ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পুকুর পাড়ে ড্রাগন চাষে সাফল্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর পৌর শহরের নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. কামাল হোসেন নিজ পুকুর পাড়ের পতিত জমিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। সরেজমিন বাগান ঘুরে ড্রাগন চাষী ডা. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুকুরের মাছ চাষ করে আসছি। মাছ চাষের পাশাপাশি ২০১৯ সালে পুকুরের দুই পাশে পতিত জমিতে হাজার পিস ড্রাগনের কাটিং রোপণ করা হয়। কাটিং রোপণ থেকে ১১ মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু করে। চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিদিন থেকে ঘণ্টা মাছ এবং ড্রাগন বাগানে নিজে এবং হাজিরা চুক্তিতে শ্রমিকের মাধ্যমে পরিচর্যা করেন। প্রথম দিকে ড্রাগন গাছে অল্প পরিসরে ফল পেলেও এবার গোটা ড্রাগনের বাগানজুড়ে মন জুড়ানো ফুল আর ফল ধরেছে।

তিনি জানান, ফুল ফোটার ৩০ দিনের মাথায় ড্রাগন ফল তোলার উপযুক্ত হয়। ড্রাগন চাষে নিজের খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করে থাকেন। ড্রাগন চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না শুধুমাত্র ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয় ফলকে নিরাপদ রাখার জন্য। ২০২১ সালে ১৫০ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচ বাদে ২৫ হাজার টাকা লাভ করলেও এবার দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন সফল ড্রাগন চাষী ডা. কামাল হোসেন। শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করলেও এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করছেন বলে জানান। ড্রাগন চাষে সফলতা অর্জন করায় এলাকার মানুষকে এখন ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। বিনামূল্যে ড্রাগনের কাটিং সরবরাহ পরামর্শ প্রদান করছেন। গরুছাগলের খাওয়ার ভয় না থাকায় অনেকেই বসতবাড়ির পাশে পতিত জায়গায় ড্রাগন চাষ করছেন।

ড্রাগন মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল। যা বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ভিয়েতনাম থেকে ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরণের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। গাছের কোনো পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারণত দশমিক থেকে দশমিক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল সাদা এবং রসালো প্রকৃতির। ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো নরম। একটি ফলের ওজন ২০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, জীবননগর উপজেলার মাটি ড্রাগন চাষের জন্য উপযুক্ত। বছর জীবননগর উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। পতিত জমিতেও ফল চাষ করা যায়। সরকারিভাবেও ড্রাগনসহ নতুন ধরণের বিভিন্ন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পুকুর পাড়ে ড্রাগন চাষে সাফল্য

আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর পৌর শহরের নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. কামাল হোসেন নিজ পুকুর পাড়ের পতিত জমিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। সরেজমিন বাগান ঘুরে ড্রাগন চাষী ডা. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুকুরের মাছ চাষ করে আসছি। মাছ চাষের পাশাপাশি ২০১৯ সালে পুকুরের দুই পাশে পতিত জমিতে হাজার পিস ড্রাগনের কাটিং রোপণ করা হয়। কাটিং রোপণ থেকে ১১ মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু করে। চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিদিন থেকে ঘণ্টা মাছ এবং ড্রাগন বাগানে নিজে এবং হাজিরা চুক্তিতে শ্রমিকের মাধ্যমে পরিচর্যা করেন। প্রথম দিকে ড্রাগন গাছে অল্প পরিসরে ফল পেলেও এবার গোটা ড্রাগনের বাগানজুড়ে মন জুড়ানো ফুল আর ফল ধরেছে।

তিনি জানান, ফুল ফোটার ৩০ দিনের মাথায় ড্রাগন ফল তোলার উপযুক্ত হয়। ড্রাগন চাষে নিজের খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করে থাকেন। ড্রাগন চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না শুধুমাত্র ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয় ফলকে নিরাপদ রাখার জন্য। ২০২১ সালে ১৫০ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচ বাদে ২৫ হাজার টাকা লাভ করলেও এবার দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন সফল ড্রাগন চাষী ডা. কামাল হোসেন। শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করলেও এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করছেন বলে জানান। ড্রাগন চাষে সফলতা অর্জন করায় এলাকার মানুষকে এখন ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। বিনামূল্যে ড্রাগনের কাটিং সরবরাহ পরামর্শ প্রদান করছেন। গরুছাগলের খাওয়ার ভয় না থাকায় অনেকেই বসতবাড়ির পাশে পতিত জায়গায় ড্রাগন চাষ করছেন।

ড্রাগন মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল। যা বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ভিয়েতনাম থেকে ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরণের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। গাছের কোনো পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারণত দশমিক থেকে দশমিক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল সাদা এবং রসালো প্রকৃতির। ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো নরম। একটি ফলের ওজন ২০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, জীবননগর উপজেলার মাটি ড্রাগন চাষের জন্য উপযুক্ত। বছর জীবননগর উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। পতিত জমিতেও ফল চাষ করা যায়। সরকারিভাবেও ড্রাগনসহ নতুন ধরণের বিভিন্ন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।