ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত খামারীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জীবননগরের খামারীরা। বর্তমানে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পশুহাটে কিছু কিছু গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও পুরোদমে গরু বিক্রি শুরু হবে ঈদের কয়েকদিন আগে। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা ঈদের বোনাস পাওয়ার পর হাটে গরু বিক্রি বৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছেন খামারীরা।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারীরা বর্তমানে গরুর বেশি যত্ন নিচ্ছেন। তবে বাজারে গো-খাদ্যসহ ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। হাটে গরু বিক্রি পুরোদমে শুরু না হলেও গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছুই ছুই অবস্থা। খামারীরা বলছেন, একটি গরুর পেছনে প্রতিদিন ২ শ থেকে ৩ শ টাকা খরচ হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক খরচ। এবার সরকার যদি দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি না করে, তাহলে দেশের খামারীরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারবেন। তা নাহলে খামারীদের প্রচুর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন খামারীরা। তাঁরা জানান, এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলায় যে পরিমাণ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে, তা দিয়েই জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা সম্ভব।

গরু মোটাতাজাকরণের বিস্তারিত পদ্ধতি

জীবননগরে পেয়ারাতলার বাশার ডেইরি ফার্মের মালিক বাশার আহাম্মেদ বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে ৬০টি গরু আছে, যা এই ঈদে বাজারে বিক্রির জন্য তুলব। একটু লাভের আশায় আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে গরুর যত্ন নিচ্ছি। সরকার যদি আমাদের কথা না ভেবে ভারত থেকে গরু আমদানি করে, তাহলে আগামীতে খামারীরা গরু মোটা-তাজাকরণ করা ছেড়ে দিবেন। গত বছর করোনার কারণে গরুতে লোকসান হলেও এবছর একটু লাভের মুখ দেখতে পাব বলে আশা করছি।’ তবে গো-খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে লাভের পরিমাণ একটু কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই খামারী।

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানভিন হাসান বলেন, এবার জীবননগর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২ শ খামারে ২০ হাজার গরু মোটা-তাজাকরণ করা হচ্ছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো গরু রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়নি। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যে পরিমাণ গরু মোটা-তাজাকরণ করা হয়েছে, তা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যান্য জায়গায় চালান করা সম্ভব। আর ভারত থেকে গরু আমদানি করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। সরকার যদি বিদেশ থেকে গরু আমদানি না করেন, তাহলে এবার খামারীরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত খামারীরা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জীবননগরের খামারীরা। বর্তমানে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পশুহাটে কিছু কিছু গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও পুরোদমে গরু বিক্রি শুরু হবে ঈদের কয়েকদিন আগে। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা ঈদের বোনাস পাওয়ার পর হাটে গরু বিক্রি বৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছেন খামারীরা।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারীরা বর্তমানে গরুর বেশি যত্ন নিচ্ছেন। তবে বাজারে গো-খাদ্যসহ ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। হাটে গরু বিক্রি পুরোদমে শুরু না হলেও গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছুই ছুই অবস্থা। খামারীরা বলছেন, একটি গরুর পেছনে প্রতিদিন ২ শ থেকে ৩ শ টাকা খরচ হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক খরচ। এবার সরকার যদি দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি না করে, তাহলে দেশের খামারীরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারবেন। তা নাহলে খামারীদের প্রচুর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন খামারীরা। তাঁরা জানান, এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলায় যে পরিমাণ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে, তা দিয়েই জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা সম্ভব।

গরু মোটাতাজাকরণের বিস্তারিত পদ্ধতি

জীবননগরে পেয়ারাতলার বাশার ডেইরি ফার্মের মালিক বাশার আহাম্মেদ বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে ৬০টি গরু আছে, যা এই ঈদে বাজারে বিক্রির জন্য তুলব। একটু লাভের আশায় আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে গরুর যত্ন নিচ্ছি। সরকার যদি আমাদের কথা না ভেবে ভারত থেকে গরু আমদানি করে, তাহলে আগামীতে খামারীরা গরু মোটা-তাজাকরণ করা ছেড়ে দিবেন। গত বছর করোনার কারণে গরুতে লোকসান হলেও এবছর একটু লাভের মুখ দেখতে পাব বলে আশা করছি।’ তবে গো-খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে লাভের পরিমাণ একটু কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই খামারী।

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানভিন হাসান বলেন, এবার জীবননগর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২ শ খামারে ২০ হাজার গরু মোটা-তাজাকরণ করা হচ্ছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো গরু রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়নি। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যে পরিমাণ গরু মোটা-তাজাকরণ করা হয়েছে, তা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যান্য জায়গায় চালান করা সম্ভব। আর ভারত থেকে গরু আমদানি করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। সরকার যদি বিদেশ থেকে গরু আমদানি না করেন, তাহলে এবার খামারীরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।