ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামানের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।

সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে দামুড়হুদা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক রেজাউল করিম অবৈধভাবে দলিল রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন। সম্প্রতি মাসখানেক আগে রফিকুল হাসান বকুল নামে এক ব্যক্তি জমি রেজিস্ট্রির জন্য জাল কাগজ দাখিল করে ধরা পড়ে জেলে আছেন। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা না নিতে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক রেজাউল করিম আমাকে চাপ প্রয়োগসহ দুর্ব্যবহার করে। তাদের মতের অমিল হওয়ায় তারা আমাকে অপমান অপদস্ত করে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পর্বেও জাল কাগজ দাখিল করে জমি রেজিস্ট্রির জন্য পূর্বের অফিসার দ্বারা সাসপেন্ড হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্মে লিপ্ত। দলিল লেখক সমিতির নামে প্রতি দলিলে লাখে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে তারা।

এছাড়াও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নামেও তারা জনগণের কাছে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। বাস্তবে কোবালা দলিলে লাখে খরচ ৬ হাজার ৫ শ এবং পৌরসভায় ৭ হাজার ৫ শ টাকা এবং দলিল লেখকের সম্মানী বা লেখনির খরচ দলিলের পাতা প্রতি ৪০ টাকা। সে অনুযায়ী প্রতি দলিলে ৪ শ থেকে ১ হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও তারা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। তাদের এসব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামানের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।

সাব রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে দামুড়হুদা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক রেজাউল করিম অবৈধভাবে দলিল রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন। সম্প্রতি মাসখানেক আগে রফিকুল হাসান বকুল নামে এক ব্যক্তি জমি রেজিস্ট্রির জন্য জাল কাগজ দাখিল করে ধরা পড়ে জেলে আছেন। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা না নিতে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক রেজাউল করিম আমাকে চাপ প্রয়োগসহ দুর্ব্যবহার করে। তাদের মতের অমিল হওয়ায় তারা আমাকে অপমান অপদস্ত করে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পর্বেও জাল কাগজ দাখিল করে জমি রেজিস্ট্রির জন্য পূর্বের অফিসার দ্বারা সাসপেন্ড হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্মে লিপ্ত। দলিল লেখক সমিতির নামে প্রতি দলিলে লাখে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে তারা।

এছাড়াও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নামেও তারা জনগণের কাছে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। বাস্তবে কোবালা দলিলে লাখে খরচ ৬ হাজার ৫ শ এবং পৌরসভায় ৭ হাজার ৫ শ টাকা এবং দলিল লেখকের সম্মানী বা লেখনির খরচ দলিলের পাতা প্রতি ৪০ টাকা। সে অনুযায়ী প্রতি দলিলে ৪ শ থেকে ১ হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও তারা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। তাদের এসব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।