ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

প্রখ্যাত সাংবাদিক ওসমান গনির মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রখ্যাত সাংবাদিক ওসমান গনির ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯১ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওসমান গনির জন্ম ১৯৩১ সালে যশোরের চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামে। তিনি যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। যশোরের প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ মসিয়ুর রহমানের সংস্পর্শে জীবনের শুরুর দিকে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে কারাবরণ করেন। পরে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। ওসমান গনি ছিলেন প্রখর মেধাবী ও তীক্ষè ধীশক্তি সম্পন্ন সাহসী সাংবাদিক। ১৯৬২ সালে তিনি দৈনিক আজাদের চিফ রিপোর্টার ছিলেন। দৈনিক আজাদ ছাড়াও তিনি পয়গাম, মিল্লাত, অবজারভার, বাংলাদেশ টাইমস, নিউ নেশন প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উচ্চপদে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রতিষ্ঠা হলে তার পরিচালক প্রশাসন পদে নিযুক্ত হন। সাংবাদিক ওসমান গনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় ছদ্মনামে লিখতেন। তিনিই একমাত্র লেখক ও সাংবাদিক যিনি একাধারে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন। দেশের শীর্ষ পত্র-পত্রিকায় তার যুক্তিপূর্ণ ক্ষুরধার লেখনী প্রকাশ হতো। ক্র্যাক মিরর, কাজীর দরবার, ফকির গাজী, চড়াই উতরাই প্রভৃতি ছদ্মনামে তার লেখা প্রকাশ হতো। তিনি মূলত সামাজিক অসঙ্গতি, বিজাতীয় সংস্কৃতি, দেশপ্রেম, অন্যায় বঞ্চনা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখতেন। মরহুম ওসমান গনি একজন সুসাহিত্যিক ছিলেন। ষাটের দশকে তার লেখা ‘মুসলিম আইন’ বইটি আজো সুধীমহলে সমান জনপ্রিয়। ‘কত মানুষ কত মন’, ‘গানের পাখিরা’, ‘ফারাজী মুনশির হপ্তানামা’ তার লেখা পাঠকপ্রিয় বই। এ মহৎপ্রাণ সাংবাদিক বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটাই বিস্মৃতপ্রায়। আবদুল গাফফার চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, জহুর হোসেন, আখতার উল আলমের মতো সাংবাদিকেরাও তাকে সমীহ করতেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯১ সালে মাত্র ষাট বছর বয়সে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কয়ারপাড়া গ্রামে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রখ্যাত সাংবাদিক ওসমান গনির মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপলোড টাইম : ০৪:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রখ্যাত সাংবাদিক ওসমান গনির ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯১ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওসমান গনির জন্ম ১৯৩১ সালে যশোরের চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামে। তিনি যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। যশোরের প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ মসিয়ুর রহমানের সংস্পর্শে জীবনের শুরুর দিকে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে কারাবরণ করেন। পরে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। ওসমান গনি ছিলেন প্রখর মেধাবী ও তীক্ষè ধীশক্তি সম্পন্ন সাহসী সাংবাদিক। ১৯৬২ সালে তিনি দৈনিক আজাদের চিফ রিপোর্টার ছিলেন। দৈনিক আজাদ ছাড়াও তিনি পয়গাম, মিল্লাত, অবজারভার, বাংলাদেশ টাইমস, নিউ নেশন প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উচ্চপদে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রতিষ্ঠা হলে তার পরিচালক প্রশাসন পদে নিযুক্ত হন। সাংবাদিক ওসমান গনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় ছদ্মনামে লিখতেন। তিনিই একমাত্র লেখক ও সাংবাদিক যিনি একাধারে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন। দেশের শীর্ষ পত্র-পত্রিকায় তার যুক্তিপূর্ণ ক্ষুরধার লেখনী প্রকাশ হতো। ক্র্যাক মিরর, কাজীর দরবার, ফকির গাজী, চড়াই উতরাই প্রভৃতি ছদ্মনামে তার লেখা প্রকাশ হতো। তিনি মূলত সামাজিক অসঙ্গতি, বিজাতীয় সংস্কৃতি, দেশপ্রেম, অন্যায় বঞ্চনা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখতেন। মরহুম ওসমান গনি একজন সুসাহিত্যিক ছিলেন। ষাটের দশকে তার লেখা ‘মুসলিম আইন’ বইটি আজো সুধীমহলে সমান জনপ্রিয়। ‘কত মানুষ কত মন’, ‘গানের পাখিরা’, ‘ফারাজী মুনশির হপ্তানামা’ তার লেখা পাঠকপ্রিয় বই। এ মহৎপ্রাণ সাংবাদিক বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটাই বিস্মৃতপ্রায়। আবদুল গাফফার চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, জহুর হোসেন, আখতার উল আলমের মতো সাংবাদিকেরাও তাকে সমীহ করতেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯১ সালে মাত্র ষাট বছর বয়সে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কয়ারপাড়া গ্রামে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।