ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন চুয়াডাঙ্গা : বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আবার কুয়াশায় ঢাকতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা। গতকাল শনিবার সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো এ জেলা। পৌষের শেষ দিনে এসেও হাড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। গতকাল দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিলো শহরসহ জেলার সর্বত্র। দুপুরের পর রোদের দেখা পেলেও আড়মোড়া ভেঙে কুয়াশা ভেদ করে আলো ছড়াতে পারেনি সূর্য। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা যেন এ জেলাকে নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ মিলিয়ে নেয়।
এদিকে, সকাল থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। সব যানবাহনকেই দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে। টানা কয়েকদিনের হাড় কাপানো ঠাণ্ডার পর গতকাল শীতের দাপট কিছুটা কম হলেও কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের লোকজন ও যান চলাচল কমতে শুরু করে। বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। সড়কের মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানের সামনে জটলা পাকিয়ে দিনটা কাটিয়েছেন রিকশা ও ইজিবাইক চালকেরা। ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হতে দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষদের।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ইজিবাইক চালক সামসুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকেই রোদ ছিলো না। বৃষ্টি পড়বে পড়বে ভাব আর চারপাশে কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে শহর যেনে ধীরে ধীরে কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। সারাদিন শহরে লোকজন অল্প, সন্ধ্যার পর থেকে আরও ফাঁকা হতে শুরু করেছে। যাত্রী নেই, সকাল থেকে ভাড়া হয়েছে কম। এভাবে চল্লে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে।’
ভ্যানচালক মণ্টু মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশায় সকাল বেলাতেও ভ্যানের লাইট জ্বেলে চলাচল করছি। দুপুরের পর কুয়াশা নামা শুরু হয়। আবার সন্ধ্যার পর লাইট জ্বালেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এবার আমাদের এখানে যেমন বেশি ঠান্ডা তেমন কুয়াশাও।’
এদিকে, স্থানীয় কৃষক দয়াল আলী জানান, ‘ভোরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা পড়েছে। এ সময় বৃষ্টি আর কুয়াশা বেশি হলে শস্যে আসা ফুল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ক্ষেতের পরিচর্যায় কুয়াশার মধ্যের মধ্যেও মাঠে যেতে হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো চুয়াডাঙ্গা। দুপুরের পর সূর্যের দেখা পেলেও তা ছিলো সম্পূর্ণ নিঃস্তেজ। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর এ জেলার দৃষ্টিসীমা ২’শ মিটারে নেমে আসে। এখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন চুয়াডাঙ্গা : বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

আপলোড টাইম : ০৭:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আবার কুয়াশায় ঢাকতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা। গতকাল শনিবার সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো এ জেলা। পৌষের শেষ দিনে এসেও হাড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। গতকাল দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিলো শহরসহ জেলার সর্বত্র। দুপুরের পর রোদের দেখা পেলেও আড়মোড়া ভেঙে কুয়াশা ভেদ করে আলো ছড়াতে পারেনি সূর্য। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা যেন এ জেলাকে নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ মিলিয়ে নেয়।
এদিকে, সকাল থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। সব যানবাহনকেই দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে। টানা কয়েকদিনের হাড় কাপানো ঠাণ্ডার পর গতকাল শীতের দাপট কিছুটা কম হলেও কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের লোকজন ও যান চলাচল কমতে শুরু করে। বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। সড়কের মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানের সামনে জটলা পাকিয়ে দিনটা কাটিয়েছেন রিকশা ও ইজিবাইক চালকেরা। ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হতে দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষদের।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ইজিবাইক চালক সামসুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকেই রোদ ছিলো না। বৃষ্টি পড়বে পড়বে ভাব আর চারপাশে কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে শহর যেনে ধীরে ধীরে কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। সারাদিন শহরে লোকজন অল্প, সন্ধ্যার পর থেকে আরও ফাঁকা হতে শুরু করেছে। যাত্রী নেই, সকাল থেকে ভাড়া হয়েছে কম। এভাবে চল্লে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে।’
ভ্যানচালক মণ্টু মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশায় সকাল বেলাতেও ভ্যানের লাইট জ্বেলে চলাচল করছি। দুপুরের পর কুয়াশা নামা শুরু হয়। আবার সন্ধ্যার পর লাইট জ্বালেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এবার আমাদের এখানে যেমন বেশি ঠান্ডা তেমন কুয়াশাও।’
এদিকে, স্থানীয় কৃষক দয়াল আলী জানান, ‘ভোরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা পড়েছে। এ সময় বৃষ্টি আর কুয়াশা বেশি হলে শস্যে আসা ফুল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ক্ষেতের পরিচর্যায় কুয়াশার মধ্যের মধ্যেও মাঠে যেতে হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো চুয়াডাঙ্গা। দুপুরের পর সূর্যের দেখা পেলেও তা ছিলো সম্পূর্ণ নিঃস্তেজ। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর এ জেলার দৃষ্টিসীমা ২’শ মিটারে নেমে আসে। এখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’