ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

শখের মোটরসাইকেলেই প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইমরান হোসেন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে মোটরসাইকেলের আরোহী আলিফ (১৫)। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায়র দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামের কোটালি মাঠ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা গুরুতর জখম অবস্থায় ইমরান ও আলিফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন ও আলিফকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। নিহত ইমরান দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরি বেগমপুর গ্রামের হাটপাড়ার প্রবাসী ইকরামুল ইসলামের ছেলে ও হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত আলিফ একই এলাকার মিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই-বোনের মধ্যে ইমরান ছোট। ছয় মাস পূর্বে ইমরানের বাইনা মেটাতে দ্রুতগতির ফোর-ভি মোটরসাইকেল কিনে দেয় তার মা। এরপর থেকে ইমরান মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতো। গতকাল বিকেলেও ইমরান তার বন্ধু আলিফকে নিয়ে গ্রামের মধ্যে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরছিল। গ্রামের কোটালি মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ইমরান মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মোড়ের বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। এতে সে ও আলিফ গুরুতর জখম হলে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইমরানের চাচাত ভাই রাসেল বলেন, ‘মোটরসাইকেলের শখ তার অনেক দিনের। অনেক বাইনা করে ইমরান পাঁচ-ছয় মাস আগে মোটরসাইকেলেটি কিনেছিল। সে মোটরসাইকেলটির অনেক যত্ন নিতো। খুব কাছের না হলে তার মোটরসাইকেল কাউকে চালাতে দিতো না। কখনো ভাবতেও পারিনি শখের মোটরসাইকেলেই ইমরানকে জীবন দিতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরীন জ্যোতী বলেন, ‘সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যক্তিরা রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরান ও আলিফ নামের দুই কিশোরকে জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জানতে পারি তারা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। তবে জরুরি বিভাগে ইমরানকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাপসতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। আহত আলিফকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, ‘দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক কিশোরের মৃত্যুর বিষয়ে জেনেছি। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শখের মোটরসাইকেলেই প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইমরান হোসেন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে মোটরসাইকেলের আরোহী আলিফ (১৫)। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায়র দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামের কোটালি মাঠ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা গুরুতর জখম অবস্থায় ইমরান ও আলিফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন ও আলিফকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। নিহত ইমরান দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরি বেগমপুর গ্রামের হাটপাড়ার প্রবাসী ইকরামুল ইসলামের ছেলে ও হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত আলিফ একই এলাকার মিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই-বোনের মধ্যে ইমরান ছোট। ছয় মাস পূর্বে ইমরানের বাইনা মেটাতে দ্রুতগতির ফোর-ভি মোটরসাইকেল কিনে দেয় তার মা। এরপর থেকে ইমরান মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতো। গতকাল বিকেলেও ইমরান তার বন্ধু আলিফকে নিয়ে গ্রামের মধ্যে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরছিল। গ্রামের কোটালি মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ইমরান মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মোড়ের বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। এতে সে ও আলিফ গুরুতর জখম হলে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইমরানের চাচাত ভাই রাসেল বলেন, ‘মোটরসাইকেলের শখ তার অনেক দিনের। অনেক বাইনা করে ইমরান পাঁচ-ছয় মাস আগে মোটরসাইকেলেটি কিনেছিল। সে মোটরসাইকেলটির অনেক যত্ন নিতো। খুব কাছের না হলে তার মোটরসাইকেল কাউকে চালাতে দিতো না। কখনো ভাবতেও পারিনি শখের মোটরসাইকেলেই ইমরানকে জীবন দিতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিম আফরীন জ্যোতী বলেন, ‘সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যক্তিরা রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরান ও আলিফ নামের দুই কিশোরকে জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জানতে পারি তারা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। তবে জরুরি বিভাগে ইমরানকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাপসতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। আহত আলিফকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, ‘দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক কিশোরের মৃত্যুর বিষয়ে জেনেছি। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’