ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ৭

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পরিবারের সাতজন জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের কলাবাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালী গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল হামিদের দুই ছেলে আইতুল্লাহ হোসেন (৩৫), একরামুল (৩২), একই পক্ষের মৃত আমজাদের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৩)। এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া অপর চারজন হলেন- নাপিতখালি গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত মকসেদ হোসেনের চার ছেলে মনছুর আলী (৫০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৪), আশরাফুল হোসেন (৩৫) ও সাইফুল হোসেন (৩৩)।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কলাবাড়ি মাঠের জমি নিয়ে আইতুল্লাহ হোসেন ও মনছুর আলীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সকালে উক্ত জমিতে ভুট্টা রোপণের কাজ করছিল আইতুল্লাহ হোসেন ও একরামুলের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে উক্ত জমিকে শরিকানা সম্পত্তি দাবি করে ভুট্টা রোপণের কাজে বাধা দেন মনছুর আলী ও তাঁর তিন ভাই। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পরিবারের সাতজন গুরুতর জখম হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আইতুল্লাহ হোসেন, একরামুল, ইকবাল হোসেন ও মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে দুজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখে। তবে আইতুল্লাহ চোখে ও হাতে গুরুতর জখম হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এদিকে, অপর পরিবারের সদস্যরা একই ঘটনায় গুরুতর জখম অপর চার ভাইকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত চার ভাই চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ জানান, সকালে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমসহ একই পরিবারের চারজনকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। তবে আহতদের মধ্যে আইতুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির চোখ ও হাতের জখম গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সদস্যদের হতাহতের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি। আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ৭

আপলোড টাইম : ১০:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পরিবারের সাতজন জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের কলাবাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালী গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল হামিদের দুই ছেলে আইতুল্লাহ হোসেন (৩৫), একরামুল (৩২), একই পক্ষের মৃত আমজাদের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৩)। এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া অপর চারজন হলেন- নাপিতখালি গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত মকসেদ হোসেনের চার ছেলে মনছুর আলী (৫০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৪), আশরাফুল হোসেন (৩৫) ও সাইফুল হোসেন (৩৩)।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কলাবাড়ি মাঠের জমি নিয়ে আইতুল্লাহ হোসেন ও মনছুর আলীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সকালে উক্ত জমিতে ভুট্টা রোপণের কাজ করছিল আইতুল্লাহ হোসেন ও একরামুলের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে উক্ত জমিকে শরিকানা সম্পত্তি দাবি করে ভুট্টা রোপণের কাজে বাধা দেন মনছুর আলী ও তাঁর তিন ভাই। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পরিবারের সাতজন গুরুতর জখম হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আইতুল্লাহ হোসেন, একরামুল, ইকবাল হোসেন ও মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে দুজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখে। তবে আইতুল্লাহ চোখে ও হাতে গুরুতর জখম হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এদিকে, অপর পরিবারের সদস্যরা একই ঘটনায় গুরুতর জখম অপর চার ভাইকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত চার ভাই চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ জানান, সকালে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমসহ একই পরিবারের চারজনকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। তবে আহতদের মধ্যে আইতুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির চোখ ও হাতের জখম গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সদস্যদের হতাহতের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি। আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’