ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলা ও অফিস-ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মতিয়ার রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দর্শনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা, ১ নম্বর ওয়ার্ডের খালেকুজ্জামান তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় অনিয়ম এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আইন বর্হিভূতভাবে বিভিন্ন প্রকারের কাজ বিশেষত টেন্ডার, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে জোর-জুলুম করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা পুরাতন বাজারের আবুলের ছেলে জাহিদুল, আনোয়ারের ছেলে রাশেদুল, ইসলাম বাজারের কলিমের ছেলে সিজার ও দক্ষিণ চাঁদপুরের বিপ্লবের ছেলে মোস্তাকসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের অফিস কক্ষে ঢুকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করবার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং খুন জখমের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা টেবিলে রক্ষিত অফিসিয়াল কাগজপত্র তছরূপ করে পেপার ওয়েট দিয়ে টেবিলের উপর থাকা কাঁচ ভাঙচুর করে। ট্রেড লাইসেন্স দিতে না চাইলে প্রকৌশলীকে তারা শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া করে খুন করে লাশ গুম করে দেবো বলে হুমকি দেয়। পরে তারা অফিস কক্ষের মধ্যে ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অফিসের স্টিলের আলমারীর ভিতর থেকে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামান ১ লাখ ১০ হাজার ৩৩৫ টাকা ও সরকারি কাগজপত্র তছনছ ও লুটে করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় কাউন্সিলর মিকা ও খালেক পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করিতে বাঁধা প্রদান, নতুন বাড়ি নির্মাণে নকসা অনুমোদন ব্যতিরেকে পৌরবাসীকে বাড়ি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আইন-লঙ্ঘণ করে। এজাহারের প্রেক্ষিতে দর্শনা থানা কর্তৃক ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন । এরই মধ্যে গত ১৯ তারিখে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা ও খালেকুজ্জান দর্শনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দর্শনা পৌরসভাসহ, সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের রিপোর্ট জাতীয় দৈনিক যুগান্তরসহ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আমার গোচরীভূত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদ্বয় কর্তৃক আনিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। দর্শনা পৌরসভা সরকারি বিধি- মোতাবেক চলে থাকে। যা পৌরবাসীর সকলের জানা। তাই এই ভিত্তিহীন সাংবাদিক সম্মেলনে কথিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই জাহিদুল নামের এক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা নিয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের সাথে কাউন্সিলর মিকার কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে পৌরসভার কর্মচারীরা গত ১৮ জুলাই বিকেলে কাউন্সিলর মিকার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। জবাব হিসাবে পরের দিন ১৯ জুলাই বেলা ১১টায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কাউন্সিলর মিকা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৭:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলা ও অফিস-ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মতিয়ার রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দর্শনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা, ১ নম্বর ওয়ার্ডের খালেকুজ্জামান তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় অনিয়ম এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আইন বর্হিভূতভাবে বিভিন্ন প্রকারের কাজ বিশেষত টেন্ডার, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে জোর-জুলুম করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা পুরাতন বাজারের আবুলের ছেলে জাহিদুল, আনোয়ারের ছেলে রাশেদুল, ইসলাম বাজারের কলিমের ছেলে সিজার ও দক্ষিণ চাঁদপুরের বিপ্লবের ছেলে মোস্তাকসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের অফিস কক্ষে ঢুকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করবার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং খুন জখমের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা টেবিলে রক্ষিত অফিসিয়াল কাগজপত্র তছরূপ করে পেপার ওয়েট দিয়ে টেবিলের উপর থাকা কাঁচ ভাঙচুর করে। ট্রেড লাইসেন্স দিতে না চাইলে প্রকৌশলীকে তারা শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া করে খুন করে লাশ গুম করে দেবো বলে হুমকি দেয়। পরে তারা অফিস কক্ষের মধ্যে ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অফিসের স্টিলের আলমারীর ভিতর থেকে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামান ১ লাখ ১০ হাজার ৩৩৫ টাকা ও সরকারি কাগজপত্র তছনছ ও লুটে করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় কাউন্সিলর মিকা ও খালেক পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করিতে বাঁধা প্রদান, নতুন বাড়ি নির্মাণে নকসা অনুমোদন ব্যতিরেকে পৌরবাসীকে বাড়ি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আইন-লঙ্ঘণ করে। এজাহারের প্রেক্ষিতে দর্শনা থানা কর্তৃক ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন । এরই মধ্যে গত ১৯ তারিখে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা ও খালেকুজ্জান দর্শনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দর্শনা পৌরসভাসহ, সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের রিপোর্ট জাতীয় দৈনিক যুগান্তরসহ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আমার গোচরীভূত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদ্বয় কর্তৃক আনিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। দর্শনা পৌরসভা সরকারি বিধি- মোতাবেক চলে থাকে। যা পৌরবাসীর সকলের জানা। তাই এই ভিত্তিহীন সাংবাদিক সম্মেলনে কথিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কাউন্সিলর মিকা ও খালেকুজ্জামানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই জাহিদুল নামের এক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা নিয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের সাথে কাউন্সিলর মিকার কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে পৌরসভার কর্মচারীরা গত ১৮ জুলাই বিকেলে কাউন্সিলর মিকার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। জবাব হিসাবে পরের দিন ১৯ জুলাই বেলা ১১টায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কাউন্সিলর মিকা।