ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে হত্যা: আসামি আকাশ কারাগারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপু হত্যা মামলার এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মানিক দাস বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ আদেশ দেন।

এর আগে তপু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এমদাদুল হক আকাশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর।

চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় আল হেলাল ইসলামিয়া একাডেমিতে রোববার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে তপুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তপুর কয়েকজন বন্ধু জানান, তাদের এক সহপাঠীর সঙ্গে তপুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটিকে হকপাড়ার সিহাব আলী নামে একজন পছন্দ করত।

ঘটনার দিন সকালে স্কুলের সামনে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিল তপু। সিহাবও মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে তপুর সঙ্গে সিহাবের বাগবিতণ্ডা হয়।

এর পর ফোন করে কয়েকজনকে ডাকে সিহাব। কিছুক্ষণের মধ্যে কালো রঙের বাইকে করে সেখানে হাজির হয় ফার্মপাড়ার ইমন হোসেন, শান্তিপাড়ার এমদাদুল হক আকাশ ও মুসলিমপাড়ার রূপক হোসেন। সিহাবের নেতৃত্বে তারা তপুকে ধারাল রামদা ও চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। প্রথমে তারা তপুর মাথায় কোপ দেয়। আঘাত ঠেকাতে গিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তপুর। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তপুর বড় ভাই মাসুদুর রহমান  বলেন, ‘তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তপু ছিল সবার ছোট। সে ছিল খুব মেধাবী। কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না তপু। সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে গিয়েছিল। সেখানে ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কী কারণে মেরেছে আমরা কিছুই জানিনা। তপুর কোনো শত্রুও ছিল না। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আল হেলাল ইসলামিয়া একাডেমির এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপু হত্যার ঘটনায় রোববার রাত ১২টার দিকে তার বড় ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে হত্যা: আসামি আকাশ কারাগারে

আপলোড টাইম : ০৭:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপু হত্যা মামলার এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মানিক দাস বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ আদেশ দেন।

এর আগে তপু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এমদাদুল হক আকাশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর।

চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় আল হেলাল ইসলামিয়া একাডেমিতে রোববার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে তপুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তপুর কয়েকজন বন্ধু জানান, তাদের এক সহপাঠীর সঙ্গে তপুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটিকে হকপাড়ার সিহাব আলী নামে একজন পছন্দ করত।

ঘটনার দিন সকালে স্কুলের সামনে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিল তপু। সিহাবও মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে তপুর সঙ্গে সিহাবের বাগবিতণ্ডা হয়।

এর পর ফোন করে কয়েকজনকে ডাকে সিহাব। কিছুক্ষণের মধ্যে কালো রঙের বাইকে করে সেখানে হাজির হয় ফার্মপাড়ার ইমন হোসেন, শান্তিপাড়ার এমদাদুল হক আকাশ ও মুসলিমপাড়ার রূপক হোসেন। সিহাবের নেতৃত্বে তারা তপুকে ধারাল রামদা ও চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। প্রথমে তারা তপুর মাথায় কোপ দেয়। আঘাত ঠেকাতে গিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তপুর। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তপুর বড় ভাই মাসুদুর রহমান  বলেন, ‘তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তপু ছিল সবার ছোট। সে ছিল খুব মেধাবী। কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না তপু। সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে গিয়েছিল। সেখানে ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কী কারণে মেরেছে আমরা কিছুই জানিনা। তপুর কোনো শত্রুও ছিল না। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আল হেলাল ইসলামিয়া একাডেমির এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপু হত্যার ঘটনায় রোববার রাত ১২টার দিকে তার বড় ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।