ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

‘সন্ত্রাসী’ হাশেম রেজাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১১৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ও ঞযব ফধরষু ঢ়ড়ংঃ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হাশেম রেজার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দামুড়হুদার কুড়লগাছি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুড়ুলগাছী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ হাশেম রেজার বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। মানববন্ধনের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, ‘সাংবাদিক শিমুল রেজাকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা করায় সন্ত্রাসী হাসেম রেজার দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন।’

মানববন্ধনে কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাফিউদ্দিন, সাংবাদিক শিমুল রেজা, মাসুদ রানা ও কফিল উদ্দিন বলেন, ‘দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকা ও ঞযব ফধরষু ঢ়ড়ংঃ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হাশেম রেজা গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার নিজ গ্রামের বাড়ি কুড়ুলগাছী আসেন। তিনি আগামী চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত রোববার কুড়ুলগাছী আদর্শ কৃষি সমবায় সমিতির বার্ষিক সভা ও আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নূর হাকিমের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে হাশেম রেজা তার আত্মীয়-স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে পরপর দুইদিন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করেন। আহতরা হলেন- কুড়ুলগাছী গ্রামের সাবেক মেম্বর মৃত নুর ইসলামের ছেলে শামসুল ইসলাম (৫০), মোতালেব হোসেনের ছেলে রানা (৩৫), সাংবাদিক শিমুল রেজা (৩২), আব্দুল (২৮), জামাল উদ্দিনের ছেলে বকুল (৩৮)।‘

বক্তারা মানববন্ধনে আরও অভিযোগ করেন, ‘গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হাশেম রোজা ও মধুসহ ৫-৬ জন সাংবাদিক শিমুল রেজাকে কার্পাসডাঙ্গা হাসানের দোকান থেকে মারপিট করতে করতে তার অফিসে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নিরব হোসেন শিমুল রেজাকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের সামনেও হাশেম রেজা সাংবাদিক শিমুল রেজাকে চড়-থাপ্পর মারেন। পরে শিমুল রেজাকে পুলিশ তার দাদার জিম্মায় দেয়। এ ঘটনায় শিমুল রেজা গত বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা থানায় হাসেম রেজার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ শিমুল রেজার মোবাইল ফোনটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।’

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচর্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক শিমুল রেজার ঘটনায় এজহার গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। ইতোপূর্বে হাশেম রেজার বিরুদ্ধে শিমুল রেজা আদালতেও মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর-১৯৯/২৩।

হাশেম রেজা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে মানববন্ধন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি পক্ষ আমার সম্মানহানি করতে কয়েকজন লোক নিয়ে এই মানববন্ধনটি সাজিয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

‘সন্ত্রাসী’ হাশেম রেজাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

দর্শনা অফিস:
জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ও ঞযব ফধরষু ঢ়ড়ংঃ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হাশেম রেজার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দামুড়হুদার কুড়লগাছি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুড়ুলগাছী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ হাশেম রেজার বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। মানববন্ধনের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, ‘সাংবাদিক শিমুল রেজাকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা করায় সন্ত্রাসী হাসেম রেজার দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন।’

মানববন্ধনে কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাফিউদ্দিন, সাংবাদিক শিমুল রেজা, মাসুদ রানা ও কফিল উদ্দিন বলেন, ‘দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকা ও ঞযব ফধরষু ঢ়ড়ংঃ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হাশেম রেজা গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার নিজ গ্রামের বাড়ি কুড়ুলগাছী আসেন। তিনি আগামী চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত রোববার কুড়ুলগাছী আদর্শ কৃষি সমবায় সমিতির বার্ষিক সভা ও আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নূর হাকিমের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে হাশেম রেজা তার আত্মীয়-স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে পরপর দুইদিন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করেন। আহতরা হলেন- কুড়ুলগাছী গ্রামের সাবেক মেম্বর মৃত নুর ইসলামের ছেলে শামসুল ইসলাম (৫০), মোতালেব হোসেনের ছেলে রানা (৩৫), সাংবাদিক শিমুল রেজা (৩২), আব্দুল (২৮), জামাল উদ্দিনের ছেলে বকুল (৩৮)।‘

বক্তারা মানববন্ধনে আরও অভিযোগ করেন, ‘গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হাশেম রোজা ও মধুসহ ৫-৬ জন সাংবাদিক শিমুল রেজাকে কার্পাসডাঙ্গা হাসানের দোকান থেকে মারপিট করতে করতে তার অফিসে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নিরব হোসেন শিমুল রেজাকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের সামনেও হাশেম রেজা সাংবাদিক শিমুল রেজাকে চড়-থাপ্পর মারেন। পরে শিমুল রেজাকে পুলিশ তার দাদার জিম্মায় দেয়। এ ঘটনায় শিমুল রেজা গত বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা থানায় হাসেম রেজার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ শিমুল রেজার মোবাইল ফোনটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।’

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচর্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক শিমুল রেজার ঘটনায় এজহার গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। ইতোপূর্বে হাশেম রেজার বিরুদ্ধে শিমুল রেজা আদালতেও মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর-১৯৯/২৩।

হাশেম রেজা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে মানববন্ধন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি পক্ষ আমার সম্মানহানি করতে কয়েকজন লোক নিয়ে এই মানববন্ধনটি সাজিয়েছে।’