ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নয়নশীল-ডিসি আমিনুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ সংক্রান্ত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। একই সাথে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌছানো, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানো, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগে মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। সর্বক্ষেত্রে এখন নারীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান প্রতিটা সেক্টরে নারীরা থাকুক।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মানুষ যখন আশ্রয় পাবে তখন আমাদের মাথাপিছু আয় আরো বাড়বে। শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। সরকার অবহেলিতদের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে নিয়ে এসেছেন। বিভিন্নরকম সেবা পাচ্ছে সাধারণ অসহায় ও অবহেলিত মানুষসহ বিভিন্ন রোগীরাও। সরকার সকল সেক্টরের মানুষতের জন্য চিন্তা করছেন এবং জিবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। প্রয়োজন আমাদের স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা।’

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃস্থানীয় একশ জন অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায়, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ তথা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিনিয়োগ বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দিনব্যাপী কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে সেশন নেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ। পরে, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দশটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন পরামর্শ লিখে উপস্থাপন করেন। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী টানেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নয়নশীল-ডিসি আমিনুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ সংক্রান্ত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। একই সাথে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌছানো, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানো, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগে মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। সর্বক্ষেত্রে এখন নারীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান প্রতিটা সেক্টরে নারীরা থাকুক।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মানুষ যখন আশ্রয় পাবে তখন আমাদের মাথাপিছু আয় আরো বাড়বে। শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। সরকার অবহেলিতদের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে নিয়ে এসেছেন। বিভিন্নরকম সেবা পাচ্ছে সাধারণ অসহায় ও অবহেলিত মানুষসহ বিভিন্ন রোগীরাও। সরকার সকল সেক্টরের মানুষতের জন্য চিন্তা করছেন এবং জিবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। প্রয়োজন আমাদের স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা।’

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃস্থানীয় একশ জন অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায়, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ তথা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিনিয়োগ বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দিনব্যাপী কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে সেশন নেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ। পরে, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দশটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন পরামর্শ লিখে উপস্থাপন করেন। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী টানেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।