ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

‘বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো আপসের পথে হাঁটেননি’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার পৃথক আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কান, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চুয়াডাঙ্গা:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি নানা আয়োজনে উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে ও শ্বেতকপোত অবমুক্ত করা হয়। পরে একই স্থান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেন। কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করে এবং এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো আপসের পথে হাঁটেননি। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে বিশ্ব শান্তি স্থাপনের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের মুখে হাসি ফুটানো ও বয়স্ক ভাতা চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সভায় মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ। আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনএসআই’র উপ-পরিচালক ইয়াসিন সোহেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।
কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাকিম। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন শামিম রেজা। পরবর্তীতে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
জীবননগর:
জীবননগরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তিথি মিত্রের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
গাংনী:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলাচেনা সভা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আব্দুল হালিম, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মণ্টুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

‘বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো আপসের পথে হাঁটেননি’

আপলোড টাইম : ০৭:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার পৃথক আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কান, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চুয়াডাঙ্গা:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি নানা আয়োজনে উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে ও শ্বেতকপোত অবমুক্ত করা হয়। পরে একই স্থান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেন। কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করে এবং এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো আপসের পথে হাঁটেননি। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে বিশ্ব শান্তি স্থাপনের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের মুখে হাসি ফুটানো ও বয়স্ক ভাতা চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সভায় মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ। আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনএসআই’র উপ-পরিচালক ইয়াসিন সোহেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।
কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাকিম। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন শামিম রেজা। পরবর্তীতে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
জীবননগর:
জীবননগরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তিথি মিত্রের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
গাংনী:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলাচেনা সভা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আব্দুল হালিম, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মণ্টুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।