ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মহেশপুরে রশিদ আঙ্গুর চাষে সফল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ/আব্দুর রহিম: শখের বসে আঙ্গুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগীদাশপুর গ্রামের আ: রশিদ। শুরুটা ছোট পরিসরে হলেও বর্তমান কৃষি জমিতে আঙ্গুরের বাগান গড়ে তুলেছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগীদাশপুর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা মো. আব্দুর রশিদ।

তিন বছর আগে ৫০০টাকা পিচ হিসাবে ভারত থেকে ২৫টি আঙ্গুরের চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা রোপন করেন ১বিঘা জমিতে। বতমানে ৪ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে আঙ্গুরের। গেল বছর তাদের গাছে প্রথম ফল আসে। এবছর ডালে ডালে থোকায় থোকায় ছেয়ে গেছে আঙ্গুর। একটি গাছে ২০ থেকে ৩০ কেজি আঙ্গুর পাবে বলে আশা করছেনে এই উদ্যোক্তা।

আঙ্গুর চাষী আমিরুল আব্দুর রশিদ বলেন, আঙ্গুরের প্রচুর ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত একটা গাছ থেকে এক মন আঙ্গুর সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করছেন। তার দেখা দেখি আরো অনেকেই আঙ্গুর চাষে এগিয়ে আসবেন। বিদেশ থেকে আঙ্গুর আমদানী না করে দেশেই যেন পর্যাপ্ত পরিমান আঙ্গুর উৎপাদন করা যায় তিনি সেই আশাও করছেন। প্রথম বার প্রায় দুই লক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রি করেছেন, পরবর্তীতে ৪ লক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রির আশা করছেন।

মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের হাসান আহম্মেদ বলেন, আমি আব্দুর রশিদের নিকট থেকে ৪টা আঙ্গুরের চারা ক্রয় করে ছিলাম এবং সেগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেছিলাম। গত বছর থেকে আমার গাছে ফল আসছে এবং প্রতিটি ফল খেতে বেশ মিষ্টি এবং অনেক সুন্দর।

সরেজমিনে আঙ্গুর বাগানে যেতেই চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ আঙ্গুর ফল দেখছেন আবার কেউ রয়েছে সেলফী তোলায় ব্যস্ত। কথা হয় একাধিক দর্শনার্থীদের সাথে তারা বলছেন, এই আঙ্গুরগুলি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু।

মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান আলী বলেন, আব্দুর রশিদের জমিতে আঙ্গুর যেই হারে উৎপাদন হচ্ছে, যদি এই আঙ্গুরের মিষ্টতা বাড়ানো যায় তাহলে এই আঙ্গুর আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মহেশপুরে রশিদ আঙ্গুর চাষে সফল

আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

মিঠুন মাহমুদ/আব্দুর রহিম: শখের বসে আঙ্গুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগীদাশপুর গ্রামের আ: রশিদ। শুরুটা ছোট পরিসরে হলেও বর্তমান কৃষি জমিতে আঙ্গুরের বাগান গড়ে তুলেছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগীদাশপুর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা মো. আব্দুর রশিদ।

তিন বছর আগে ৫০০টাকা পিচ হিসাবে ভারত থেকে ২৫টি আঙ্গুরের চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা রোপন করেন ১বিঘা জমিতে। বতমানে ৪ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে আঙ্গুরের। গেল বছর তাদের গাছে প্রথম ফল আসে। এবছর ডালে ডালে থোকায় থোকায় ছেয়ে গেছে আঙ্গুর। একটি গাছে ২০ থেকে ৩০ কেজি আঙ্গুর পাবে বলে আশা করছেনে এই উদ্যোক্তা।

আঙ্গুর চাষী আমিরুল আব্দুর রশিদ বলেন, আঙ্গুরের প্রচুর ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত একটা গাছ থেকে এক মন আঙ্গুর সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করছেন। তার দেখা দেখি আরো অনেকেই আঙ্গুর চাষে এগিয়ে আসবেন। বিদেশ থেকে আঙ্গুর আমদানী না করে দেশেই যেন পর্যাপ্ত পরিমান আঙ্গুর উৎপাদন করা যায় তিনি সেই আশাও করছেন। প্রথম বার প্রায় দুই লক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রি করেছেন, পরবর্তীতে ৪ লক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রির আশা করছেন।

মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের হাসান আহম্মেদ বলেন, আমি আব্দুর রশিদের নিকট থেকে ৪টা আঙ্গুরের চারা ক্রয় করে ছিলাম এবং সেগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেছিলাম। গত বছর থেকে আমার গাছে ফল আসছে এবং প্রতিটি ফল খেতে বেশ মিষ্টি এবং অনেক সুন্দর।

সরেজমিনে আঙ্গুর বাগানে যেতেই চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ আঙ্গুর ফল দেখছেন আবার কেউ রয়েছে সেলফী তোলায় ব্যস্ত। কথা হয় একাধিক দর্শনার্থীদের সাথে তারা বলছেন, এই আঙ্গুরগুলি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু।

মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান আলী বলেন, আব্দুর রশিদের জমিতে আঙ্গুর যেই হারে উৎপাদন হচ্ছে, যদি এই আঙ্গুরের মিষ্টতা বাড়ানো যায় তাহলে এই আঙ্গুর আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।