ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মেডিকেল ও বুয়েটে চান্স পাওয়া চুয়াডাঙ্গার অর্ধশত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনায় এসপি জাহিদুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গার সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক : কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেডিকেল ও বুয়েটে চান্স পাওয়া চুয়াডাঙ্গার ৪৮ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলার ডিসি ইকোপার্কে মিনিট্যুর ও এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা ভলিন্টিয়ার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই ৪৮ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম সেবা ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম সেবা বলেন, জীবনে বড় হওয়ার কথা ভাবতে হবে। তোমরা কঠোর পড়াশোনা করে আজ দেশের সব থেকে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছো। তোমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবা। তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ হবে মানুষের কল্যাণে। চুয়াডাঙ্গার যে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল বা বুয়েটে চান্স পেলো, তোমাদেরও এই জেলার মানুষের কাছে ঋণ আছে। সমাজের গাছ পালা, পশু পাখি সকলের কাছে তোমাদের ঋণ আছে। সকলের পাশে তোমাদের থাকতে হবে। ভালো কাজের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলাম। অহংকার চলে আসলো, এমন যেন না হয়। অহংকার পতনের মূল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালেই চুয়াডাঙ্গাতে ৫৭৮ জন জেএসসি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলাম। চুয়াডাঙ্গা ভলান্টেয়ার্সের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই শহরে অনেক এমন মানুষ আছে, যারা দুধ বিক্রি করে মাদক কিনে খায়। আবার এমনও আছে, মাদক বিক্রি করে দুধ কিনে খায়। চয়েজ ইজ ইওরস। আপনি কোনটা হবেন সেটা আমার সিদ্ধান্ত। তবে মানুষ হিসেবে দায়বদ্ধতার চিন্তা থাকতে হবে। আমরা সমাজ থেকে মাদক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাবে।
এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি বলেন, তোমরা সকলে দেশের সবোর্চ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছো। তাই তোমাদের ওপর এই জেলা তথা দেশেরও অনেক বেশি প্রত্যাশা। তোমাদের সাফ্যলের এই ধারা অব্যাহত থাক। তোমাদের এই সাফ্যলই এই জেলার গর্ব, দেশের গর্ব। চুয়াডাঙ্গার অনেক প্রতিভাবান মানুষ আছেন। আমরা শুধু ভালো জায়গায় চলে গেলে, একে অন্যকে খোঁজ নিইনা। আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গার সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক। এখানে বক্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্তদেরকে সংবর্ধনা দিতে হবে। আমি কথা দিলাম, চেষ্টা করবো প্রত্যেকটা কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার। আমাদের ভালো কাজের সাথে থাকতে হবে। আপনারা জানেন, চুৃয়াডাঙ্গায় আমার মায়ের নামে একটি সংগঠন আছে। তারাদেবী ফাউন্ডেশন। তার মাধ্যমে শিক্ষা বৃত্তি, উপবৃত্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগীতাসহ বিভিন্ন ভালো কাজ করে থাকি। চুয়াডাঙ্গার অনেক কাজ আছে। যার সাথে থাকার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি পিতা-মাতার খেয়াল রাখতে হবে। একটা সন্তানের কাছে যদি তার মা-বাবার দোয়া থাকে, তাহলে আর কিছু লাগে না। আমি তার বাস্তব উদাহরণ। তিনি বলেন, তোমরা যদি হেরে যাও, তাহলে দেশ হেরে যাবে। তোমরা যদি জেতো, তাহলে বাংলাদেশ জিতে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা ভলিন্টিয়ার্সের সভাপতি আসলাম অর্কের সভাপতিত্বে ও ডা. ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ওয়ায়েচ কুরুনী টিটো। দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগীতারও আয়োজন করা হয় এ মিনিট্যুরে। অতিথি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যও মজাদার খেলার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন। সম্পূর্ণ এই আয়োজনে সহযোগীতা করেন সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও হোটেল সাহিদ প্যালেস।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, মেডিকেল ও বুয়েটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া এসব শিক্ষার্থীরাই জাতি ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে। তাই তাদের ভবিষ্যতে আরও মেধা, ত্যাগ ও অধ্যাবসায়ের প্রমাণ দিতে হবে। এভাবে সকলে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলে চুয়াডাঙ্গা তথা সারাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেডিকেল ও বুয়েটে চান্স পাওয়া চুয়াডাঙ্গার অর্ধশত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনায় এসপি জাহিদুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০২:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গার সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক : কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেডিকেল ও বুয়েটে চান্স পাওয়া চুয়াডাঙ্গার ৪৮ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলার ডিসি ইকোপার্কে মিনিট্যুর ও এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা ভলিন্টিয়ার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই ৪৮ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম সেবা ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম সেবা বলেন, জীবনে বড় হওয়ার কথা ভাবতে হবে। তোমরা কঠোর পড়াশোনা করে আজ দেশের সব থেকে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছো। তোমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবা। তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ হবে মানুষের কল্যাণে। চুয়াডাঙ্গার যে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল বা বুয়েটে চান্স পেলো, তোমাদেরও এই জেলার মানুষের কাছে ঋণ আছে। সমাজের গাছ পালা, পশু পাখি সকলের কাছে তোমাদের ঋণ আছে। সকলের পাশে তোমাদের থাকতে হবে। ভালো কাজের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলাম। অহংকার চলে আসলো, এমন যেন না হয়। অহংকার পতনের মূল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালেই চুয়াডাঙ্গাতে ৫৭৮ জন জেএসসি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলাম। চুয়াডাঙ্গা ভলান্টেয়ার্সের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই শহরে অনেক এমন মানুষ আছে, যারা দুধ বিক্রি করে মাদক কিনে খায়। আবার এমনও আছে, মাদক বিক্রি করে দুধ কিনে খায়। চয়েজ ইজ ইওরস। আপনি কোনটা হবেন সেটা আমার সিদ্ধান্ত। তবে মানুষ হিসেবে দায়বদ্ধতার চিন্তা থাকতে হবে। আমরা সমাজ থেকে মাদক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাবে।
এফবিসিসিআই’র পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সিআইপি বলেন, তোমরা সকলে দেশের সবোর্চ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছো। তাই তোমাদের ওপর এই জেলা তথা দেশেরও অনেক বেশি প্রত্যাশা। তোমাদের সাফ্যলের এই ধারা অব্যাহত থাক। তোমাদের এই সাফ্যলই এই জেলার গর্ব, দেশের গর্ব। চুয়াডাঙ্গার অনেক প্রতিভাবান মানুষ আছেন। আমরা শুধু ভালো জায়গায় চলে গেলে, একে অন্যকে খোঁজ নিইনা। আমি চাই, আমাদের চুয়াডাঙ্গার সবার সম্পর্কটা আরেকটু ঘনিষ্ঠ হোক। এখানে বক্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্তদেরকে সংবর্ধনা দিতে হবে। আমি কথা দিলাম, চেষ্টা করবো প্রত্যেকটা কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার। আমাদের ভালো কাজের সাথে থাকতে হবে। আপনারা জানেন, চুৃয়াডাঙ্গায় আমার মায়ের নামে একটি সংগঠন আছে। তারাদেবী ফাউন্ডেশন। তার মাধ্যমে শিক্ষা বৃত্তি, উপবৃত্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগীতাসহ বিভিন্ন ভালো কাজ করে থাকি। চুয়াডাঙ্গার অনেক কাজ আছে। যার সাথে থাকার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি পিতা-মাতার খেয়াল রাখতে হবে। একটা সন্তানের কাছে যদি তার মা-বাবার দোয়া থাকে, তাহলে আর কিছু লাগে না। আমি তার বাস্তব উদাহরণ। তিনি বলেন, তোমরা যদি হেরে যাও, তাহলে দেশ হেরে যাবে। তোমরা যদি জেতো, তাহলে বাংলাদেশ জিতে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা ভলিন্টিয়ার্সের সভাপতি আসলাম অর্কের সভাপতিত্বে ও ডা. ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ওয়ায়েচ কুরুনী টিটো। দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগীতারও আয়োজন করা হয় এ মিনিট্যুরে। অতিথি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যও মজাদার খেলার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন। সম্পূর্ণ এই আয়োজনে সহযোগীতা করেন সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও হোটেল সাহিদ প্যালেস।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, মেডিকেল ও বুয়েটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া এসব শিক্ষার্থীরাই জাতি ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে। তাই তাদের ভবিষ্যতে আরও মেধা, ত্যাগ ও অধ্যাবসায়ের প্রমাণ দিতে হবে। এভাবে সকলে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলে চুয়াডাঙ্গা তথা সারাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।