।

ফেরদৌসি খাতুনে প্রস্তাবে বিবাদী পক্ষ রাজি না হওয়ায় ফেরদৌসি খাতুন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর না রাজি পিটশন দাখিল করে চিফ জুডিশিয়াল বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন চান। সে সময় বাদী প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন সাক্ষী নুরজাহানকে সাক্ষী দেওয়ার কথা বললে নুরজাহান ফেরদৌসির কথায় রাজি না হলে ফেরদৌসি খাতুন প্রতারণা করে নুরজাহানের পরিবর্তে জীবননগন বিজিবি ক্যাম্পের নিকট বসবাসরত আনারুলের স্ত্রী ছামিনা খাতুনকে নুরজাহান সাজিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী দেন। যার সাক্ষীতে বিজ্ঞ আদালত আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সে সময় বাবু নিজে স্বেচ্ছাই আদালতের ওপর সম্মান দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে বন্দি আছেন। তারপরও প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন থেমে নেই। পুনরায় আমাদের নামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এই মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসাদাহ ইউপি সদস্য সোহেল রানা শ্যামল, বাবুর চাচাতো ভাই সাইফুল, স্ত্রী আরিফা, কন্যা নাছরিন আক্তার, ভাইয়ের স্ত্রী সাবরিনা খাতুন, আপন ভাই রবিউল ইসলাম ও অমেদুল ইসলাম।