ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

মাসহ চার বিড়াল ছানাকে পিটিয়ে হত্যা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, তিতুদহ:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের দীননাথপুর মাদ্রাসাপাড়ায় প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে মা বন বিড়ালসহ চারটি ছানাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নুরি খাতুন নামের এক গৃহিনীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীর বাড়ির পাশের কয়েকজন মিলে নির্মমভাবে প্রাণীগুলোকে হত্যা করে।

জানা গেছে, মা বিড়ালটি বাচ্চা প্রসবের জন্য উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে বিল্লাল হোসেনের খড়ি ঘরটাকেই বেছে নিয়েছিল। বাচ্ছা প্রসবের পর  ছানাগুলো একটু বড় হয়ে বাইরে বেরিয়ে খেলা করছিল গতকাল। আর সেটা চোখে পড়ে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নুরি বেগমের। তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশী রোকন ও রাশিদুলকে ডেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে খেলারত ছানাগুলোকে। তবে মা বন বিড়ালটি তার ছানাদের রেখে পালিয়ে যায়নি। পরে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শাহীন সরকার বলেন, ‘এমন নির্মম কাহিনী দেখে আমরা সবাই শিহরিত। তবে এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। তারপরও এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’

বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় বেলগাছি গ্রামের কেয়ার ফর আনক্লেইমড বিস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বকতিয়ার হামিদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে বিল্লাল হোসেনের খড়ি ঘরটাকেই বেছে নিয়েছিল বাচ্চা প্রসবের জন্য। ছানাগুলো একটু বড় হয়ে বাহিরে বেরিয়ে খেলা করছিল। আর সেটা চোখে পড়ে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রীর। তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশী রোকন ও রাশিদুলকে ডেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে খেলারত ছানাগুলোকে। মা’ বন বিড়ালটি তার ছানাদের রেখে পালায়নি। ছানাগুলোর সাথেই ছিলো মা বোন বিড়ালটি। পরে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। তারপরও এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না। ফলে এইভাবে নিরীহ প্রাণীগুলোকে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন তিনিসহ তার সংগঠনের নেতাকর্মী।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ফটোগুলো দেখেছি। এ বিষয়ে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সবটুকু নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাসহ চার বিড়াল ছানাকে পিটিয়ে হত্যা!

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

প্রতিবেদক, তিতুদহ:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের দীননাথপুর মাদ্রাসাপাড়ায় প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে মা বন বিড়ালসহ চারটি ছানাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নুরি খাতুন নামের এক গৃহিনীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীর বাড়ির পাশের কয়েকজন মিলে নির্মমভাবে প্রাণীগুলোকে হত্যা করে।

জানা গেছে, মা বিড়ালটি বাচ্চা প্রসবের জন্য উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে বিল্লাল হোসেনের খড়ি ঘরটাকেই বেছে নিয়েছিল। বাচ্ছা প্রসবের পর  ছানাগুলো একটু বড় হয়ে বাইরে বেরিয়ে খেলা করছিল গতকাল। আর সেটা চোখে পড়ে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নুরি বেগমের। তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশী রোকন ও রাশিদুলকে ডেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে খেলারত ছানাগুলোকে। তবে মা বন বিড়ালটি তার ছানাদের রেখে পালিয়ে যায়নি। পরে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শাহীন সরকার বলেন, ‘এমন নির্মম কাহিনী দেখে আমরা সবাই শিহরিত। তবে এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। তারপরও এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’

বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় বেলগাছি গ্রামের কেয়ার ফর আনক্লেইমড বিস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বকতিয়ার হামিদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে বিল্লাল হোসেনের খড়ি ঘরটাকেই বেছে নিয়েছিল বাচ্চা প্রসবের জন্য। ছানাগুলো একটু বড় হয়ে বাহিরে বেরিয়ে খেলা করছিল। আর সেটা চোখে পড়ে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রীর। তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশী রোকন ও রাশিদুলকে ডেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে খেলারত ছানাগুলোকে। মা’ বন বিড়ালটি তার ছানাদের রেখে পালায়নি। ছানাগুলোর সাথেই ছিলো মা বোন বিড়ালটি। পরে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। তারপরও এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না। ফলে এইভাবে নিরীহ প্রাণীগুলোকে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন তিনিসহ তার সংগঠনের নেতাকর্মী।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ফটোগুলো দেখেছি। এ বিষয়ে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সবটুকু নেওয়া হবে।