ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে রেললাইনের ওপর থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় রেললাইনের ওপর থেকে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল নয়টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিলা খাতুন উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার রাসেল আলীর স্ত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

নিহত শিলা খাতুনের পিতা হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে জামাই প্রায়ই বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করতো। রোববার দুপুর থেকে তাদের বাড়িতে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ভোরে জামাই ফোন দিয়ে জানায় শিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সকালে তার লাশ পাওয়া যায় রেললাইনে। মেয়ের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। রাসেলই আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তিনি আরও জানান, সকালে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের ওপর একটি নারীর মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে এসপি

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে লাশ রেললাইনের ওপর থাকায় বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাশ তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদ্ঘাটনে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরের পর ডা. মেহেবুবা মৌ নিহত শিলা খাতুনের মহদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে।’
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে নিহত শিলার লাশ তার পৈতৃক ঠিকানা নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামে নেয়া হয়। এবং বাদ এশা জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুন্সিগঞ্জে রেললাইনের ওপর থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় রেললাইনের ওপর থেকে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল নয়টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিলা খাতুন উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার রাসেল আলীর স্ত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

নিহত শিলা খাতুনের পিতা হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে জামাই প্রায়ই বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করতো। রোববার দুপুর থেকে তাদের বাড়িতে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ভোরে জামাই ফোন দিয়ে জানায় শিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সকালে তার লাশ পাওয়া যায় রেললাইনে। মেয়ের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। রাসেলই আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তিনি আরও জানান, সকালে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের ওপর একটি নারীর মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে এসপি

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে লাশ রেললাইনের ওপর থাকায় বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাশ তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদ্ঘাটনে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরের পর ডা. মেহেবুবা মৌ নিহত শিলা খাতুনের মহদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে।’
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে নিহত শিলার লাশ তার পৈতৃক ঠিকানা নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামে নেয়া হয়। এবং বাদ এশা জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।