ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

হাসপাতাল চত্বরে ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ভোগান্তি চরমে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মধ্যেই যেন গড়ে উঠেছে ইজিবাইকের স্ট্যান্ড। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে, পুরোনো ভবনের সামনে, নতুন ভবনের সামনে তথা হাসপাতাল এলাকার সব স্থানেই সারি সারি ইজিবাইক রাখছেন চালকেরা। কোনো কোনো চালক ইজিবাইক রেখে চা খাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন যাত্রীর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী সাধারণরা। পায়ে হেঁটে যাওয়ার মতো সামান্য জায়গা পর্যন্ত থাকছে না ইজিবাইকের ভিড়ে। অ্যাম্বুলেন্সে গুরুতর অসুস্থ রোগী আসলেও হাসপাতালের মধ্যে নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়ছেন বেজায় ঝামেলায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বারবার নিষেধ করা, ট্রাফিক পুলিশ এবং হাসপাতালের দারোয়ান দিয়ে চেষ্টা করা হলেও ইজিবাইক চালকেরা কোনো কথায় শুনছেন না।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো হাসপাতাল চত্বরে ইজিবাইক আর ইজিবাইক। দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এখানেই বোধহয় চুয়াডাঙ্গার ইজিবাইকের স্ট্যান্ড। পায়ে হেটে মূল ভবনে উঠতে গেলেও বেশ কয়েকটি ইজিবাইকের ভিড় সামলে তারপর যেতে হবে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মহিরন নেছা নামে এক নারী বলেন, ইজিবাইকের ভিড় সামলে ভেতর পর্যন্ত যাওয়ায় তো মুশকিল। এমনিতেই অসুস্থ, তারওপর আবার এরকম অবস্থা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন আমির আলী বলেন, ‘তিন দিন ধরে আত্মীয় ভর্তি। আমি সাথেই আছি। বিশেষ করে দিনের বেলায় ইজিবাইকের কারণে বাইরে ওষুধ কিনতে যাওয়াও মুশকিল। মনে হচ্ছে হাসপাতালের সিড়ি থেকে ইজিবাইকে চড়তে হবে। আবার ওনারাই সিড়ি পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে যাবেন। এটা সুবিধা না অসুবিধা সেটা বোঝায় দায়। তবে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে এভাবে এতো বেশি পরিমাণে ইজিবাইক থাকা মোটেও কাম্য নয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, মূল গেট থেকেই ইজিবাইকগুলো যাতে হাসপাতাল চত্বরে আসতে না পারে, সে জন্য দারোয়ান আছে। জেলা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরাও গেটে থাকে। তবে অনেক রোগীই ইজিবাইকে ভেতর অব্দি আসে। চালকদের বলা আছে, রোগী নামিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও ইজিবাইক চালকেরা মানতে চায় না। এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হাসপাতাল চত্বরে ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ভোগান্তি চরমে!

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মধ্যেই যেন গড়ে উঠেছে ইজিবাইকের স্ট্যান্ড। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে, পুরোনো ভবনের সামনে, নতুন ভবনের সামনে তথা হাসপাতাল এলাকার সব স্থানেই সারি সারি ইজিবাইক রাখছেন চালকেরা। কোনো কোনো চালক ইজিবাইক রেখে চা খাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন যাত্রীর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী সাধারণরা। পায়ে হেঁটে যাওয়ার মতো সামান্য জায়গা পর্যন্ত থাকছে না ইজিবাইকের ভিড়ে। অ্যাম্বুলেন্সে গুরুতর অসুস্থ রোগী আসলেও হাসপাতালের মধ্যে নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়ছেন বেজায় ঝামেলায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বারবার নিষেধ করা, ট্রাফিক পুলিশ এবং হাসপাতালের দারোয়ান দিয়ে চেষ্টা করা হলেও ইজিবাইক চালকেরা কোনো কথায় শুনছেন না।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো হাসপাতাল চত্বরে ইজিবাইক আর ইজিবাইক। দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এখানেই বোধহয় চুয়াডাঙ্গার ইজিবাইকের স্ট্যান্ড। পায়ে হেটে মূল ভবনে উঠতে গেলেও বেশ কয়েকটি ইজিবাইকের ভিড় সামলে তারপর যেতে হবে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মহিরন নেছা নামে এক নারী বলেন, ইজিবাইকের ভিড় সামলে ভেতর পর্যন্ত যাওয়ায় তো মুশকিল। এমনিতেই অসুস্থ, তারওপর আবার এরকম অবস্থা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন আমির আলী বলেন, ‘তিন দিন ধরে আত্মীয় ভর্তি। আমি সাথেই আছি। বিশেষ করে দিনের বেলায় ইজিবাইকের কারণে বাইরে ওষুধ কিনতে যাওয়াও মুশকিল। মনে হচ্ছে হাসপাতালের সিড়ি থেকে ইজিবাইকে চড়তে হবে। আবার ওনারাই সিড়ি পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে যাবেন। এটা সুবিধা না অসুবিধা সেটা বোঝায় দায়। তবে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে এভাবে এতো বেশি পরিমাণে ইজিবাইক থাকা মোটেও কাম্য নয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, মূল গেট থেকেই ইজিবাইকগুলো যাতে হাসপাতাল চত্বরে আসতে না পারে, সে জন্য দারোয়ান আছে। জেলা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরাও গেটে থাকে। তবে অনেক রোগীই ইজিবাইকে ভেতর অব্দি আসে। চালকদের বলা আছে, রোগী নামিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও ইজিবাইক চালকেরা মানতে চায় না। এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।