ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

স্থানীয়দের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক সরকারি সম্পত্তি লিজ দেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, গাংনী:

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮ নং ধানখোলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি পরিমান পৌনে ৩বিঘা ২০২১ সালে ১৩ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালে ১৪ হাজার টাকায় আবার লিজ দেওয়া হয়। প্রচলিত বাজার ম‚ল্যে উক্ত জমির বছর চুক্তি মুল্য আসে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই ব্যক্তিকে পর পর তিন বছর অত্যন্ত স্বপ্ল ম‚ল্যে এই জমি লিজ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার সেখানে রাজস্ব হারাচ্ছে ও প্রান্তিক চাষী মোশারেফ হোসেন বলেন, ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে ৩বিঘা জমি আমি দুই বছর যাবত চাষ-আবাদ করি। প্রথম বছর লিজের টাকা পরিশোধ করি ২২ হাজার টাকা ও চলতি বছর জমি লিজের টাকা পরিশোধ করি ২৪ হাজার টাকা। উক্ত গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে মহিদুল ইসলাম ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে ৩বিঘা জমি ৩৯ হাজার টাকায় বাৎসরিক লিজ নেয়। কিন্তু সেখানে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিদ্যালয় ফান্ডে জমা হয় ১৪ হাজার টাকা। বাকি টাকার কোন হদিস নেই।

ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম হারু বলেন, এই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ফয়সালের যোগসাজসে বিদ্যালয়ের ¯িøপ ও জমি লিজের সমুদয় টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খায়। এবং ফয়সালের ভাই ফরিদ সন্ত্রাসী ছিল। যার প্রভাব ফয়সালের মধ্যে এখনো বিদ্যমান।

গাংনী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বলেন, আমি মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে উক্ত লিজ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া আগামী দু-একদিনের মধ্যে সরোজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি রাজস্ব নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলে তাকে কোনরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

মেহেরপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভ‚পেশ রঞ্জন রায় বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়, আমি বিষয়টি সম্পর্কে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্থানীয়দের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক সরকারি সম্পত্তি লিজ দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২

প্রতিবেদক, গাংনী:

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮ নং ধানখোলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি পরিমান পৌনে ৩বিঘা ২০২১ সালে ১৩ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালে ১৪ হাজার টাকায় আবার লিজ দেওয়া হয়। প্রচলিত বাজার ম‚ল্যে উক্ত জমির বছর চুক্তি মুল্য আসে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই ব্যক্তিকে পর পর তিন বছর অত্যন্ত স্বপ্ল ম‚ল্যে এই জমি লিজ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার সেখানে রাজস্ব হারাচ্ছে ও প্রান্তিক চাষী মোশারেফ হোসেন বলেন, ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে ৩বিঘা জমি আমি দুই বছর যাবত চাষ-আবাদ করি। প্রথম বছর লিজের টাকা পরিশোধ করি ২২ হাজার টাকা ও চলতি বছর জমি লিজের টাকা পরিশোধ করি ২৪ হাজার টাকা। উক্ত গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে মহিদুল ইসলাম ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে ৩বিঘা জমি ৩৯ হাজার টাকায় বাৎসরিক লিজ নেয়। কিন্তু সেখানে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিদ্যালয় ফান্ডে জমা হয় ১৪ হাজার টাকা। বাকি টাকার কোন হদিস নেই।

ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম হারু বলেন, এই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ফয়সালের যোগসাজসে বিদ্যালয়ের ¯িøপ ও জমি লিজের সমুদয় টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খায়। এবং ফয়সালের ভাই ফরিদ সন্ত্রাসী ছিল। যার প্রভাব ফয়সালের মধ্যে এখনো বিদ্যমান।

গাংনী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বলেন, আমি মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে উক্ত লিজ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া আগামী দু-একদিনের মধ্যে সরোজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি রাজস্ব নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলে তাকে কোনরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

মেহেরপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভ‚পেশ রঞ্জন রায় বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়, আমি বিষয়টি সম্পর্কে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি।