ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করলেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ—এর ভাইস—চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেছেন ঢাকা সিটি ইউনিভার্সিটির কৃষি অনুষদের ডিন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ—এর ভাইস—চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন তিনি। ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর—এঁর অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়োগে করা হয়েছে। তিনি ১৯৫৩ সালে মুন্সিগঞ্জ—বিক্রমপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেরে—বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি কৃষি (অনার্স) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি কৃষি (হর্টিকালচার) ডিগ্রি লাভ করেন। অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন ১৯৯০ সালে জাপানের বিখ্যাত কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট করেন এবং ১৯৯৩—৯৪ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্সে ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ছিলেন।
অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন তাঁর শিক্ষাজীবনে কমনওয়েলথ একাডেমিক ফেলো পুরস্কৃত হন এবং ২০০৯ সালে গ্রিনউইচ ইউনিভার্সিটি, লন্ডন ইউকে—তে ব্রাসিকা সোমাটিক হাইব্রিডাইজেশনের ওপর গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সেসময় শ্রীনগরস্থ ষোলঘর ক্যাম্পের সেকেন্ড—ইন—কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন বিগত ৪০ বছর যাবৎ কৃষি গবেষণা এবং বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে কৃষিশিক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য হিসেবে তাঁর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ৪৪ জন পিএইচডি ও ৬৭ জন এমএসসি ছাত্র—ছাত্রী তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। গবেষণার সাফল্য হিসেবে তিনি এ পর্যন্ত ১২টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করেন, তাঁর উদ্ভাবিত আপেল কুল বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের পুষ্টি ও ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে তিনি ২০১৬ সালে সেরা কৃষি ব্যক্তিত্ব হিসেবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কর্তৃক ‘কেআইবি কৃষি পদক ২০১৬’ লাভ করেন।
এছাড়া, তিনি ২০০৩ সালে ইউজিসি পদক এবং ১৯৯৩ সালে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি পদক’ অর্জন করেন। কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতঃমধ্যে তাঁর রচিত ৫টি টেক্সস্ বই ও ২৫৭টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশি—বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। অধিকন্ত, পেশাগত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তিনি প্রায় ১০টি পেশাগত সমিতির আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ফান্ড, শ্রীনগর কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয় শাখা গোল্ডেন স্ট্রিট কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং এপ্লাইড প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—এর সভাপতি। গতকাল ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পসে প্রবেশ করলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক—শিক্ষিকা, কর্মকর্তা—কর্মচারী নবাগত ভাইস—চ্যান্সেলরকে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করলেন

আপলোড টাইম : ০৪:৪৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ—এর ভাইস—চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেছেন ঢাকা সিটি ইউনিভার্সিটির কৃষি অনুষদের ডিন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ—এর ভাইস—চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন তিনি। ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর—এঁর অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়োগে করা হয়েছে। তিনি ১৯৫৩ সালে মুন্সিগঞ্জ—বিক্রমপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেরে—বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি কৃষি (অনার্স) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি কৃষি (হর্টিকালচার) ডিগ্রি লাভ করেন। অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন ১৯৯০ সালে জাপানের বিখ্যাত কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট করেন এবং ১৯৯৩—৯৪ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্সে ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ছিলেন।
অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন তাঁর শিক্ষাজীবনে কমনওয়েলথ একাডেমিক ফেলো পুরস্কৃত হন এবং ২০০৯ সালে গ্রিনউইচ ইউনিভার্সিটি, লন্ডন ইউকে—তে ব্রাসিকা সোমাটিক হাইব্রিডাইজেশনের ওপর গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সেসময় শ্রীনগরস্থ ষোলঘর ক্যাম্পের সেকেন্ড—ইন—কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন বিগত ৪০ বছর যাবৎ কৃষি গবেষণা এবং বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে কৃষিশিক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য হিসেবে তাঁর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ৪৪ জন পিএইচডি ও ৬৭ জন এমএসসি ছাত্র—ছাত্রী তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। গবেষণার সাফল্য হিসেবে তিনি এ পর্যন্ত ১২টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করেন, তাঁর উদ্ভাবিত আপেল কুল বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের পুষ্টি ও ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে তিনি ২০১৬ সালে সেরা কৃষি ব্যক্তিত্ব হিসেবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কর্তৃক ‘কেআইবি কৃষি পদক ২০১৬’ লাভ করেন।
এছাড়া, তিনি ২০০৩ সালে ইউজিসি পদক এবং ১৯৯৩ সালে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি পদক’ অর্জন করেন। কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতঃমধ্যে তাঁর রচিত ৫টি টেক্সস্ বই ও ২৫৭টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশি—বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। অধিকন্ত, পেশাগত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তিনি প্রায় ১০টি পেশাগত সমিতির আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ফান্ড, শ্রীনগর কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয় শাখা গোল্ডেন স্ট্রিট কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং এপ্লাইড প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—এর সভাপতি। গতকাল ফাস্টর্ ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পসে প্রবেশ করলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক—শিক্ষিকা, কর্মকর্তা—কর্মচারী নবাগত ভাইস—চ্যান্সেলরকে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন।