ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে:কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

রিনা সভাপতি, শেফালী সহসভাপতি ও জাহানারা সাধারণ সম্পাদক, পারুল যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘এই অবৈধ সরকার একটা জোকার মন্ত্রীসভা খুলেছে। যেখানে কিছু জোকার মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে তারা। তাদের কাজই বিএনপির নামে অপপ্রচার করা। সকাল হলেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়া, দুপুর বেলা বেগম খালেদা জিয়া ও রাতের বেলা তারেক রহমানের নামে মিথ্যাচার করা। তাই অবৈধ ভোট ডাকাত, ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শেখ হাসিনা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কুৎসা রটিয়ে প্রতিনিয়ত অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। যখনই র‌্যাবের নামে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তখনই এই অবৈধ সরকার বিএনপির নামে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে। আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট বলেছেন, বিএনপি কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। এটা শেখ হাসিনা সরকারের জোকার মন্ত্রীদের অপপ্রচার মাত্র। শেখ হাসিনা সরকার খুন, গুম ও ধর্ষণের উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের রুপকার তো আমাদের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাই উন্নয়নের কথা এই অবৈধ সরকারে মুখে মানায় না। আমরা নতুন এই নির্বাচন কমিশন আইন মানি না। আগের বার দিনের ভোট রাতে করেছে, এবার ইভিএম মেশিন। এই ইভিএম মেশিনে আপনি যাতেই টিপ দেন, শুধু নৌকা আসবে। আর নৌকা ছাড়া কোনো মার্কায় আসবে না। এতে শুধু নৌকা নৌকা আর নৌকা। কিসের ইভিএম মেশিন, আমরা ভোট দিতে চাই। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাই। তা নাহলে এই অবৈধ সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।’

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ‘চেতনায় নারী, বিপ্লবে নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমরাই পারি’ স্লোগানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাস।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার এই সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। জেলা বিএনপি নেত্রী রউফুন নাহার রিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাড. হালিমা নেওয়াজ আরলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, ‘সরকার ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করেছে। আবার নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নাটক তো চলছেই। একটি ঘটনা আড়াল করতে আরেকটি ঘটনার জন্ম দেয় এই অবৈধ সরকার। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি, যে দেশে নারীদের কোনো অধিকার নেই। যে দেশে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে নারীকে গণধর্ষিত হতে হয়। যে দেশে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা এ জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। বিএনপির আন্দোলন যতবারই ত্বরান্বিত হয়, ততবারই করোনার দোহাই দিয়ে জনগণকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই অবৈধ সরকার। আসলে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় এই সরকার। কারণ প্রতিটি সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিই বলে দেয় বিএনপিই একমাত্র জনগণের দল। তাই অবৈধ ভোট ডাকাত, ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নেওয়াজ হালিমা আরলী বলেন, ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে শহিদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।’

সম্মেলনের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘একজন মহীয়সী নারী যিনি দেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, শুধুমাত্র জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে আজ সাজানো মামলায় তাঁকে বন্দী রাখা হয়েছে। চিকিৎসা পাওয়া নাগরিকের অধিকার হওয়া সত্ত্বেও একজন সিনিয়র সিটিজেনকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি মহিলা দলকে আরও সুসংগঠিত হওয়ার তাগিদ এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা আপসহীন।’

সম্মেলনের বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘কমিটি জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে মহিলা দলের কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে ছিল। আমরা জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে আরো গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতা হচ্ছে জেলা মহিলা দলের আজকের সম্মেলন।’ তিনি মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে, আপনাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ফিরোজ বুলবুল কলি, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা ও খুলনা বিভাগীয় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফারিয়া আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, খাজা আবুল হাসনাত, মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মোকাররম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, ছালমা জাহান পারুল, আবুল হোসেন তোয়া, মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মো. রাজীব খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান ও জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবীব সেলিম।

পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, সিনিয়র সহসভাপতি শেফালী খাতুন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছালমা জাহান পারুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাছরিন আক্তারের নাম ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে:কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাস

আপলোড টাইম : ০৮:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

রিনা সভাপতি, শেফালী সহসভাপতি ও জাহানারা সাধারণ সম্পাদক, পারুল যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘এই অবৈধ সরকার একটা জোকার মন্ত্রীসভা খুলেছে। যেখানে কিছু জোকার মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে তারা। তাদের কাজই বিএনপির নামে অপপ্রচার করা। সকাল হলেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়া, দুপুর বেলা বেগম খালেদা জিয়া ও রাতের বেলা তারেক রহমানের নামে মিথ্যাচার করা। তাই অবৈধ ভোট ডাকাত, ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শেখ হাসিনা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কুৎসা রটিয়ে প্রতিনিয়ত অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। যখনই র‌্যাবের নামে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তখনই এই অবৈধ সরকার বিএনপির নামে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে। আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট বলেছেন, বিএনপি কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। এটা শেখ হাসিনা সরকারের জোকার মন্ত্রীদের অপপ্রচার মাত্র। শেখ হাসিনা সরকার খুন, গুম ও ধর্ষণের উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের রুপকার তো আমাদের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাই উন্নয়নের কথা এই অবৈধ সরকারে মুখে মানায় না। আমরা নতুন এই নির্বাচন কমিশন আইন মানি না। আগের বার দিনের ভোট রাতে করেছে, এবার ইভিএম মেশিন। এই ইভিএম মেশিনে আপনি যাতেই টিপ দেন, শুধু নৌকা আসবে। আর নৌকা ছাড়া কোনো মার্কায় আসবে না। এতে শুধু নৌকা নৌকা আর নৌকা। কিসের ইভিএম মেশিন, আমরা ভোট দিতে চাই। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাই। তা নাহলে এই অবৈধ সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।’

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ‘চেতনায় নারী, বিপ্লবে নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমরাই পারি’ স্লোগানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাস।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার এই সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। জেলা বিএনপি নেত্রী রউফুন নাহার রিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাড. হালিমা নেওয়াজ আরলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, ‘সরকার ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করেছে। আবার নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নাটক তো চলছেই। একটি ঘটনা আড়াল করতে আরেকটি ঘটনার জন্ম দেয় এই অবৈধ সরকার। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি, যে দেশে নারীদের কোনো অধিকার নেই। যে দেশে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে নারীকে গণধর্ষিত হতে হয়। যে দেশে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা এ জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। বিএনপির আন্দোলন যতবারই ত্বরান্বিত হয়, ততবারই করোনার দোহাই দিয়ে জনগণকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই অবৈধ সরকার। আসলে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় এই সরকার। কারণ প্রতিটি সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিই বলে দেয় বিএনপিই একমাত্র জনগণের দল। তাই অবৈধ ভোট ডাকাত, ভোট চোর মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নেওয়াজ হালিমা আরলী বলেন, ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে শহিদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।’

সম্মেলনের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘একজন মহীয়সী নারী যিনি দেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, শুধুমাত্র জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে আজ সাজানো মামলায় তাঁকে বন্দী রাখা হয়েছে। চিকিৎসা পাওয়া নাগরিকের অধিকার হওয়া সত্ত্বেও একজন সিনিয়র সিটিজেনকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি মহিলা দলকে আরও সুসংগঠিত হওয়ার তাগিদ এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা আপসহীন।’

সম্মেলনের বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘কমিটি জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে মহিলা দলের কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে ছিল। আমরা জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে আরো গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতা হচ্ছে জেলা মহিলা দলের আজকের সম্মেলন।’ তিনি মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে, আপনাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ফিরোজ বুলবুল কলি, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা ও খুলনা বিভাগীয় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফারিয়া আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, খাজা আবুল হাসনাত, মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মোকাররম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, ছালমা জাহান পারুল, আবুল হোসেন তোয়া, মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মো. রাজীব খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান ও জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবীব সেলিম।

পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, সিনিয়র সহসভাপতি শেফালী খাতুন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছালমা জাহান পারুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাছরিন আক্তারের নাম ঘোষণা করা হয়।