ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

সাপ দেখার কথা বলে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ‘ধর্ষণ’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদায় ৯ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা প্রতিবেশী সাইদুর রহমান ওরফে পটল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দামুড়হুদা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কুনিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত সাইদুর রহমান পটল দামুড়হুদা সদর উপজেলার চাঁদপুর পশ্চিমপাড়ার তেলার ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে আমার মেয়ে ছাদের ওপর ওর খালাতো বোনের সঙ্গে খেলা করছিল। এসময় বাড়ির পেছনের ভৈরব নদীর পাড়ে গ্রামের পটল নামের এক ব্যক্তি ভেড়া চরাচ্ছিল। পটল আমার মেয়েকে সাপ দেখানোর ইশারায় তাকে নিচে ডাকলে সে আমার বোনের মেয়েকে ইশারায় সাপ দেখতে যাওয়ার কথা বলে নদীর দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পড়ে আমার মেয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে বেরিয়ে সে ইশারায় জানায়, নদীর ধারের ঝোপের মধ্যে সাপ দেখানোর ইশারায় ডেকে ভেড়া রাখাল পটল তার সঙ্গে খারাপ কিছু করেছে। তার শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে পাজামায় লেগে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে নিয়ে প্রথমে দামুড়হুদা থানায় ও সেখান থেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার বাক প্রতিবন্ধী শিশু মেয়ের ওপর অত্যাচারের শাস্তি চাই।’

স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আলিম বলেন, ‘চাঁদপুর গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে পেরেছি। মেয়েটির ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে তার ওপর অত্যাচারের বিষয়ে জানিয়েছে। মেয়েটির পাজামায় রক্তের ছাপও পাওয়া গেছে। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী অভিযুক্ত পটলকে ধরে চড়-থাপ্পড় দিলে সে পালিয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘রাত নয়টার দিকে ৯ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যাকে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। আমরা শিশুটিক জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে ভর্তি রেখেছি। আগামীকাল গাইনি বিশেষজ্ঞ শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দামুড়হুদা থানাধীন চাঁদপুর গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মৌখিক অভিযোগ পেরেছি। শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির মেডিকেল রিপোর্ট পেলে ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাপ দেখার কথা বলে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ‘ধর্ষণ’

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদায় ৯ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা প্রতিবেশী সাইদুর রহমান ওরফে পটল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দামুড়হুদা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কুনিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত সাইদুর রহমান পটল দামুড়হুদা সদর উপজেলার চাঁদপুর পশ্চিমপাড়ার তেলার ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে আমার মেয়ে ছাদের ওপর ওর খালাতো বোনের সঙ্গে খেলা করছিল। এসময় বাড়ির পেছনের ভৈরব নদীর পাড়ে গ্রামের পটল নামের এক ব্যক্তি ভেড়া চরাচ্ছিল। পটল আমার মেয়েকে সাপ দেখানোর ইশারায় তাকে নিচে ডাকলে সে আমার বোনের মেয়েকে ইশারায় সাপ দেখতে যাওয়ার কথা বলে নদীর দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পড়ে আমার মেয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে বেরিয়ে সে ইশারায় জানায়, নদীর ধারের ঝোপের মধ্যে সাপ দেখানোর ইশারায় ডেকে ভেড়া রাখাল পটল তার সঙ্গে খারাপ কিছু করেছে। তার শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে পাজামায় লেগে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে নিয়ে প্রথমে দামুড়হুদা থানায় ও সেখান থেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার বাক প্রতিবন্ধী শিশু মেয়ের ওপর অত্যাচারের শাস্তি চাই।’

স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আলিম বলেন, ‘চাঁদপুর গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে পেরেছি। মেয়েটির ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে তার ওপর অত্যাচারের বিষয়ে জানিয়েছে। মেয়েটির পাজামায় রক্তের ছাপও পাওয়া গেছে। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী অভিযুক্ত পটলকে ধরে চড়-থাপ্পড় দিলে সে পালিয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘রাত নয়টার দিকে ৯ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যাকে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। আমরা শিশুটিক জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে ভর্তি রেখেছি। আগামীকাল গাইনি বিশেষজ্ঞ শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দামুড়হুদা থানাধীন চাঁদপুর গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মৌখিক অভিযোগ পেরেছি। শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির মেডিকেল রিপোর্ট পেলে ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’