ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

রঞ্জুকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হলেন আ.লীগ প্রার্থী মনজু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের ন্যায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার চার উপজেলায় বিরতিহীনভাবে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রার্থীরাও।

এদিকে, ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জেলার চারটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলায় দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। অপর আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২ ভোট।

সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরাজুল ইসলাম কাবা উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এই ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান (তালা প্রতিক) ১৫, মাফলুকাতুর রহমান (হাতি প্রতিক) ২৪ ও আব্দুর রউফ (টিউবওয়েল) ৩ ভোট পেয়েছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডে (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সদস্য পদে মজনু রহমান (তালা) ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর উল্লাহ (ঘুড়ি) ৭৩ ভোট পেয়েছেন। খলিলুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা) ০ ভোট, আলতাব হোসেন (হাতি) ০ ভোট, মিজানুর রহমান (টিউবওয়েল) ১ ভোট ও তপন কুমার বিশ্বাস (উটপাখি) ১ ভোট পেয়েছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল কবি (টিউবওয়েল) ৩৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এ ওয়ার্ডের আরেক সদস্য প্রার্থী নস্কর আলী (তালা) ২৩ ভোট পেয়েছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে (জীবননগর উপজেলা) সদস্য পদে মোসাবুল ইসলাম লিটন (হাতি) ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহম্মদ (তালা) ৪০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মিতা খাতুন (টিউবওয়েল) ১৪ ভোট পেয়েছেন।

সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) প্রতিদ্বন্দ্বী বিথী খাতুন (টেবিলঘড়ি) ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজল রেখা (বই) ১০১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও মনিরা খাতুন (ফুটবল) ৯৩, সামশাদ রানু (হরিণ) ৬ ও হাসিনা খাতুন (মাইক) ১৪ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) কহিনুর বেগম (বই) ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিরিনা পারভিন (হরিণ) ৮৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও নাহার বানু (ফুটবল) ১১, আদুরী খাতুন (দোয়াত কলম) ৩০ ও ইয়াসমিন খাতুন দেয়াল (মাইক) ১১ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, আর আগে গতকাল সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ও জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি তাঁরা।

ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচণের লক্ষে সর্বদা মাঠে কাজ করছে। আমি আশাবাদী ভোটে আমি জয়ী হবো। তবে ভোটে পরাজিত হলেও কোনো সংশয় থাকবে না। ভোটে জয়-পরাজয় থাকবেই।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু ভোটকেন্দ্র ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আমি বিজয়ী হব বলে আশাবাদী। তবে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন তা মেনে নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানিয়েছেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ যারা দায়িত্ব পালন করছেন, কোথাও কারও মধ্যে নিয়মের ব্যত্যয় দেখা যায়নি। নির্বাচন ভালো হয়েছে, সব কেন্দ্রেই সন্তোষজনক ভোট পড়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভেতরে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, কোনো রকম অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ, গণ্ডগোল ছাড়ায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘জেলা পরিষদে এটিই প্রথম ইভিএম’এ নির্বাচন। সকাল থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত সিসিটিভির মাধ্যমে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। ভোটে প্রার্থী বা ভোটার কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেছেন। সবাই সন্তুষ্ট।’ এর আগে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার চারটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেন ও কেন্দ্রের খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

রঞ্জুকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হলেন আ.লীগ প্রার্থী মনজু

আপলোড টাইম : ০৪:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের ন্যায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার চার উপজেলায় বিরতিহীনভাবে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রার্থীরাও।

এদিকে, ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জেলার চারটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলায় দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। অপর আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২ ভোট।

সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরাজুল ইসলাম কাবা উটপাখি প্রতিক নিয়ে ৩০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এই ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান (তালা প্রতিক) ১৫, মাফলুকাতুর রহমান (হাতি প্রতিক) ২৪ ও আব্দুর রউফ (টিউবওয়েল) ৩ ভোট পেয়েছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডে (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সদস্য পদে মজনু রহমান (তালা) ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর উল্লাহ (ঘুড়ি) ৭৩ ভোট পেয়েছেন। খলিলুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা) ০ ভোট, আলতাব হোসেন (হাতি) ০ ভোট, মিজানুর রহমান (টিউবওয়েল) ১ ভোট ও তপন কুমার বিশ্বাস (উটপাখি) ১ ভোট পেয়েছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল কবি (টিউবওয়েল) ৩৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এ ওয়ার্ডের আরেক সদস্য প্রার্থী নস্কর আলী (তালা) ২৩ ভোট পেয়েছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে (জীবননগর উপজেলা) সদস্য পদে মোসাবুল ইসলাম লিটন (হাতি) ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহম্মদ (তালা) ৪০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও এ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মিতা খাতুন (টিউবওয়েল) ১৪ ভোট পেয়েছেন।

সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) প্রতিদ্বন্দ্বী বিথী খাতুন (টেবিলঘড়ি) ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজল রেখা (বই) ১০১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও মনিরা খাতুন (ফুটবল) ৯৩, সামশাদ রানু (হরিণ) ৬ ও হাসিনা খাতুন (মাইক) ১৪ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) কহিনুর বেগম (বই) ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিরিনা পারভিন (হরিণ) ৮৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও নাহার বানু (ফুটবল) ১১, আদুরী খাতুন (দোয়াত কলম) ৩০ ও ইয়াসমিন খাতুন দেয়াল (মাইক) ১১ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, আর আগে গতকাল সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ও জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি তাঁরা।

ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, ‘কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচণের লক্ষে সর্বদা মাঠে কাজ করছে। আমি আশাবাদী ভোটে আমি জয়ী হবো। তবে ভোটে পরাজিত হলেও কোনো সংশয় থাকবে না। ভোটে জয়-পরাজয় থাকবেই।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রঞ্জু ভোটকেন্দ্র ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আমি বিজয়ী হব বলে আশাবাদী। তবে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন তা মেনে নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানিয়েছেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ যারা দায়িত্ব পালন করছেন, কোথাও কারও মধ্যে নিয়মের ব্যত্যয় দেখা যায়নি। নির্বাচন ভালো হয়েছে, সব কেন্দ্রেই সন্তোষজনক ভোট পড়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভেতরে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, কোনো রকম অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ, গণ্ডগোল ছাড়ায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘জেলা পরিষদে এটিই প্রথম ইভিএম’এ নির্বাচন। সকাল থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত সিসিটিভির মাধ্যমে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। ভোটে প্রার্থী বা ভোটার কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেছেন। সবাই সন্তুষ্ট।’ এর আগে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার চারটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেন ও কেন্দ্রের খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।