ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিশু ইয়ামিনের দাফন সম্পন্ন, ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা: হত্যার ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও গ্রেপ্তার নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গায় খুন হওয়া ২য় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিনের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় কানাইডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে বেদনাবিধুর পরিবেশে ইয়ামিনের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে বেলা দেড়টার দিকে সদর হাসপাতাল মর্গে ইয়ামিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের নিকট ইয়ামিনের মরদেহ হস্তান্তর করে।

শিশু ইয়ামিন হত্যা ঘটনায় গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ‘নিহত ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে জাহিদুলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশের চিরুনি অভিযান অব্যহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশের আমবাগানে খেলা করছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এসময় একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য চিকিৎসক আশাদুল ইসলামের ছেলে ও কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলাম ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। এসময় ইয়ামিন মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে। ইয়ামিন বাকি ১০ টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে জাহিদুল। এসময় ছোট ভাইকে মারধর করতে দেখে ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন বাড়িতে খবর দিতে ওখান থেকে পালিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে ইয়ামিনের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিশু ইয়ামিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় জাহিদে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটকের চেষ্টা করে। ঠিক তখনি জাহিদের পরিবারের সদস্যরা জাহিদকে পালাতে সাহায্য করলে সে পালিয়ে যায়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শিশু ইয়ামিনের দাফন সম্পন্ন, ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা: হত্যার ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও গ্রেপ্তার নেই

আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গায় খুন হওয়া ২য় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিনের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় কানাইডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে বেদনাবিধুর পরিবেশে ইয়ামিনের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে বেলা দেড়টার দিকে সদর হাসপাতাল মর্গে ইয়ামিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের নিকট ইয়ামিনের মরদেহ হস্তান্তর করে।

শিশু ইয়ামিন হত্যা ঘটনায় গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ‘নিহত ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে জাহিদুলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশের চিরুনি অভিযান অব্যহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশের আমবাগানে খেলা করছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এসময় একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য চিকিৎসক আশাদুল ইসলামের ছেলে ও কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলাম ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। এসময় ইয়ামিন মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে। ইয়ামিন বাকি ১০ টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে জাহিদুল। এসময় ছোট ভাইকে মারধর করতে দেখে ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন বাড়িতে খবর দিতে ওখান থেকে পালিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে ইয়ামিনের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিশু ইয়ামিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় জাহিদে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটকের চেষ্টা করে। ঠিক তখনি জাহিদের পরিবারের সদস্যরা জাহিদকে পালাতে সাহায্য করলে সে পালিয়ে যায়।’