ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছেন জামাই

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে স্ত্রী ও সন্তান ফেলে পালিয়েছেন সজিব আহম্মেদ পিণ্টু। নিরুদ্দেশ স্বামীর সন্ধানে স্ত্রী দিনার খাতুন নদী পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সজিব আহম্মেদ পিণ্টু ঢাকার মিরপুর-১১ এলাকার সি ব্লকের সফিকুল ইসলাম বুলবুলের ছেলে। তিনি বাংলালিংক কোম্পানির এসআর হিসেবে চাকরি করতেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এসে দিনার খাতুন নদী অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী পিণ্টু পাঁচ মাস আগে ব্যবসার কথা বলে তার ভাইয়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যবসা করেনি। এরপর তিনি বাংলালিংক কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল দাবি করলে সেটাও পূরণ করেন তার ভাই। তবে এক মাস আগে ভূমি অফিসে চাকরি হয়েছে বলে জানালে তার বাবা সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের মসলেম উদ্দীন ব্র্যাক এনজিও থেকে দেড় লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জামাইকে দেন। এরপর বাংলালিংক ঝিনাইদহ অফিস থেকে আরও ৮০ হাজার টাকা ধার করেন পিণ্টু।
দিনার খাতুন নদী আরও বলেন, কৌশলে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রতারক পিণ্টু বরিশালে পোস্টিং হয়েছে বলে এক মাস আগে স্ত্রী-সন্তান ফেলে চলে গেছেন। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধার-দেনা করে পিণ্টুকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এই টাকার দায়ভার নদী ও তার বৃদ্ধ পিতার ওপর পড়ছে। তাদের গোটা পরিবার বিপদগ্রস্ত বলেও দিনার খাতুন নদী সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে সজিব আহম্মেদ পিণ্টুর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছেন জামাই

আপলোড টাইম : ১০:২৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে স্ত্রী ও সন্তান ফেলে পালিয়েছেন সজিব আহম্মেদ পিণ্টু। নিরুদ্দেশ স্বামীর সন্ধানে স্ত্রী দিনার খাতুন নদী পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সজিব আহম্মেদ পিণ্টু ঢাকার মিরপুর-১১ এলাকার সি ব্লকের সফিকুল ইসলাম বুলবুলের ছেলে। তিনি বাংলালিংক কোম্পানির এসআর হিসেবে চাকরি করতেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এসে দিনার খাতুন নদী অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী পিণ্টু পাঁচ মাস আগে ব্যবসার কথা বলে তার ভাইয়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যবসা করেনি। এরপর তিনি বাংলালিংক কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল দাবি করলে সেটাও পূরণ করেন তার ভাই। তবে এক মাস আগে ভূমি অফিসে চাকরি হয়েছে বলে জানালে তার বাবা সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের মসলেম উদ্দীন ব্র্যাক এনজিও থেকে দেড় লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জামাইকে দেন। এরপর বাংলালিংক ঝিনাইদহ অফিস থেকে আরও ৮০ হাজার টাকা ধার করেন পিণ্টু।
দিনার খাতুন নদী আরও বলেন, কৌশলে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রতারক পিণ্টু বরিশালে পোস্টিং হয়েছে বলে এক মাস আগে স্ত্রী-সন্তান ফেলে চলে গেছেন। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধার-দেনা করে পিণ্টুকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এই টাকার দায়ভার নদী ও তার বৃদ্ধ পিতার ওপর পড়ছে। তাদের গোটা পরিবার বিপদগ্রস্ত বলেও দিনার খাতুন নদী সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে সজিব আহম্মেদ পিণ্টুর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।