ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা না দিতে পেরে পরীক্ষার হল থেকে বাড়ি ফিরে ইয়ামিন হোসেন (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সড়াবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইয়ামিন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের আতিয়ার রহমান ছেলে ও সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

নিহত ইয়ামিনের মা শরিফা বেগম বলেন, ‘ইয়ামিন গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিল। আগের দুইটা পরীক্ষাও দিতে পারেনি। পেটের ব্যথার কারণে পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। কিন্তু পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পরে ইয়ামিনকে ডাকলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এসময় ওর ঘরে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখি। পরে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকালে ইয়ামিনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দরজা ভেঙে তাকে নিচে নামিয়ে হাপসাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলেকে কখনো বকাবকিও আমি করিনি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহান রুমি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ইয়ামিন নামের ওই যুবককে পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নেয়। পরিবারের থেকে জানতে পারি সে গয়ায় ফাঁস দিয়েছিল। তবে জরুরি বিভাগে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। এখানে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘সকালে দর্শনা থানাধীন সড়াবাড়িয়া গ্রামে এক স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে পারি। পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরের আত্মহত্যার বিষয়ে সকালে জানতে পারি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!

আপলোড টাইম : ১০:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা না দিতে পেরে পরীক্ষার হল থেকে বাড়ি ফিরে ইয়ামিন হোসেন (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সড়াবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইয়ামিন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের আতিয়ার রহমান ছেলে ও সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

নিহত ইয়ামিনের মা শরিফা বেগম বলেন, ‘ইয়ামিন গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিল। আগের দুইটা পরীক্ষাও দিতে পারেনি। পেটের ব্যথার কারণে পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। কিন্তু পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পরে ইয়ামিনকে ডাকলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এসময় ওর ঘরে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখি। পরে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকালে ইয়ামিনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দরজা ভেঙে তাকে নিচে নামিয়ে হাপসাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলেকে কখনো বকাবকিও আমি করিনি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহান রুমি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ইয়ামিন নামের ওই যুবককে পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নেয়। পরিবারের থেকে জানতে পারি সে গয়ায় ফাঁস দিয়েছিল। তবে জরুরি বিভাগে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। এখানে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘সকালে দর্শনা থানাধীন সড়াবাড়িয়া গ্রামে এক স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে পারি। পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরের আত্মহত্যার বিষয়ে সকালে জানতে পারি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’