ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজুর সংবর্ধনায় জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

আশাদুল-দিলীপ-ডা. মেহেদী ও জিপু বললেন- আগামীতেও সকল নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর হয়েই কাজ করব

আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ও প্রচেষ্টায় আমি নির্বাচিত হয়েছি : নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজু

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। কারণ, শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পেরেছি। আমরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী। দুঃসময়ে আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। আগামীতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু পাঁচ বছর যেন আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারে, সেই দোয়া কামনা করি।’
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ও প্রচেষ্টায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। আগামীতে যেন আমার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা চাচ্ছি।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সংগ্রামী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। মনজু ভাইয়ের জন্য এই লড়াইয়ে চুয়াডাঙ্গার যারা ভোটার ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজ শেখ হাসিনার এই প্রার্থীর বিজয়ের জন্য আমরা খুশি। আমাদের মনজু ভাই পাঁচ বছর চেষ্টা করে, সেবা দিয়ে, কাজ করে আমাদের এই ঋণ থেকে মুক্তি দেবে আমাদের এই প্রত্যাশা।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা মনজু ভাইকে সংবর্ধনার এ অনুষ্ঠানের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে আমরা নৌকার লোক। আমরা শেখ হাসিনার লোক। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়ে কাজ করব। আগামীতেও সকল নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়েই কাজ করব। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এই টিম তার পক্ষে কাজ করেছে। এর অপজিশনে আরেকটি টিম কাজ করেছে। যেটা মোটেও সুখকর হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাণিজ্য করেছে। সবার কাছে আমার একটাই আহ্বান, আপনারা বাণিজ্য বন্ধ করেন। আমাদের কোনো লীগ নেই, বঙ্গবন্ধু যে লীগ তৈরি করেছেন, শেখ হাসিনা যেটার কাণ্ডারি, আমরা তার হাত ধরে পথ চলব। ব্যক্তিগত লীগ থেকে আপনারা বিরত থাকেন। মনজু ভাইকে আগামী পাঁচ বছর আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এই বিজয় চুয়াডাঙ্গাবাসীর। আগামী দিনে আরও বিজয় লাভ করতে হবে। ৩০ অক্টোবর পৌর এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। ১২ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সেখানেও আমাদের জয়লাভ করতে হবে। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন আসছে, সেখানেও আমাদেও জয়লাভ করতে হবে। আমাদের ভেতরে একতা থাকতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দলের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক, সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘আমরা যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ের জন্য মাঠে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে একটি গ্রুপ আরেকজনকে দাঁড় করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ চাচার নেতৃত্বে এবং এমপি আলী আজগর টগর চাচার সমন্বয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করেছি এবং দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। আমি কেন্দ্রীয় নেতা বাহাউদ্দীন নাসিম ভাইয়ের বাসায় গিয়ে এক ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গার চিত্র তুলে ধরেছিলাম। বাহাউদ্দীন নাসিম ভাই এবং বিএম মোজাম্মেল ভাই সেদিন বলেছিলেন, আমরা চুয়াডাঙ্গায় যাব। আমরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করব। কেন্দ্রীয় নেতারা আসলেন, কিন্তু একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও পাশ কাটিয়ে গেলেন। কিন্তু ভোটাররা জননেত্রীর শেখ হাসিনার প্রার্থীকে ভোট দিতে ভুলে যাননি। যারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মানেনি, আজকে তারাই পরাজিত হয়েছে। আমি তাদেরকে বলি, আপনারা আর ভুল কইরেন না। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই আমি কামনা করি। আর আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দলকে আরো সুসংগঠিত করি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজুর সংবর্ধনায় জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ

আপলোড টাইম : ১০:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

আশাদুল-দিলীপ-ডা. মেহেদী ও জিপু বললেন- আগামীতেও সকল নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর হয়েই কাজ করব

আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ও প্রচেষ্টায় আমি নির্বাচিত হয়েছি : নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজু

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। কারণ, শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পেরেছি। আমরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী। দুঃসময়ে আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। আগামীতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু পাঁচ বছর যেন আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারে, সেই দোয়া কামনা করি।’
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ও প্রচেষ্টায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। আগামীতে যেন আমার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা চাচ্ছি।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সংগ্রামী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। মনজু ভাইয়ের জন্য এই লড়াইয়ে চুয়াডাঙ্গার যারা ভোটার ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজ শেখ হাসিনার এই প্রার্থীর বিজয়ের জন্য আমরা খুশি। আমাদের মনজু ভাই পাঁচ বছর চেষ্টা করে, সেবা দিয়ে, কাজ করে আমাদের এই ঋণ থেকে মুক্তি দেবে আমাদের এই প্রত্যাশা।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা মনজু ভাইকে সংবর্ধনার এ অনুষ্ঠানের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে আমরা নৌকার লোক। আমরা শেখ হাসিনার লোক। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়ে কাজ করব। আগামীতেও সকল নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়েই কাজ করব। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এই টিম তার পক্ষে কাজ করেছে। এর অপজিশনে আরেকটি টিম কাজ করেছে। যেটা মোটেও সুখকর হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাণিজ্য করেছে। সবার কাছে আমার একটাই আহ্বান, আপনারা বাণিজ্য বন্ধ করেন। আমাদের কোনো লীগ নেই, বঙ্গবন্ধু যে লীগ তৈরি করেছেন, শেখ হাসিনা যেটার কাণ্ডারি, আমরা তার হাত ধরে পথ চলব। ব্যক্তিগত লীগ থেকে আপনারা বিরত থাকেন। মনজু ভাইকে আগামী পাঁচ বছর আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এই বিজয় চুয়াডাঙ্গাবাসীর। আগামী দিনে আরও বিজয় লাভ করতে হবে। ৩০ অক্টোবর পৌর এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। ১২ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সেখানেও আমাদের জয়লাভ করতে হবে। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন আসছে, সেখানেও আমাদেও জয়লাভ করতে হবে। আমাদের ভেতরে একতা থাকতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দলের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক, সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘আমরা যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ের জন্য মাঠে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে একটি গ্রুপ আরেকজনকে দাঁড় করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ চাচার নেতৃত্বে এবং এমপি আলী আজগর টগর চাচার সমন্বয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করেছি এবং দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। আমি কেন্দ্রীয় নেতা বাহাউদ্দীন নাসিম ভাইয়ের বাসায় গিয়ে এক ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গার চিত্র তুলে ধরেছিলাম। বাহাউদ্দীন নাসিম ভাই এবং বিএম মোজাম্মেল ভাই সেদিন বলেছিলেন, আমরা চুয়াডাঙ্গায় যাব। আমরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করব। কেন্দ্রীয় নেতারা আসলেন, কিন্তু একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও পাশ কাটিয়ে গেলেন। কিন্তু ভোটাররা জননেত্রীর শেখ হাসিনার প্রার্থীকে ভোট দিতে ভুলে যাননি। যারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মানেনি, আজকে তারাই পরাজিত হয়েছে। আমি তাদেরকে বলি, আপনারা আর ভুল কইরেন না। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই আমি কামনা করি। আর আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দলকে আরো সুসংগঠিত করি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার।