ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বাণিজ্যিকভাবে দার্জিলিং কমলা লেবুর চাষে সাফল্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে দার্জিলিং কমলা লেবুর বাগান। কমলা লেবুর পাঁকা-কাঁচা থোকায় থোকায় ভরে গেছে গোটা বাগান। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কমলা লেবুর চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় এ চাষে এলাকার তরুণ উদ্যোক্তারা ঝুকে পড়েছেন। ২০১৯ সালে প্রথম ২০ শতাংশ জমিতে গড়ে ওঠে কমলা লেবুর বাগান।

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চাডাঙ্গা জোলপাড়ার মাঠে বাণিজ্যিকভাবে দার্জিলিং কমলা লেবুর চাষ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে এ উপজেলার সব ধরনের উৎপাদিত ফলের। দার্জিলিং কমলা লেবুর গাছ লাগানোর ১০-১২ মাস পর থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু হয়। কমলা লেবু কাঁচা-পাঁকায় গায়ের রঙ সবুজ ও হলুদ। এই ফলের বাগান করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাগান থেকে পাইকারি দরে প্রতি কেজি কমলা লেবু বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা কেজি।

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের তাহের আলী গাজীর ছেলে দার্জিলিং কমলা লেবুর বাগান মালিক রানা মাহমুদ বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের দিকে ২০ শতাংশ জমিতে ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমি কমলা লেবু, ড্রাগনসহ ১১ বিঘা জমিতে চাষ করছি। কমলা লেবুর বাগান করা একটি লাভজনক চাষ। অনান্য চাষের তুলনায় এ চাষে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়, ফলে ঠিকমত রং আসে না, টক লাগে, রস থাকে না। তবে আমার এ কমলা লেবুতে এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই, বাগানের প্রতিটি ফলে অনেক রস, খেতে মিষ্টি এবং সুস্বাদু। আমার এখানে প্রতিদিন এলাকার ১২-১৪ জন নারী-পুরুষ দিন হাজিরা হিসেবে কাজ করে। আমার বাগানের উৎপাদিত কমলা লেবু আকারে বড়, যে কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক।’ তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বেকার বসে না থেকে অল্প পরিসরে ড্রাগন, কমলা লেবু বা যেকোনো ফলের চাষ করলে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে অপর দিকে স্বাবলম্বী হতে পারবে যুবকরা।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় মাল্টা, কমলা লেবু, ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ হচ্ছে। এ উপজেলার মাটির উৎপাদিত ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু। যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ফলের বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। তিনি আরও জানান, জীবননগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সব সময় নতুন নতুন চাষের জন্য সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। চাষের জন্য যেকোনো পরামর্শ নিতে চাইলে কৃষি অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাহায্য-সহযোগিতা করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাণিজ্যিকভাবে দার্জিলিং কমলা লেবুর চাষে সাফল্য

আপলোড টাইম : ০৯:২২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে দার্জিলিং কমলা লেবুর বাগান। কমলা লেবুর পাঁকা-কাঁচা থোকায় থোকায় ভরে গেছে গোটা বাগান। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কমলা লেবুর চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় এ চাষে এলাকার তরুণ উদ্যোক্তারা ঝুকে পড়েছেন। ২০১৯ সালে প্রথম ২০ শতাংশ জমিতে গড়ে ওঠে কমলা লেবুর বাগান।

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চাডাঙ্গা জোলপাড়ার মাঠে বাণিজ্যিকভাবে দার্জিলিং কমলা লেবুর চাষ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে এ উপজেলার সব ধরনের উৎপাদিত ফলের। দার্জিলিং কমলা লেবুর গাছ লাগানোর ১০-১২ মাস পর থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু হয়। কমলা লেবু কাঁচা-পাঁকায় গায়ের রঙ সবুজ ও হলুদ। এই ফলের বাগান করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাগান থেকে পাইকারি দরে প্রতি কেজি কমলা লেবু বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা কেজি।

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের তাহের আলী গাজীর ছেলে দার্জিলিং কমলা লেবুর বাগান মালিক রানা মাহমুদ বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের দিকে ২০ শতাংশ জমিতে ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমি কমলা লেবু, ড্রাগনসহ ১১ বিঘা জমিতে চাষ করছি। কমলা লেবুর বাগান করা একটি লাভজনক চাষ। অনান্য চাষের তুলনায় এ চাষে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়, ফলে ঠিকমত রং আসে না, টক লাগে, রস থাকে না। তবে আমার এ কমলা লেবুতে এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই, বাগানের প্রতিটি ফলে অনেক রস, খেতে মিষ্টি এবং সুস্বাদু। আমার এখানে প্রতিদিন এলাকার ১২-১৪ জন নারী-পুরুষ দিন হাজিরা হিসেবে কাজ করে। আমার বাগানের উৎপাদিত কমলা লেবু আকারে বড়, যে কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক।’ তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বেকার বসে না থেকে অল্প পরিসরে ড্রাগন, কমলা লেবু বা যেকোনো ফলের চাষ করলে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে অপর দিকে স্বাবলম্বী হতে পারবে যুবকরা।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় মাল্টা, কমলা লেবু, ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ হচ্ছে। এ উপজেলার মাটির উৎপাদিত ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু। যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ফলের বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। তিনি আরও জানান, জীবননগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সব সময় নতুন নতুন চাষের জন্য সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। চাষের জন্য যেকোনো পরামর্শ নিতে চাইলে কৃষি অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাহায্য-সহযোগিতা করবে।