ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

রোজা অবস্থায় রান্নার স্বাদ বা লবণ দেখা যাবে?

ধর্ম প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

রমজান এলেই রান্না নিয়ে প্রায় সব মুসলিম নারীর একটা বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। সেহরি, ইফতারসহ রাতের খাবার সুস্বাদু হচ্ছে কিনা? বিশেষ করে লবণটা পরিমাণ মতো দেওয়া হয়েছে কিনা। যতই সুস্বাদু করে রান্না করা হোক না কেন, লবণের তারতম্য ঘটলে সবই বৃথা। যা বেশি হলেও দোষ, কম হলেও পানসে, খেতে ভালো লাগবে না। এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়েই রোজা রেখে রান্না করেন গৃহিণীরা। রোজা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে তরকারির লবণ চেখে দেখেন না। প্রশ্ন থাকতে পারে, প্রয়োজনের তাগিদে তরকারির লবণ বা খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা যাবে কি? তা করলে রোজা ভেঙে যাবে কি? এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলাররা বলেন- অন্যদের কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা হলে রোজা অবস্থায় তরকারির লবণ দেখার সুযোগ ইসলামে আছে। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে লবণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে থুতু ফেলে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কুলিও করে নেওয়াই উত্তম। খেয়াল রাখতে হবে, খাবারের অংশ যেন গলাতে চলে না যায়। আর যদি লবণ-কম বেশি বা খাবারের স্বাদ নিয়ে পরিবারে আপত্তি তোলার কেউ না থাকে অর্থাৎ কষ্টের আশঙ্কা না হলে রোজা অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া জিহ্বা দ্বারা স্বাদ না দেখা উচিত। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যবস্তু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। তবুও এ রোজা পূর্ণ করতে হবে। পরে একটি রোজা কাজা আদায় করতে হবে, তবে কাফফারা লাগবে না। আর যদি খাদ্যবস্তু ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে সে দিনের রোজাও পালন করবে এবং পরে কাজা ও কাফফারা উভয়টাই আদায় করতে হবে। (ফতোয়ায়ে শামি) সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ৯৩৮৫, ৯৩৮৬; আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৬; তাবয়িনুল হাকাইক ২/১৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৯

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

রোজা অবস্থায় রান্নার স্বাদ বা লবণ দেখা যাবে?

আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

রমজান এলেই রান্না নিয়ে প্রায় সব মুসলিম নারীর একটা বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। সেহরি, ইফতারসহ রাতের খাবার সুস্বাদু হচ্ছে কিনা? বিশেষ করে লবণটা পরিমাণ মতো দেওয়া হয়েছে কিনা। যতই সুস্বাদু করে রান্না করা হোক না কেন, লবণের তারতম্য ঘটলে সবই বৃথা। যা বেশি হলেও দোষ, কম হলেও পানসে, খেতে ভালো লাগবে না। এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়েই রোজা রেখে রান্না করেন গৃহিণীরা। রোজা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে তরকারির লবণ চেখে দেখেন না। প্রশ্ন থাকতে পারে, প্রয়োজনের তাগিদে তরকারির লবণ বা খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা যাবে কি? তা করলে রোজা ভেঙে যাবে কি? এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলাররা বলেন- অন্যদের কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা হলে রোজা অবস্থায় তরকারির লবণ দেখার সুযোগ ইসলামে আছে। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে লবণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে থুতু ফেলে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কুলিও করে নেওয়াই উত্তম। খেয়াল রাখতে হবে, খাবারের অংশ যেন গলাতে চলে না যায়। আর যদি লবণ-কম বেশি বা খাবারের স্বাদ নিয়ে পরিবারে আপত্তি তোলার কেউ না থাকে অর্থাৎ কষ্টের আশঙ্কা না হলে রোজা অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া জিহ্বা দ্বারা স্বাদ না দেখা উচিত। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যবস্তু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। তবুও এ রোজা পূর্ণ করতে হবে। পরে একটি রোজা কাজা আদায় করতে হবে, তবে কাফফারা লাগবে না। আর যদি খাদ্যবস্তু ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে সে দিনের রোজাও পালন করবে এবং পরে কাজা ও কাফফারা উভয়টাই আদায় করতে হবে। (ফতোয়ায়ে শামি) সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ৯৩৮৫, ৯৩৮৬; আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৬; তাবয়িনুল হাকাইক ২/১৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৯