ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

নুডলস চুরির অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় নুডলস ও নারিকেল তেল চুরির অভিযোগে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম হোসেন (২২) আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সের মালিক ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বিভিন্ন পণ্যের ডিলার। মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাড়িতে অর্ডারের পণ্য আনলোড করছিল। এসময় সাদ্দাম হোসেন ওই গাড়ি থেকে নুডলস ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে ধরে আমানুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করে। পরে আমানুল্লাহ প্রকাশ্যে দোকানের খুটিঁতে সাদ্দামের দুই হাত বেঁধে একটি পাইপ দিয়ে নির্যাতন করে।

ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমার প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনা ঘটতো। এতে আমি অতিষ্ট ছিলাম। কিছুতেই চোর ধরতে পারতাম না। আজ কিছু নারিকেল তেল ও নুডলস এর প্যাকেট চুরির সময় হাতেহাতে সাদ্দামকে ধরে স্থানীয়রা আমার কাছে নিয়ে আসে। তবে তাকে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা আমার অন্যায় হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট মানি খন্দকার  বলেন, ‘দোকানের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এটা বড় অপরাধের মধ্যে পড়ে। যতই অপরাধই করুন না কেনো কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। তাকে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোর্পদ করতে হবে। নির্যাতনের শিকার ও যুবক বা তার পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে মানবতা ফাউন্ডেশন থেকে তাকে বিন্যামূল্যে তার সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।’

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল না। পরে সংবাদকর্মীদের মাধ্যেমে নির্যাতনের ভিডিও দেখেছি। এভাবে কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। চুরির ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। নির্যাতনের ঘটনায় সাদ্দাম বা তার পরিবার অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। রাতেই শেখ আমানুল্লাহকে পুলিশ জিজ্ঞাসাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাদ্দামের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চুরি ও একটি ছিনতাই মামলা চলমান। এছাড়াও একবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল সে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নুডলস চুরির অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

আপলোড টাইম : ০২:৩১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় নুডলস ও নারিকেল তেল চুরির অভিযোগে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম হোসেন (২২) আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সের মালিক ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বিভিন্ন পণ্যের ডিলার। মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাড়িতে অর্ডারের পণ্য আনলোড করছিল। এসময় সাদ্দাম হোসেন ওই গাড়ি থেকে নুডলস ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে ধরে আমানুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করে। পরে আমানুল্লাহ প্রকাশ্যে দোকানের খুটিঁতে সাদ্দামের দুই হাত বেঁধে একটি পাইপ দিয়ে নির্যাতন করে।

ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমার প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনা ঘটতো। এতে আমি অতিষ্ট ছিলাম। কিছুতেই চোর ধরতে পারতাম না। আজ কিছু নারিকেল তেল ও নুডলস এর প্যাকেট চুরির সময় হাতেহাতে সাদ্দামকে ধরে স্থানীয়রা আমার কাছে নিয়ে আসে। তবে তাকে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা আমার অন্যায় হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট মানি খন্দকার  বলেন, ‘দোকানের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এটা বড় অপরাধের মধ্যে পড়ে। যতই অপরাধই করুন না কেনো কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। তাকে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোর্পদ করতে হবে। নির্যাতনের শিকার ও যুবক বা তার পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে মানবতা ফাউন্ডেশন থেকে তাকে বিন্যামূল্যে তার সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।’

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল না। পরে সংবাদকর্মীদের মাধ্যেমে নির্যাতনের ভিডিও দেখেছি। এভাবে কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। চুরির ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। নির্যাতনের ঘটনায় সাদ্দাম বা তার পরিবার অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। রাতেই শেখ আমানুল্লাহকে পুলিশ জিজ্ঞাসাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাদ্দামের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চুরি ও একটি ছিনতাই মামলা চলমান। এছাড়াও একবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল সে।