ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পর্দা নামলো দুবাই গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্সের, দেশের উন্নয়নে এক হয়ে কাজ করা প্রত্যয় ব্যবসায়ীদের

বিজনেস আমেরিকার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাহিদুজ্জামান টরিক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

দুবাই থেকে এস এম শাফায়েত:
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা, সুবিধা-অসুবিধা, নিজেদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার একরাশ আলোচনার মধ্যদিয়ে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স দুবাই-২০২৩। এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা আয়োজিত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ এই মিলনমেলার এবারের আসর বসেছিল মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইতে। শেষ দিনও ছিল নানা আলোচনামুখর। এদিন হসপিটালিটি ও এভিয়েশন খাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিজনেস আমেরিকার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর-বিডিচ্যামের প্রেসিডেন্ট, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান মুহাম্মদ সাহিদুজ্জামান টরিক।

দুবাইয়ের মিলেনিয়াম ডাউনটাউন হোটেলের জুমেরাহ বলরুমে সমাপনী অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন আল মাতিয়া ইনভেস্টমেন্টের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ড. শেখ জুমা মাদানি। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পগ্রুপ কেপিসির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তা কালী প্রদীপ চৌধুরীসহ দেশ-বিদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।
শেষ দিন আলোচনায় অংশ নিয়ে সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় একত্রিত হই, এক হয়ে বিভিন্ন কাজ করি। তবে বৃহৎ কোনো পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের একত্রিত হওয়া জরুরি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ীদের এক ছাদের নিচে নিয়ে আসা। নিজ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা। আমরা আশা করি সেটা পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি, আমাদের শিকড়। শিকড় শুকিয়ে গেলে গাছ বাঁচে না। আর শিকড় শক্ত হলে গাছ বলবান হয়। তাই বিশ্বজুড়ে আমাদের যেমন ব্যবসায়িক পরিধি ছড়িয়ে গেছে, এখন সময় নিজ দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের শিকড়কে শক্ত করা। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। রয়েছে সহজলভ্য কাঁচামাল ও পরিবহণ ব্যবস্থা। সঠিকভাবে এসব কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ থেকেই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।’

গত শুক্রবার বিকেলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, এনআরবি ওয়ার্ল্ডের জেনারেল সেক্রেটারি আয়ুব আলী বাবুলসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ প্রায় ৪০টি দেশের দুই শতাধিক হাইপ্রোফাইল ব্যবসায়ী এতে অংশ নেন। সম্মেলনের প্রথম দিন দুই ধাপে ইনোভেশন ও ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার কৃর্তী সন্তান বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম) এর সাধারণ সম্পাদক আসাদ মামুন ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রাজুলুর রশিদ (রাসেল) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

যেমন ছিল গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স:
বাংলাদেশের উদ্যোমী শিল্প-ব্যবসায়ীদের জন্য এই ব্যবসায়িক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ নিয়ে আসবে, যা দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্যও গুরুতপূর্ণ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা, যারা এনআরবি হিসেবে খ্যাত, তারাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদ্যোক্তারাও এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী এতে অংশ নিয়েছেন তাদের পণ্য ও প্রজেক্ট নিয়ে। বিশ্বের উদ্যোক্তা-সমাজ এই শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের পণ্য এবং বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন। দুবাই বিজনেস কনফারেন্সে বাংলাদেশও তার অর্থনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্যের উপলব্ধি ও মূল্যায়ন করেছে।

‘গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স দুবাই-২০২৩’ কে নেতৃত্ব দিচ্ছে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন। প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী, যাদের স্বদেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং প্রত্যাশা রয়েছে এবং যারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার স্বপ্ন দেখেন, তারা এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শুরু থেকেই আগ্রহী ছিলেন। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, কুয়েত, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন থেকে ব্যবসায়ী নেতারা গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স ২০২৩-তে যোগ দেন। অন্যান্য দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) ও রয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দুবাই ও গ্লোবাল মার্কেটে কোম্পানির এক্সপোজার, বিজনেস ম্যাচ মেকিং সেশন (ই২ই), বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল এনআরবি এবং বিদেশী ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বদের সাথে নেটওয়ার্ক বিল্ডিংয়ের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেছেন এই বিজনেস কনফারেন্স।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পর্দা নামলো দুবাই গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্সের, দেশের উন্নয়নে এক হয়ে কাজ করা প্রত্যয় ব্যবসায়ীদের

বিজনেস আমেরিকার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাহিদুজ্জামান টরিক

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দুবাই থেকে এস এম শাফায়েত:
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা, সুবিধা-অসুবিধা, নিজেদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার একরাশ আলোচনার মধ্যদিয়ে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স দুবাই-২০২৩। এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা আয়োজিত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ এই মিলনমেলার এবারের আসর বসেছিল মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইতে। শেষ দিনও ছিল নানা আলোচনামুখর। এদিন হসপিটালিটি ও এভিয়েশন খাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিজনেস আমেরিকার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর-বিডিচ্যামের প্রেসিডেন্ট, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান মুহাম্মদ সাহিদুজ্জামান টরিক।

দুবাইয়ের মিলেনিয়াম ডাউনটাউন হোটেলের জুমেরাহ বলরুমে সমাপনী অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন আল মাতিয়া ইনভেস্টমেন্টের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ড. শেখ জুমা মাদানি। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পগ্রুপ কেপিসির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তা কালী প্রদীপ চৌধুরীসহ দেশ-বিদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।
শেষ দিন আলোচনায় অংশ নিয়ে সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় একত্রিত হই, এক হয়ে বিভিন্ন কাজ করি। তবে বৃহৎ কোনো পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের একত্রিত হওয়া জরুরি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ীদের এক ছাদের নিচে নিয়ে আসা। নিজ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা। আমরা আশা করি সেটা পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি, আমাদের শিকড়। শিকড় শুকিয়ে গেলে গাছ বাঁচে না। আর শিকড় শক্ত হলে গাছ বলবান হয়। তাই বিশ্বজুড়ে আমাদের যেমন ব্যবসায়িক পরিধি ছড়িয়ে গেছে, এখন সময় নিজ দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের শিকড়কে শক্ত করা। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। রয়েছে সহজলভ্য কাঁচামাল ও পরিবহণ ব্যবস্থা। সঠিকভাবে এসব কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ থেকেই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।’

গত শুক্রবার বিকেলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, এনআরবি ওয়ার্ল্ডের জেনারেল সেক্রেটারি আয়ুব আলী বাবুলসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ প্রায় ৪০টি দেশের দুই শতাধিক হাইপ্রোফাইল ব্যবসায়ী এতে অংশ নেন। সম্মেলনের প্রথম দিন দুই ধাপে ইনোভেশন ও ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার কৃর্তী সন্তান বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম) এর সাধারণ সম্পাদক আসাদ মামুন ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রাজুলুর রশিদ (রাসেল) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

যেমন ছিল গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স:
বাংলাদেশের উদ্যোমী শিল্প-ব্যবসায়ীদের জন্য এই ব্যবসায়িক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ নিয়ে আসবে, যা দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্যও গুরুতপূর্ণ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা, যারা এনআরবি হিসেবে খ্যাত, তারাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদ্যোক্তারাও এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী এতে অংশ নিয়েছেন তাদের পণ্য ও প্রজেক্ট নিয়ে। বিশ্বের উদ্যোক্তা-সমাজ এই শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের পণ্য এবং বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন। দুবাই বিজনেস কনফারেন্সে বাংলাদেশও তার অর্থনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্যের উপলব্ধি ও মূল্যায়ন করেছে।

‘গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স দুবাই-২০২৩’ কে নেতৃত্ব দিচ্ছে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন। প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী, যাদের স্বদেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং প্রত্যাশা রয়েছে এবং যারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার স্বপ্ন দেখেন, তারা এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শুরু থেকেই আগ্রহী ছিলেন। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, কুয়েত, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্পেন থেকে ব্যবসায়ী নেতারা গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স ২০২৩-তে যোগ দেন। অন্যান্য দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) ও রয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দুবাই ও গ্লোবাল মার্কেটে কোম্পানির এক্সপোজার, বিজনেস ম্যাচ মেকিং সেশন (ই২ই), বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল এনআরবি এবং বিদেশী ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বদের সাথে নেটওয়ার্ক বিল্ডিংয়ের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেছেন এই বিজনেস কনফারেন্স।