ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ধানের বাম্পার ফলনেও মলিন কৃষকের মুখ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

মাহবুবুর রহমান মনি, কার্পাসডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর ভালো না পাওয়ায় কৃষকের মুখ মলিন হয়ে উঠেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ দাম যথেষ্ট নয় বলে দাবি করছেন প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা। চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ৯শ থেকে এক হাজার টাকায়। বাম্পার ফলন হলেও ব্যয় ও পরিশ্রমের তুলনায় মূল্য কম পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদায় এবার ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে যা বাম্পার ফলন দিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার ৬০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এই সাড়ে ৩ বিঘা জমির বোরো আবাদে তার সেচ, বীজ, হাল-চাষ, কীটনাশক, শ্রমিকসহ মোট ৬০ হাজার খরচ হয়েছে। ধান হয়েছে ৭০ মণ। এতে তার সকল খরচ বাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ থাকবে। সেচ ও অন্যান্য খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বাম্পার ফলন হলেও তেমন লাভ হচ্ছে না। এখন সরকার যদি বেশি মূল্যে ধান ক্রয় করে, তাহলে চাষিরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবে।

পারদামুড়হুদা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ বলেন, তিনি দেউলির মাঠে নিজের স্যালো মেশিনের আওতায় ১২ কাঠা জমিতে ধান চাষ করেছেন। সবকিছুর দাম বেশি, একজন শ্রমিকের খরচ ৬শ টাকা। এ ছাড়া সেচ, সার, বালাইনাশকসহ সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কাঠা প্রতি এক মণ করে ধান হলেও লাভ হবে না। বরং লোকশান হবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়া ও প্রচণ্ড খরার কারণে সেচ খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ধানকাটা শ্রমিক সংকট হওয়ায় শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধি করেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা খুব একটা লাভবান হতে পারছেন না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ধানের বাম্পার ফলনেও মলিন কৃষকের মুখ

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

মাহবুবুর রহমান মনি, কার্পাসডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর ভালো না পাওয়ায় কৃষকের মুখ মলিন হয়ে উঠেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ দাম যথেষ্ট নয় বলে দাবি করছেন প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা। চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ৯শ থেকে এক হাজার টাকায়। বাম্পার ফলন হলেও ব্যয় ও পরিশ্রমের তুলনায় মূল্য কম পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদায় এবার ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে যা বাম্পার ফলন দিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার ৬০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এই সাড়ে ৩ বিঘা জমির বোরো আবাদে তার সেচ, বীজ, হাল-চাষ, কীটনাশক, শ্রমিকসহ মোট ৬০ হাজার খরচ হয়েছে। ধান হয়েছে ৭০ মণ। এতে তার সকল খরচ বাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ থাকবে। সেচ ও অন্যান্য খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বাম্পার ফলন হলেও তেমন লাভ হচ্ছে না। এখন সরকার যদি বেশি মূল্যে ধান ক্রয় করে, তাহলে চাষিরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবে।

পারদামুড়হুদা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ বলেন, তিনি দেউলির মাঠে নিজের স্যালো মেশিনের আওতায় ১২ কাঠা জমিতে ধান চাষ করেছেন। সবকিছুর দাম বেশি, একজন শ্রমিকের খরচ ৬শ টাকা। এ ছাড়া সেচ, সার, বালাইনাশকসহ সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কাঠা প্রতি এক মণ করে ধান হলেও লাভ হবে না। বরং লোকশান হবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়া ও প্রচণ্ড খরার কারণে সেচ খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ধানকাটা শ্রমিক সংকট হওয়ায় শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধি করেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা খুব একটা লাভবান হতে পারছেন না।’