ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শসা খেয়ে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে দুজন!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জীবননগর থেকে লোকাল বাসে চড়ে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন আলহাজ্ব হোসেন (৩৫) ও রিয়াজ হোসেন (২২) নামের দুই যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাসটি জীবননগর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে আসার পথে অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়েন তারা। বাস থেকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে নামার পড়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজনই। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় রিয়াজ কিছুটা সুস্থ হলেও চেতনা না ফেরায় আলহাজ্বকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া আলহাজ্ব হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওয়াবাসেদ গ্রামের আবু বক্কর ফকিরের ছেলে ও এক্সকেভেটর চালক, অপর যুবক হলেন ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন শিবরামপুর গ্রামের নায়েব আলী মোল্লার ছেলে ও এক্সকেভেটরের মিস্ত্রি।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়া রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘চাকরিসূত্রে এক্সকেভেটরের চালক আলহাজ্ব ও তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবস্থান করছিলেন। তবে এক্সকেভেটরটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর যন্ত্রাংশ কিনতে জীবননগর থেকে লোকাল বাসযোগে চুয়াডঙ্গা আসছিলেন তারা। চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে বাসের মধ্যে থেকে একজন হকারের নিকট থেকে দুজনই শসা কিনে খান। এরপর থেকেই তাদের মাথায় চক্কর দিতে শুরু করে। বাসটি চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে থামলে দুজনই বাস থেকে নামেন। তবে বাস থেকে নামার পড়েই এক্সকেভেটরের চালক আলহাজ অচেতন হয়ে পড়েন। তিনিও এরপরে কখন কোথায় গেছেন তা মনে রাখতে পারেননি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘প্রায়ই সদর হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অসুস্থ দু-একজন ভর্তি হয়। আজ (গতকাল) আলহাজ্ব নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানতে পারি বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ খাবারে সঙ্গে মিশিয়ে ট্রাঙ্কুলাইজার (চেতনানাশক) জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাইদ বলেন, ‘বাসের মধ্যে শসা খেয়ে দুজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন বলে জানতে পারি। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শসা খেয়ে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে দুজন!

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জীবননগর থেকে লোকাল বাসে চড়ে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন আলহাজ্ব হোসেন (৩৫) ও রিয়াজ হোসেন (২২) নামের দুই যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাসটি জীবননগর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে আসার পথে অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়েন তারা। বাস থেকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে নামার পড়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজনই। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় রিয়াজ কিছুটা সুস্থ হলেও চেতনা না ফেরায় আলহাজ্বকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া আলহাজ্ব হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওয়াবাসেদ গ্রামের আবু বক্কর ফকিরের ছেলে ও এক্সকেভেটর চালক, অপর যুবক হলেন ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন শিবরামপুর গ্রামের নায়েব আলী মোল্লার ছেলে ও এক্সকেভেটরের মিস্ত্রি।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়া রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘চাকরিসূত্রে এক্সকেভেটরের চালক আলহাজ্ব ও তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবস্থান করছিলেন। তবে এক্সকেভেটরটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর যন্ত্রাংশ কিনতে জীবননগর থেকে লোকাল বাসযোগে চুয়াডঙ্গা আসছিলেন তারা। চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে বাসের মধ্যে থেকে একজন হকারের নিকট থেকে দুজনই শসা কিনে খান। এরপর থেকেই তাদের মাথায় চক্কর দিতে শুরু করে। বাসটি চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে থামলে দুজনই বাস থেকে নামেন। তবে বাস থেকে নামার পড়েই এক্সকেভেটরের চালক আলহাজ অচেতন হয়ে পড়েন। তিনিও এরপরে কখন কোথায় গেছেন তা মনে রাখতে পারেননি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘প্রায়ই সদর হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অসুস্থ দু-একজন ভর্তি হয়। আজ (গতকাল) আলহাজ্ব নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানতে পারি বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ খাবারে সঙ্গে মিশিয়ে ট্রাঙ্কুলাইজার (চেতনানাশক) জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাইদ বলেন, ‘বাসের মধ্যে শসা খেয়ে দুজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন বলে জানতে পারি। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’